৩০৯৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ প্রণয়ীর মধ্যে বিবাহের ন্যায় উত্তম বন্ধন আর কিছু দেখিবে না ।

৩০৯৪। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি পাক-পবিত্র অবস্থায় আল্লাহ্র সাথে মিশিতে চাহে, সে যেন স্বাধীনা নারী বিবাহ করে।

৩০৯৫। হযরত আবু উমামা (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন, তিনি বলিতেন, মু'মিন বান্দা আল্লাহ্র ভয় লাভের পর নেক স্ত্রী অপেক্ষা উত্তম আর কিছুই লাভ করিতে পারে না—যদি তাহাকে আদেশ করে সে উহা মানিয়া লয়। যদি তাহার দিকে দেখে সে তাহাকে খুশী করে, যদি তাহাকে লক্ষ্য করিয়া কোন শপথ করে সে উহা পূর্ণ করে, আর যদি স্বামী তাহার নিকট হইতে দূরে চলিয়া যায়, সে তাহার নিজের বিষয়ে ও স্বামীর মালের বিষয়ে মঙ্গল কামনা করে। ইবনে মাজাহ্ উক্ত হাদীস তিনটি রেওয়ায়ত করিয়াছেন।

৩০৯৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন বান্দা বিবাহ করিল, নিশ্চয় সে তাহার দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করিল এবং বাকী অর্ধেক সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করিবে।

৩০৯৭। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সর্বাপেক্ষা বরকত-পূর্ণ শাদী-বিবাহ হইল যাহা সর্বাপেক্ষা কম কষ্টে নির্বাহ হয়। — বায়হাকী শোআবুল ঈমানে হাদীস দুইটি রেওয়ায়ত করিয়াছেন।

৩০৯৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসিয়া বলিল, আমি আনসারীদের একটি মেয়েকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা করিয়াছি। হুযুর (ছাঃ) বলিলেন: তাহাকে প্রথমে দেখিয়া লও। কেননা, আনসারীদের (কোন কোন লোকের) চোখে একটা দোষ থাকে। মুসলিম

৩০৯৯। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ কোন নারী যেন অপর নারীর সাথে বেশী মাখামাখি না করে, অতঃপর আপন স্বামীর নিকট যাইয়া এমনভাবে তাহার রূপ বর্ণনা করে, যেন তাহার স্বামী তাহাকে আপন চোখে দেখিতেছে। — মোত্তাঃ