মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১২- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৭৬৭

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৬৭। হযরত ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন: সর্বনাশ করুন আল্লাহ্ ইহুদীদের (হালাল জীবেরও) চর্বি তাহাদের জন্য হারাম করা হইয়াছিল। তাহারা ঐরূপ চর্বি গালাইয়া বিক্রয় করিয়াছে। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৬৮

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৬৮। হযরত জাবের (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন — কুকুর বিক্রয়ের মূল্য হইতে এবং বিড়াল বিক্রয়ের মূল্য হইতে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৬৯

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৬৯। হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, আবু তায়বা নামক এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রক্তমোক্ষণ করিল। রাসূল (ছাঃ) পৌনে চার সের খোরমা তাহাকে দেওয়ার জন্য আদেশ করিলেন—তাহার আরও উপকার করিলেন যে, তাহার মালিকপক্ষকে বলিয়া দিলেন, তাহার উপর ধার্যকৃত রোজগারের পরিমাণ কম করিয়া দিতে । —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৭০

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : নিজ কামাইয়ের আহার সর্বোত্তম আহার। অবশ্য তোমাদের সন্তানও নিজ উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত। —তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৭১

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে কোন বান্দা হারাম উপায়ে উপার্জিত অর্থ দান-খয়রাত করিলে তাহা কবুল হইবে না এবং উহা (নিজ কার্যে) ব্যয় করিলে বরকত (ফলোদয়) হইবে না। আর ঐ ধন তাহার উত্তরাধিকারীদের জন্য রাখিয়া গেলে উহা তাহার জন্য দোযখের পুঁজি হইবে।
আল্লাহ্ তা'আলা মন্দের দ্বারা মন্দ কাটেন না (অর্থাৎ, হারাম মাল দান করায় গোনাহ মাফ করেন না)। হ্যাঁ—ভাল দ্বারা মন্দ কাটিয়া থাকেন (অর্থাৎ, হালাল মাল দান করায় গোনাহ মাফ করেন)। খারাব খারাবকে বিদূরিত করিতে পারে না। – আহমদ ও শরহে সুন্নাহ
আল্লাহ্ তা'আলা মন্দের দ্বারা মন্দ কাটেন না (অর্থাৎ, হারাম মাল দান করায় গোনাহ মাফ করেন না)। হ্যাঁ—ভাল দ্বারা মন্দ কাটিয়া থাকেন (অর্থাৎ, হালাল মাল দান করায় গোনাহ মাফ করেন)। খারাব খারাবকে বিদূরিত করিতে পারে না। – আহমদ ও শরহে সুন্নাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৭২

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭২। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যেই দেহের গোশত হারাম মালে গঠিত, উহা বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না। হারাম মালে গঠিত দেহের জন্য দোযখই সমীচীন। —আহমদ, দারেমী ও বায়হাকী শোআবুল ঈমানে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৭৩

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৩। হযরত হাসান ইবনে আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এই বাণীটি আমি ভালভাবে স্মরণ রাখিয়াছি যে, যেই কাজে মনে খটকা লাগে, সেই কাজ পরিহার করিয়া খটকাহীন কাজ অবলম্বন কর। সত্য ও শুদ্ধের ক্ষেত্রে দ্বিধার সৃষ্টি হয় না, মিথ্যা ও অশুদ্ধের ক্ষেত্রেই দ্বিধার সৃষ্টি হয়। – আহমদ, তিরমিযী ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৭৪

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৪। হযরত ওয়াবেসা ইবনে মা'বাদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা (তিনি রাসূলুল্লাহ [ﷺ]-এর দরবারে উপস্থিত হইলে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ হে ওয়াবেসা! তুমি আসিয়াছ ভাল ও মন্দ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য। আমি আরয করিলাম, হ্যাঁ, তাহাই। রাবী বলেন, তখন হযরত (ﷺ) স্বীয় হস্তকে মুষ্টিবদ্ধ করিয়া (আঘাতস্বরূপ) তাঁহার বক্ষে মারিলেন এবং বলিলেন, তোমার মনকে জিজ্ঞাসা কর, তোমার অন্তরকে জিজ্ঞাসা কর। এই কথা তিনবার বলার পর বলিলেন, ভাল ও নেক কাজে মন স্থির থাকিবে, অন্তর শান্ত ও দ্বিধামুক্ত থাকিবে। মন্দ ও গোনাহের কাজে মনে খটকা লাগিবে, অন্তরে দ্বিধা-সংশয় সৃষ্টি হইবে—যদিও জনগণ উহার পক্ষে মত প্রকাশ করে। —আহমদ ও দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৭৫

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৫। হযরত আতিয়্যা সা'দী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন বান্দা মোত্তাকী-পরহেযগারের শ্রেণীভুক্ত হইতে পারে না, যাবৎ না সে গোনাহের কাজ হইতে বাঁচিয়া থাকার উদ্দেশ্যে (এইরূপ) গোনাহ্হীন কাজকেও এড়াইয়া চলে (যাহাতে গোনাহর সূত্র হওয়ার আশঙ্কা আছে)। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৭৬

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদ্য সংশ্লিষ্টে দশজনের প্রতি লা'নত করিয়াছেন— (১) যে মদ তৈয়ার করে, ২। যে মদ তৈরীর ফরমায়েশ দেয়, ৩। যে মদ পান করে, ৪। যে মদ বহন করে, ৫। যাহার প্রতি মদ বহন করা হয়, ৬। যে মদ পান করায়, ৭। যে মদ বিক্রি করে, ৮। যে উহার মূল্য ভোগ করে, ৯। যে মদ ক্রয় করে, ১০। যাহার জন্য মদ ক্রয় করা হয়। – তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৭৭

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৭৭। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার লা'নত মদের উপর, মদ পানকারীর উপর, যে মদ পান করায় তাহার (মদ পান করানেওয়ালার উপর, মদ বিক্রেতার উপর, মদ ক্রেতার উপর, মদ প্রস্তুতকারীর উপর, মদের ফরমায়েশদাতার উপর, মদ বহনকারীর উপর এবং যাহার প্রতি বহন করা হয় তাহার উপর। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান