মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
১১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২৭৩৮

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৩৮। হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেন আল্লাহ্ তাআলা মদীনার নাম রাখিয়াছেন 'তাবা' (পবিত্র)। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৩৯

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৩৯। হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, এক বেদুইন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে 'বায়আত করিল। অতঃপর বেদুইনকে মদীনায় জ্বরে ধরিল। সে নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসিয়া বলিল, মুহাম্মাদ। আমার বায়আত বাতিল করিয়া দাও। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহা অস্বীকার করিলেন। আবার সে আসিয়া বলিল, (মুহাম্মাদ) আমার বায়আত বাতিল করিয়া দাও। এবারও তিনি তাহা অস্বীকার করিলেন। সে পুনরায় আসিয়া বলিল, আমার বায়আত বাতিল করিয়া দাও। এবারও তিনি তাহা অস্বীকার করিলেন। অতঃপর বেদুইন মদীনা ছাড়িয়া চলিয়া গেল। তখন রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন : মদীনা হইতেছে হাপরের ন্যায়, যে দূর করিয়া দেয় উহার খাদকে এবং বিশুদ্ধ করে উহার উত্তমটাকে। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৪০

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৪০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: কেয়ামত কায়েম হইবে না যাবৎ না মদীনা উহার মন্দ লোকদিগকে দূর করিয়া দিবে, যেভাবে দূর করিয়া দেয় হাপর লোহার খাদকে। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৪১

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৪১। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন মদীনার দ্বারসমূহে ফিরিশতাগণ পাহারায় রহিয়াছেন, সুতরাং উহাতে প্রবেশ করিতে পারিবে না মহামারী ও দজ্জাল। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৪২

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৪২। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন এমন কোন শহর নাই যাহাতে দজ্জালের পা পড়িবে না মক্কা আর মদীনা ব্যতীত । মক্কা ও মদীনার এমন কোন দরজা নাই যাহাতে ফিরিশতাগণ সারিবদ্ধ হইয়া পাহারা দিতেছেন না। সুতরাং দজ্জাল সিবখায় পৌঁছিবে। তখন মদীনা তিনবার ভূমিকম্পের দ্বারা উহার অধিবাসীদিগকে নাড়া দিবে আর সকল কাফের ও মোনাফেক (মদীনা ছাড়িয়া) দজ্জালের দিকে রওয়ানা হইবে। -মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৪৩

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৪৩। হযরত সা'দ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে কেহই মদীনাবাসীদের সাথে প্রতারণা করিবে সে গলিয়া যাইবে, যেভাবে নমক পানিতে গলিয়া যায়। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৪৪

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৪৪। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সফর হইতে আগমনকালে মদীনার প্রাচীর দেখিতেন আপন সওয়ারীর উটকে তাড়া করিতেন, আর যদি তিনি ঘোড়া বা খচ্চরে থাকিতেন উহাকে নাড়া দিতেন মদীনার মহব্বতের কারণে। —বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৪৫

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৪৫। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, একদা ওহুদ পাহাড় নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৃষ্টিগোচর হইল। তিনি বলিলেনঃ এই পাহাড় আমাদিগকে ভালবাসে আর আমরাও উহাকে ভালবাসি। আল্লাহ্! ইবরাহীম (আঃ) মক্কাকে সম্মান দান করিয়াছেন, আর আমি মদীনার দুই প্রান্তের মধ্যস্থলকে সম্মান দান করিলাম। —মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৪৬

পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৪৬। হযরত সাহল ইবনে সা'দ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: ওহুদ এমন একটি পর্বত, যে আমাদিগকে ভালবাসে আর আমরাও উহাকে ভালবাসি। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৪৭

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৪৭। (তাবেয়ী) সুলায়মান ইবনে আবু আব্দুল্লাহ্ বলেন, আমি হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ)-কে দেখিলাম তিনি এক ব্যক্তির জামা-কাপড় কাড়িয়া লইলেন, সে মদীনার হেরেমে শিকার করিতেছিল, যাহা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হারাম করিয়া দিয়াছেন। অতঃপর তাহার মনিবগণ আসিয়া তাঁহার সাথে এ ব্যাপারে আলাপ করিলে উত্তরে তিনি বলিলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই হেরেমকে হারাম করিয়াছেন এবং বলিয়াছেনঃ যে এমন ব্যক্তিকে ধরিবে যে উহাতে শিকার করিতেছে, সে যেন তাহার জামা-কাপড় ও অস্ত্র কাড়িয়া লয়, সুতরাং আমি তোমাদিগকে ঐ খাদ্য দিতে পারি না যাহা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে খাইতে দিয়াছেন। হ্যাঁ, যদি তোমরা চাহ আমি তোমাদিগকে উহার মূল্য দিতে পারি। – আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৪৮। (তাবেয়ী) সালেহ হযরত সা'দ ইবনে আবু ওয়াক্কাসের এক মুক্ত দাস হইতে বর্ণনা করেন যে, একদা হযরত সা'দ মদীনার কতক দাসকে মদীনার কোন গাছ কাটিতে দেখিয়া তাহাদের আসবাবপত্র কাড়িয়া লইলেন এবং তাহাদের মনিবদিগকে বলিলেন, (যখন তাহারা উহা ফেরত চাহিল,) আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে মদীনার কোন গাছ কাটিতে নিষেধ করিতে শুনিয়াছি এবং বলিতে শুনিয়াছি, যে মদীনার গাছের কিছু কাটিবে, তাহাকে যে ধরিতে পারিবে সে তাহার জামা-কাপড় কাড়িয়া লইবে। — আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৫৫

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৫৫। খাত্তাব পরিবারের এক ব্যক্তি (সাহাবী) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ যে কেবল আমার যিয়ারত উদ্দেশ্যে আসিয়া আমার যিয়ারত করিবে, কেয়ামতের দিন সে আমার পার্শ্বে থাকিবে, আর যে মদীনাতে বসবাস এখতিয়ার করিবে এবং উহার কষ্টে ধৈর্যধারণ করিবে, কেয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য সাক্ষী বা সুপারিশকারী হইব এবং যে দুই হেরেম শরীফের কোন একটিতে মৃত্যুবরণ করিবে, কেয়ামতের দিন তাহাকে আল্লাহ্ তা'আলা বিপদমুক্তদের অন্তর্গত করিয়া উঠাইবেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ২৭৫৬

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মদীনার হারামকে আল্লাহ তাআলা কর্তৃক সংরক্ষণ প্রসঙ্গে
২৭৫৬। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নাম করিয়া বলেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ যে হজ্জ করিয়া পরে আমার যিয়ারত করিয়াছে আমার মউতের পরে, সে হইবে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে আমার জীবনে আমার যিয়ারত করিয়াছে। — উক্ত হাদীস দুইটি বায়হাকী শোআবুল ঈমানে বর্ণনা করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান