মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৬৩৮
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানীর পশুর বর্ণনা
২৬৩৮। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (বিদায় হচ্ছে) আমাকে নির্দেশ দিয়াছিলেন তাহার কোরবানীর উটসমূহের দেখাশুনা করিতে এবং উহার গোশত, চামড়া ও ঝুল (গরীবদের মধ্যে বণ্টন করিয়া দিতে; আর কসাইকে উহার কিছু না দিতে এবং বলিয়াছিলেন, কসাইকে (তাহার পারিশ্রমিক) আমরা আমাদের নিজের পক্ষ হইতে দিব। —মোত্তাঃ
كتاب المناسك
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَقُومَ عَلَى بُدْنِهِ وَأَنْ أَتَصَدَّقَ بِلَحْمِهَا وَجُلُودِهَا وَأَجِلَّتِهَا وَأَنْ لَا أُعْطِيَ الْجَزَّارَ مِنْهَا قَالَ: «نَحْنُ نُعْطِيهِ مِنْ عِنْدِنَا»
হাদীস নং: ২৬৩৯
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানীর পশুর বর্ণনা
২৬৩৯। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, আমরা কোরবানীর পশুর গোশত তিন দিনের অধিক খাইতাম না। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অনুমতি দিলেন এবং বলিলেন: (তিন দিনের অধিক) খাইতে পার এবং ভবিষ্যতের জন্য রাখিয়াও দিতে পার। সুতরাং আমরা খাইতে লাগিলাম ও রাখিয়া দিতে লাগিলাম। (বিস্তারিত বিবরণ পরে এক হাদীসে আসিবে।) — মোত্তাঃ
كتاب المناسك
وَعَن جابرٍ قَالَ: كُنَّا لَا نَأْكُلُ مِنْ لُحُومِ بُدْنِنَا فَوْقَ ثَلَاثٍ فَرَخَّصَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «كُلُوا وَتَزَوَّدُوا» . فَأَكَلْنَا وتزودنا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২৬৪০
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানীর পশুর বর্ণনা
২৬৪০। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (ﷺ) হুদায়বিয়ার বৎসর আপন কোরবানীর পশুসমূহের মধ্যে আবু জাহলের একটি উটকেও কোরবানীর পশুরূপে (মক্কায়) পাঠাইয়াছিলেন, যাহার নাকে ছিল একটি রূপার বলয়। অপর বর্ণনায় আছে সোনার বলয়। ইহা দ্বারা হুযূর মুশরিকদের মনঃকষ্ট উৎপাদন করিতে চাহিয়াছিলেন। —আবু দাউদ
كتاب المناسك
الْفَصْل الثَّانِي
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْدَى عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي هَدَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَلًا كَانَ لِأَبِي جَهْلٍ فِي رَأْسِهِ بُرَةٌ مِنْ فِضَّةٍ وَفِي رِوَايَةٍ مِنْ ذَهَبٍ يَغِيظُ بِذَلِكَ الْمُشْركين. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ২৬৪১
- হজ্জ্বের অধ্যায়
৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানীর পশুর বর্ণনা
২৬৪১। হযরত নাজিয়া খোযায়ী (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যে কোরবানীর পশু পথে অচল হইয়া পড়িবে উহাকে আমি কি করিব? তিনি বলিলেনঃ উহাকে নহর করিয়া দিবে এবং উহার মালার জুতা উহার রক্তে ডুবাইয়া পার্শ্বের উপর রাখিয়া দিবে, অতঃপর উহাকে মানুষের জন্য রাখিয়া যাইবে, তাহারা উহা খাইবে। —মালেক, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ ।
كتاب المناسك
وَعَنْ نَاجِيَةَ الْخُزَاعِيِّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ أَصْنَعُ بِمَا عَطِبَ مِنَ الْبُدْنِ؟ قَالَ: «انْحَرْهَا ثُمَّ اغْمِسْ نَعْلَهَا فِي دَمِهَا ثُمَّ خَلِّ بَيْنَ النَّاسِ وَبَيْنَهَا فَيَأْكُلُونَهَا» . رَوَاهُ مَالك وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه