মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ২৬০৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা
২৬০৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কখনও কোন নামাযকে উহার (নিয়মিত) সময়ে ছাড়া পড়িতে দেখি নাই দুই নামায ব্যতীত — মাগরিব ও এশা মুযদালিফায় (তিনি একত্রে পড়িয়াছিলেন) এবং তথায় নজর পড়িয়াছিলেন উহার (নিয়মিত) সময়ের পূর্বে (অর্থাৎ, উষা ফর্সা হওয়ার পূর্বে)। মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৬০৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা
২৬০৯। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযদালিফার রাত্রিতে আপন পরিবারের যেসকল দুর্বলদেরে (-শিশু ও মহিলাদের) সময়ের পূর্বেই মিনার দিকে পাঠাইয়াছিলেন, আমিও তাহাদের মধ্যে ছিলাম। — মোত্তাঃ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৬১০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা
২৬১০। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) তাঁহার ভাই ফযল ইবনে আব্বাস হইতে বর্ণনা করেন—আর ফল ছিলেন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উটে পিছনে আরোহী —নবী করীম (ছাঃ) আরাফার সন্ধ্যায় ও মুযদালিফার ভোরে লোকদেরে বলিয়াছেন, যখন তাহারা প্রত্যাবর্তন করিতেছিল – তোমরা অবশ্যই শান্তভাবে চলিবে এবং তিনি নিজেও আপন উটনী সংযত রাখিয়াছিলেন, যাবৎ না মুহাসির পর্যন্ত পৌঁছিয়াছিলেন—আর মুহাসির হইল মিনারই অন্তর্গত। তথায় তিনি বলিলেন: তোমরা কাকর লও যাহা জামরাতে মারা হইবে, অঙ্গুলী স্পর্শে মারা যায় মত ছোট কাকর। ফযল বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামরায় কাকর মারা পর্যন্ত সর্বদা তালবিয়া পড়িতেছিলেন। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৬১১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা
২৬১১। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযদালিফা হইতে রওয়ানা হইলেন শান্তভাবে এবং লোকদিগকেও শান্তভাবে চলিতে নির্দেশ দিলেন; কিন্তু যখন মুহাসসির উপত্যকায় পৌঁছিলেন উটকে কিছু তাড়না করিলেন এবং তাহাদিগকে আদেশ দিলেন জামরায় অঙ্গুলী দ্বারা মারা যায় মত কঙ্কর মারিতে। এ সময় তিনি বলিলেন, সম্ভবতঃ আমার এ বছরের পর আর আমি তোমাদিগকে দেখিতে পাইব না। গ্রন্থকার খতীব তাবরেযী বলেন, বুখারী বা মুসলিমে এ হাদীসটি আমি পাই নাই, তবে তিরমিযী কিছু আগপিছ করিয়া ইহা বর্ণনা করিয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৬১২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা
২৬১২। হযরত মুহাম্মাদ ইবনে কায়স ইবনে মাখরামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের ভাষণ দান করিলেন এবং বলিলেনঃ জাহেলিয়াতের লোকেরা আরাফাত হইতে রওয়ানা হইত যখন সূর্য অস্তের পূর্বে মানুষের চেহারাতে মানুষের পাগড়ির ন্যায় দেখাইত এবং মুযদালিফা হইতে রওয়ানা হইত যখন সূর্য উদয়ের পর মানুষের চেহারায় ঐরূপ মানুষের পাগড়ির ন্যায় দেখাইত, আর আমরা আরাফাত হইতে রওয়ানা হইব না, যাবৎ না সূর্য ডুবিয়া যায় এবং মুযদালিফা হইতে রওয়ানা হইব সূর্য উঠার পূর্বে। আমাদের নিয়ম মূর্তিপূজক ও শিরকপন্থীদের নিয়মের বিপরীত। —বায়হাকী শো'আবুল ঈমানে

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৬১৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আরাফাহ্ ও মুযদালিফা হতে ফিরে আসা
২৬১৩। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, মুযদালিফার রাত্রিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদিগকে -- আব্দুল মুত্তালিব বংশীয় বালকদিগকে — গাধার উপর সওয়ার করিয়া তাহার পূর্বেই মিনার দিকে রওয়ানা করিয়া দিলেন এবং আমাদের রান ছাপড়াইয়া বলিলেনঃ আমার প্রিয় সন্তানগণ! তোমরা সূর্য উঠার পূর্বে জামরায় কাকর মারিও না। –আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান