মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

১০- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ২৩৯৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৩। নবী করীম (ﷺ)-এর কোন কন্যা হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (ﷺ) তাঁহাকে শিক্ষা দিতেন এবং বলিতেন, তুমি বলিবে, যখন ভোরে উঠিবে— “আল্লাহর পবিত্রতা তাঁহার প্রশংসার সাথে; কাহারও কোন শক্তি নাই আল্লাহর শক্তি ছাড়া, যাহা আল্লাহ্ চান তাহাই হয়, আর যাহা তিনি চান না, তাহা হয় না। আমি জানি, আল্লাহ্ সমস্ত বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান, আর আল্লাহ্ সমস্ত জিনিসকে জ্ঞান দ্বারা ঘিরিয়া রাখিয়াছেন।” –যে ইহা বলিবে, যখন সকালে উঠিবে, সে হেফাযতে থাকিবে যাবৎ না সন্ধ্যায় উপনীত হয়, আর যে ইহা বলিবে যখন সন্ধ্যায় উপনীত হয়, সে হেফাযতে থাকিবে যাবৎ না সকালে উঠে। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৯৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি এই আয়াত পড়িবে যখন সকালে উঠিবে, “সুতরাং আল্লাহর পবিত্রতা যখন তোমরা সন্ধ্যায় উপনীত হও এবং যখন তোমরা সকালে উঠ; এবং আসমান ও যমীনে প্রশংসা একমাত্র তাহারই জন্য আর বৈকালে এবং যখন তোমরা দুপুরে উপনীত হও— 'এইরূপে তোমরা বাহির করা হইবে'–পর্যন্ত।” সে লাভ করিবে ঐ দিনে যাহা তাহার ফওত হইয়া গিয়াছে, আর যে পড়িবে উহা যখন সন্ধ্যায় উপনীত হয়, সে লাভ করিবে যাহা তাহার ঐ রাতে ফওত হইয়া গিয়াছে। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৯৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৫। হযরত আবু আইয়্যাশ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে সকালে উঠিয়া বলিবে, “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই, তিনি এক, তাহার কোন অংশীদার নাই, তাঁহারই রাজত্ব, তাঁহারই প্রশংসা এবং তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান।"—তাহার জন্য ইহা ইসমাঈল বংশীয় একটি দাস মুক্ত করার সমান হইবে এবং তাহার জন্য দশটি পুণ্য লেখা হইবে ও তাহার দশটি পাপ খণ্ডন করা হইবে; আর তাহার দশটি মর্যাদা বুলন্দ করা হইবে এবং সে শয়তান হইতে হেফাযতে থাকিবে—যাবৎ না সে সন্ধ্যায় উপনীত হয়। আর যদি সে বলে যখন সন্ধ্যায় উপনীত হয়, তাহার জন্য ঐরূপ হইবে যাবৎ না সে সকালে উঠে। (রাবী বলেন,) এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে স্বপ্নে দেখিল এবং বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আবু আইয়্যাশ আপনার নাম করিয়া এই এই কথা বলে। হুযূর বলিলেন, আবু আইয়্যাশ সত্য বলিয়াছে। —আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৯৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৬। (তাবেয়ী) হারেস ইবনে মুসলিম তামিমী তাহার পিতা হইতে, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, একদা তিনি (হুযূর) তাহাকে চুপে চুপে বলিলেনঃ যখন তুমি মাগরিবের নামায হইতে অবসর গ্রহণ করিবে, কাহারও সাথে কথা বলিবার পূর্বে সাতবার বলিবেঃ 'আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান্নার’– “আল্লাহ্! আমাকে দোযখ হইতে বাঁচাও ;” যখন তুমি উহা বলিবে অতঃপর ঐ রাতে মরিবে, তোমার জন্য দোযখ হইতে ছাড়পত্র লেখা হইবে। এইরূপে যখন তুমি ফজরের নামায পড়িবে ঐরূপ বলিবে। অতঃপর যখন তুমি ঐ দিনে মরিবে, তোমার জন্য দোযখ হইতে ছাড়পত্র লেখা হইবে। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৯৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৭। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই বাক্যগুলি ছাড়িতেন না, যখন তিনি সন্ধ্যায় উপনীত হইতেন এবং যখন তিনি সকালে উঠিতেন, “আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট চাহি দুনিয়া ও আখেরাতে নিরাপত্তা; আল্লাহ্, আমি তোমার নিকট চাহি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিজন ও মাল-সম্পদ সম্পর্কে নিরাপত্তা; আল্লাহ্, তুমি আমার দোষসমূহ ঢাকিয়া রাখ এবং ভীতিপ্রদ বিষয়সমূহ হইতে আমাকে নিরাপদে রাখ; আল্লাহ্ তুমি আমার হেফাযত কর আমার সম্মুখ হইতে, আমার পিছন দিক হইতে, আমার ডান দিক হইতে, আমার বাম দিক হইতে এবং আমার উপর দিক হইতে; আল্লাহ্, আমি তোমার মর্যাদার নিকট পানাহ্ চাহি মাটিতে ধসিয়া যাওয়া হইতে। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৯৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৮। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে সকালে উঠিয়া বলিবে, “আল্লাহ্! আমি সকালে সাক্ষী করি তোমাকে এবং তোমার আরশবহনকারীদিগকে, তোমার অপর ফিরিশতাদিগকে, তোমার সমস্ত সৃষ্টিকে ; তুমিই আল্লাহ্, তুমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, তুমি এক, তোমার কোন শরীক নাই এবং মুহাম্মাদ তোমার বান্দা ও রাসূল” – নিশ্চয় আল্লাহ্ তাহাকে মাফ করিবেন তাহার ঐ দিনে যে গোনাহ্ ঘটিবে। আর যদি সে বলে উহা সন্ধ্যায় উপনীত হইয়া, আল্লাহ্ মাফ করিয়া দিবেন তাহার ঐ রাতে যে গোনাহ্ সংঘটিত হইবে। —তিরমিযী ও আবু দাউদ। কিন্তু তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৩৯৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৯। হযরত সওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে কোন মুসলমান বান্দা সন্ধ্যায় পৌঁছিয়া এবং সকালে উঠিয়া তিনবার বলিবে— 'রাযীতু বিল্লাহি রাব্বান, ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনান ওয়া বি মুহাম্মাদিন নাবীয়্যান' – “আমি আল্লাহকে প্রভুরূপে, ইসলামকে দ্বীনরূপে ও মুহাম্মাদকে নবীরূপে পাইয়া খুশী হইয়াছি।” নিশ্চয় আল্লাহর প্রতি অবধারিত হইবে, তিনি কেয়ামতের দিন তাহাকে খুশী করেন। —আহমদ ও তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪০০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০০। হযরত হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন শুইবার ইচ্ছা করিতেন হাত মাথার নীচে রাখিতেন, অতঃপর বলিতেনঃ “আল্লাহ্! আমাকে তোমার শাস্তি হইতে বাঁচাইয়া রাখিও যেদিন তুমি তোমার বান্দাদিগকে একত্র করিবে।” অথবা তিনি বলিয়াছেন, “তোমার বান্দাদিগকে কবর হইতে উঠাইবে। ” – তিরমিযী,

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪০১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০১। ইমাম আহমদ (রহঃ) বারা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪০২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০২। হযরত (বিবি) হাফসা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন শুইবার ইচ্ছা করিতেন, ডান হাত গালের নীচে রাখিতেন; অতঃপর তিনবার বলিতেন—আল্লাহুম্মা কিনী আযাবাকা ইয়াওমা তাবআছু ইবাদাকা' – “আল্লাহ্! তুমি আমাকে তোমার আযাব হইতে রক্ষা করিও যেদিন তুমি তোমার বান্দাদিগকে কবর হইতে উঠাইবে।” —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪০৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৩। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শোয়ারকালে বলিতেন, “আল্লাহ্! আমি তোমার মহান সত্তার ও তোমার পূর্ণ কালামের শরণ লই—যাহা তোমার অধীনে আছে তাহার মন্দ হইতে; আল্লাহ্! তুমিই দূরীভূত কর ঋণের চাপ ও গোনাহের ভার। আল্লাহ্ ; তোমার দল পরাভূত হয় না, তোমার ওয়াদা কখনও বরখেলাফ হয় না এবং কোন সম্পদশালীর সম্পদ তাহাকে তোমা হইতে রক্ষা করিতে পারে না। তোমার পবিত্রতা তোমার প্রশংসার সাথে।” —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪০৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৪। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে বিছানায় আশ্রয় গ্রহণকালে তিনবার বলে—'আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতূবু ইলাইহি’–“আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাই যিনি ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই, যিনি চিরঞ্জীব ও চির প্রতিষ্ঠাতা এবং আমি তাঁহার নিকট তওবা করি”—আল্লাহ্ তাহার অপরাধ ক্ষমা করেন যদিও হয় অপরাধ সমুদ্র-ফেনার ন্যায় অথবা বালু স্তূপের ন্যায় অথবা গাছের পাতার সংখ্যা অথবা দুনিয়ার দিনসমূহের সংখ্যার ন্যায় অধিক। — তিরমিযী। তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪০৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৫। হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে কোন মুসলমান কিতাবুল্লাহর কোন একটি সূরা পড়িয়া শয্যা গ্রহণ করিবে, নিশ্চয় আল্লাহ্ তাহার জন্য একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করিয়া দিবেন। সুতরাং কোন কষ্টদায়ক জিনিস তাহার নিকটে আসিতে পারিবে না, যাবৎ না সে জাগরিত হয়, যখন জাগরিত হয়। —তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪০৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ দুইটি বিষয়ে যে কোন মুসলমান লক্ষ্য রাখিবে, সে নিশ্চয় বেহেশতে যাইবে। জানিয়া রাখ— বিষয় দুইটি সহজ; কিন্তু করনেওয়ালা কম, প্রত্যেক নামাযের পর দশবার 'সুবহানাল্লাহ্', দশবার 'আলহামদু লিল্লাহ্' ও দশবার 'আল্লাহু আকবর' বলিবে। আব্দুল্লাহ্ বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে উহা হাতে গুণিতে দেখিয়াছি। হুযূর বলেন, মুখে ইহা (পাঁচ ওয়াক্তে) একশত পঞ্চাশ; কিন্তু কেয়ামতে মীযানের পাল্লায় ইহা এক হাযার পাঁচ শত। আর যখন শয্যা গ্রহণ করিবে বলিবে, 'সুবহানাল্লাহ্' 'আল্লাহু আকবর' ও আলহামদু লিল্লাহ্' (তিনটিতে মিলাইয়া) একশত বার। ইহা মুখে একশত বটে; কিন্তু মীযানে এক হাযার। অতঃপর হুযূর বলেন, তোমাদের মধ্যে কে একদিন এক রাতে দুই হাযার পাঁচশত গোনাহ্ করে ? (অর্থাৎ, কেহ এত গোনাহ্ করে না।) সাহাবীগণ বলিলেন, কেন আমরা এই দুইটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখিতে পারিব না? তিনি বলিলেন, পারিবে না এই জন্য যে, তোমাদের কাহারও নিকট তাহার নামায অবস্থায় শয়তান আসিয়া বলে, ঐ বিষয় স্মরণ কর, ঐ বিষয় স্মরণ কর, যাবৎ না সে নামায শেষ করিয়া ফিরে। অতঃপর হয়তো সে উহা না করিয়াই উঠিয়া যায়। এইরূপে শয়তান তাহার শয্যাকালে আসিয়া ঘুম পাড়াইতে থাকিবে, যাবৎ না সে (উহা না করিয়া ঘুমাইয়া পড়ে। – তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী
আবু দাউদের অপর এক বর্ণনায় আছে, দুইটি বিষয়, যে কোন মুসলমান উহার হেফাযত করিবে.........। এইরূপে তাঁহার বর্ণনায় — “মীযানের পাল্লায় এক হাযার পাঁচশত”—শব্দের পর রহিয়াছে, হুযূর (ﷺ) বলিয়াছেন, যখন সে শয্যা গ্রহণ করিবে, বলিবে—'আল্লাহু আকবর' ৩৪ বার, 'আলহামদু লিল্লাহ্' ৩৩ বার ও 'সুবহানাল্লাহ্' ৩৩ বার।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪০৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে গান্নাম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে সকালে উঠিয়া বলিল, আল্লাহ্! সকালে আমার প্রতি এবং তোমার অপর যে কোন সৃষ্টির প্রতি যে নেয়ামত পৌঁছিয়াছে তাহা একা তোমারই পক্ষ হইতে, ইহাতে তোমার কোন শরীক নাই। সুতরাং তোমারই প্রশংসা এবং তোমারই শোকর— সে তাহার ঐ দিনের শোকর আদায় করিল। আর যে ঐরূপ বলিল সন্ধ্যায় পৌঁছিয়া, সে তাহার ঐ রাত্রির শোকর আদায় করিল। — আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪০৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি যখন বিছানায় আশ্রয় লইতেন, বলিতেন, “হে আল্লাহ্ যিনি আসমানের প্রতিপালক, যমীনের প্রতিপালক তথা প্রত্যেক জিনিসের প্রতিপালক, শস্য বীজ ও খেজুর দানা ফাড়িয়া গাছ উৎপাদক এবং তওরাত, ইঞ্জীল ও কোরআন নাযিলকারক, আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাহি যাহা তোমার অধিকারে আছে এমন প্রত্যেক মন্দের অধিকারী জিনিসের মন্দ হইতে। তুমি প্রথম— তোমার পূর্বে কেহ ছিল না, তুমি শেষ— তোমার পরে কেহ থাকিবে না; তুমি প্রকাশ্য—তোমা অপেক্ষা প্রকাশ্য কোন কিছুই নাই; তুমি গোপন – তোমা অপেক্ষা গোপনতর কিছুই নাই—তুমি আমার ঋণ পরিশোধ কর এবং আমাকে পরমুখাপেক্ষিতা হইতে বেনিয়ায় কর। —আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ । মুসলিম সামান্য বিভিন্নতাসহ ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪০৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪০৯। হযরত আবুল আযহার আনমারী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করিতেন, বলিতেন, আল্লাহর নামে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে আমার পার্শ্ব রাখিলাম। আল্লাহ্! তুমি আমার অপরাধ ক্ষমা কর, আমা হইতে শয়তান তাড়াইয়া দাও, আমার ঘাড়কে মুক্ত কর এবং আমাকে উচ্চ পরিষদে স্থান দাও। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪১০
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪১০। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন রাতে শয্যা গ্রহণ করিতেন, বলিতেনঃ “আল্লাহর শোকর যিনি আমার প্রয়োজন নির্বাহ করিলেন, আমাকে রাতে আশ্রয় দিলেন, আমাকে খাওয়াইলেন, আমাকে পান করাইলেন; যিনি আমার প্রতি অনুগ্রহ করিলেন এবং বহু অনুগ্রহ করিলেন ; যিনি আমাকে দান করিলেন এবং যথেষ্ট দান করিলেন। সুতরাং আল্লাহর শোকর প্রত্যেক অবস্থায়। হে আল্লাহ্! যিনি প্রত্যেক জিনিসের প্রতিপালক ও উহার অধিকারী এবং প্রত্যেক বস্তুর উপাস্য, আমি তোমার নিকট দোযখের আগুন হইতে পানাহ্ চাহি। —আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪১১
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪১১। হযরত বুরায়দা (রাঃ) বলেন, একদা খালেদ ইবনে ওলীদ নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট অভিযোগ করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! রাতে আমার ঘুম আসে না। তখন আল্লাহর নবী (ﷺ) বলিলেনঃ যখন তুমি বিছানায় আশ্রয় লইবে, বলিবে, “হে আল্লাহ্ যিনি সপ্ত আসমানের ও উহারা যাহাকে ছায়া দিয়াছে তাহার প্রতিপালক প্রভু এবং যমীনসমূহ ও উহারা যাহাকে ধারণ করিয়াছে তাহার প্রভু; শয়তানসকল ও তাহারা যাহাদের গোমরাহ করিয়াছে তাহাদের প্রভু তুমি আমাকে নিরাপত্তা দান কর, তোমার সমস্ত সৃষ্টির মন্দ প্রভাব হইতে—তাহাদের কেহ যে আমার উপর প্রভাব বিস্তার করিবে অথবা আমার প্রতি অবিচার করিবে। বিজয়ী সে যাহাকে তুমি নিরাপত্তা দান করিয়াছ। মহান তোমার প্রশস্তি। তুমি ছাড়া কোন মা'বুদ নাই, তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নাই। — তিরমিযী। তিনি বলেন, ইহার সনদ সবল নহে। কোন কোন হাদীস বিশেষজ্ঞ ইহার রাবী হাকীম ইবনে যহীরকে মারূক বা ত্যাজ্য বলিয়াছেন।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২৪১২
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৪১২। হযরত আবু মালেক আশআরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমাদের কেহ সকালে উঠে সে যেন বলে, “আমরা সকালে উপনীত হইলাম আর রাজ্যও সকালে উপনীত হইল আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে। আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট চাহি এই দিনের মঙ্গল— উহার কামিয়াবী ও সাহায্য, উহার জ্যোতি, উহার বরকত ও উহার হেদায়ত এবং তোমার নিকট আশ্রয় চাই উহাতে যাহা অমঙ্গল রহিয়াছে তাহা হইতে এবং উহার পরে যে অমঙ্গল রহিয়াছে তাহা হইতে।” অতঃপর যখন সে সন্ধ্যায় উপনীত হয় তখনও যেন ঐরূপ বলে। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান