মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৯- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১২ টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ২১৫৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৫৪। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একবার নবী করীম (ﷺ)-এর কোন এক সাহাবী একটি কবরের উপর আপন তাঁবু খাটাইলেন। তিনি জানিতেন না যে, উহা একটি কবর, হঠাৎ তিনি দেখেন—উহাতে একটি লোক সূরা 'তাবারা কাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক' পড়িতেছে, এমন কি উহা শেষ করিয়া ফেলিয়াছে। অতঃপর তিনি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিলেন এবং তাঁহাকে এই সংবাদ জানাইলেন। নবী করীম (ﷺ) বলিলেনঃ ইহা হইতেছে (আযাব হইতে) বাধাদানকারী এবং মুক্তিদানকারী, যাহা পাঠককে আল্লাহর আযাব হইতে মুক্তি দিয়া থাকে। —তিরমিযী ইহা বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, হাদীসটি গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৫৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৫৫। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) যাবৎ না 'সূরা আলিফ-লাম-মীম তানযীল' ও 'সূরা তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক' পড়িতেন, নিদ্রা যাইতেন না। –আহমদ, তিরমিযী ও দারেমী। তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি সহীহ্ । শরহুস সুন্নায়ও এইরূপ রহিয়াছে। 'মাসাবীহ্' কিতাবে ইহাকে গরীব বলা হইয়াছে।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৫৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস ও আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ 'সূরা ইযা যুলযিলাত' (সওয়াবে) কোরআনের অর্ধেকের সমান, 'কুল হুওয়াল্লাহু' এক-তৃতীয়াংশের সমান এবং 'কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরূন' এক-চতুর্থাংশের সমান। – তিরমিযী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৫৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৫৭। হযরত মা'কেল (মা'কাল নহে) ইবনে ইয়াসার (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে উঠিয়া তিনবার বলিবে—আউযু বিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শায়ত্বানির রাজীম' অতঃপর সূরা হাশরের শেষের তিন আয়াত পড়িবে, আল্লাহ্ তা'আলা তাহার জন্য সত্তর হাযার ফিরিশতা নিযুক্ত করিবেন—যাহারা তাহার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দো'আ করিতে থাকিবেন। আর যদি সে এই দিনে মারা যায়, মারা যাইবে শহীদরূপে এবং যে ব্যক্তি উহা সন্ধ্যায় পড়িবে, সেও হইবে অনুরূপ মর্তবার অধিকারী। — তিরমিযী ও দারেমী। কিন্তু তিরমিযী বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৫৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৫৮। হযরত আনাস (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন দুইশতবার সূরা 'কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ' পড়িবে, তাহার পঞ্চাশ বছরের গোনাহ্ মুছিয়া দেওয়া হইবে যদি তাহার উপর ঋণের বোঝা না থাকে। —তিরমিযী ও দারেমী। কিন্তু দারেমীর বর্ণনায় (দুইশতবারের স্থলে) পঞ্চাশবারের কথা রহিয়াছে এবং তিনি ঋণের কথা উল্লেখ করেন নাই। (কোন কোন ব্যাখ্যা কারের মতে দুইশতবারের বর্ণনাই ঠিক।)

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৫৯
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৫৯। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেন যে ঘুমাইবার ইচ্ছায় শয্যা গ্রহণ করিবে এবং ডান পার্শ্বের উপর শয়ন করিবে, অতঃপর একশতবার সূরা 'কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ' পড়িবে— যখন কেয়ামতের দিন আসিবে, পরওয়ারদেগারে আলম তাহাকে বলিবেন, হে আমার বান্দা! তোমার ডান দিকের বেহেশতে প্রবেশ কর। -তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন, ইহা হাসান তবে গরীব।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৬০
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) এক ব্যক্তিকে 'কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ' পড়িতে শুনিয়া বলিলেনঃ অবধারিত হইয়া গিয়াছে। আমি বলিলাম, হুযুর! কি অবধারিত হইয়া গিয়াছে ? তিনি বলিলেন, বেহেশত। ——মালেক, তিরমিযী ও নাসায়ী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৬১
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬১। (তাবেয়ী) ফারওয়া ইবনে নওফেল তাঁহার পিতা নওফেল হইতে বর্ণনা করেন যে, একদা নওফেল বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাকে এমন একটি জিনিস শিখাইয়া দিন যাহা আমি শয্যা গ্রহণকালে পড়িতে পারি। হুযূর বলিলেনঃ সূরা কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফেরূন পড়িও। কেননা, উহাতে শিরক হইতে বিরাগ রহিয়াছে। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও দারেমী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৬২
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬২। হযরত ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে জুহফা ও আবওয়ার মধ্যবর্তী এলাকায় চলিতেছিলাম, এমন সময় আমাদিগকে প্রবল ঝড় ও ঘোর অন্ধকার ঢাকিয়া ফেলিল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সূরা কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক্ ও সূরা কুল আউযু বিরাব্বিন নাস দ্বারা আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করিতে লাগিলেন এবং বলিলেনঃ হে ওকবা ! উহাদের দ্বারা আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর! কেননা, উহাদের ন্যায় কোন সূরা দ্বারা কোন প্রার্থনাকারীই আশ্রয় প্রার্থনা করিতে পারে নাই। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৬৩
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে খুবায়ব (রাঃ) বলেন, একবার আমরা ঝড়-বৃষ্টি ও ঘোর অন্ধকারময় এক রাতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর তালাশে বাহির হইলাম এবং তাঁহাকে পাইলাম। তখন তিনি বলিলেনঃ পড়িও! আমি বলিলাম, কি পড়িব? তিনি বলিলেন, তিনবার পড়িবে 'কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ', 'কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক' ও 'কুল আউযু বিরাব্বিন নাস' যখন তুমি সকাল করিবে এবং যখন সন্ধ্যা করিবে। ইহা প্রত্যেক বস্তুর (বিপদাপদের) মোকাবেলায় তোমার জন্য যথেষ্ট হইবে। —তিরমিযী, আবু দাউদ ও নাসায়ী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৬৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬৪। হযরত ওকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, একবার আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! (বিপদ হইতে রক্ষার ব্যাপারে) আমি কি সূরা হুদ পড়িব, না সূরা ইউসূফ ? তিনি বলিলেনঃ এ ব্যাপারে সূরা 'কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক' অপেক্ষা আল্লাহর নিকট উত্তম কোন সূরা তুমি কখনও পড়িতে পারিবে না। – আহমদ, নাসায়ী ও দারেমী

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ২১৬৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ স্পষ্ট ও শুদ্ধ করিয়া পড় কোরআন এবং অনুসরণ কর উহার ‘গারায়েব'-এর ; আর উহার 'গারায়েব' হইল ফারায়েয ও হুদুদ ।

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান