মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৮- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ২০৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - লায়লাতুল কদর।
কুরআনে রহিয়াছেঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ - وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ - لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ - تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ - سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
“আমি নাযিল করিয়াছি কুরআন কদরের রাত্রিতে। আপনি জানেন কি কদরের রাত্রি কি? কদরের রাত্রি এক হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। এই রাত্রিতে নাযিল হয় ফিরিশতাগণ এবং জিবরাঈল তাহাদের পরওয়ারদেগারের আদেশে সর্ববিধ মঙ্গল সহকারে। উহা ফজর দেখা দেওয়া পর্যন্ত।” –সূরা কদর
শবে কদরের ফযীলত ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে কুরআন পাকের এই বর্ণনাই যথেষ্ট। এ কারণে নবী করীম (ﷺ) উহার ফযীলত সম্পর্কে তেমন কিছু বলেন নাই। তবে উহা কোন্ মাসে কোন্ তারিখে হইতে পারে এবং উহা কাহারও নসীব হইলে সে তখন আল্লাহর নিকট কি চাহিবে সে সম্পর্কে তিনি উপদেশ দিয়াছেন।
নবী করীম (ﷺ) কর্তৃক বর্ণিত প্রায় সমস্ত মারফু হাদীস হইতে বুঝা যায় যে, শবে কদর রমযান মাসে—বিশেষ করিয়া উহার শেষ দশ রাত্রির কোন বে-জোড় রাত্রিতেই। কিন্তু নবী করীমের প্রিয় ও প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) মনে করিতেন যে, উহা বছরের অন্য সময় যে কোন বে-জোড় রাত্রিতে হইতে পারে। ইমাম আ'যম আবু হানীফা ও তাঁহার অনুসারীদেরও এই মত। তাঁহাদের মতে নবী করীম (ﷺ) যে তালাশ করিয়াছেন তাহা অবশ্য রমযানেই তালাশ করিয়াছেন। কিন্তু অন্য সময় হওয়ার সম্ভাবনাকে তিনি অস্বীকার করেন নাই। সুতরাং যে ব্যক্তি সারা বছর বে-জোড় রাত্রিতে তালাশ করিবে সে নিশ্চয় পাইবে।
কুরআনে রহিয়াছেঃ
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ - وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ - لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ - تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ - سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ
“আমি নাযিল করিয়াছি কুরআন কদরের রাত্রিতে। আপনি জানেন কি কদরের রাত্রি কি? কদরের রাত্রি এক হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। এই রাত্রিতে নাযিল হয় ফিরিশতাগণ এবং জিবরাঈল তাহাদের পরওয়ারদেগারের আদেশে সর্ববিধ মঙ্গল সহকারে। উহা ফজর দেখা দেওয়া পর্যন্ত।” –সূরা কদর
শবে কদরের ফযীলত ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে কুরআন পাকের এই বর্ণনাই যথেষ্ট। এ কারণে নবী করীম (ﷺ) উহার ফযীলত সম্পর্কে তেমন কিছু বলেন নাই। তবে উহা কোন্ মাসে কোন্ তারিখে হইতে পারে এবং উহা কাহারও নসীব হইলে সে তখন আল্লাহর নিকট কি চাহিবে সে সম্পর্কে তিনি উপদেশ দিয়াছেন।
নবী করীম (ﷺ) কর্তৃক বর্ণিত প্রায় সমস্ত মারফু হাদীস হইতে বুঝা যায় যে, শবে কদর রমযান মাসে—বিশেষ করিয়া উহার শেষ দশ রাত্রির কোন বে-জোড় রাত্রিতেই। কিন্তু নবী করীমের প্রিয় ও প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) মনে করিতেন যে, উহা বছরের অন্য সময় যে কোন বে-জোড় রাত্রিতে হইতে পারে। ইমাম আ'যম আবু হানীফা ও তাঁহার অনুসারীদেরও এই মত। তাঁহাদের মতে নবী করীম (ﷺ) যে তালাশ করিয়াছেন তাহা অবশ্য রমযানেই তালাশ করিয়াছেন। কিন্তু অন্য সময় হওয়ার সম্ভাবনাকে তিনি অস্বীকার করেন নাই। সুতরাং যে ব্যক্তি সারা বছর বে-জোড় রাত্রিতে তালাশ করিবে সে নিশ্চয় পাইবে।
২০৮৩। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: তোমরা শবে কদর তালাশ করিবে রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিতে। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান