মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৮- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ২০৭৯
- রোযার অধ্যায়
৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়ামের ইফতারের বিবরণ
২০৭৯। হযরত (আলীর ভগ্নী) উম্মে হানী (রাঃ) বলেন, যখন মক্কা বিজয়ের দিন হইল ফাতেমা আসিয়া রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর বাম দিকে বসিল এবং উম্মে হানী অর্থাৎ, আমি তাঁহার ডান দিকে। এ সময় একটি বালিকা একটি পাত্র লইয়া আসিয়া হুযূরের হাতে দিল যাহাতে পানীয় ছিল। তিনি উহা হইতে কিছু পান করিলেন অতঃপর উহা উম্মে হানীকে দিলেন। উম্মে হানী উহা হইতে কিছু পান করিলেন। (রাবী বলেন,) অতঃপর উম্মে হানী বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি পান করিলাম অথচ আমি রোযা রাখিয়াছিলাম। হুযুর জিজ্ঞাসা করিলেন, কোন কাযা রোযা রাখিয়াছিলে কি? তিনি বলিলেন, না। হুযুর বলি লেন, তোমার ক্ষতি হইবে না যদি নফল রোযা হয়। –আবু দাউদ, তিরমিযী ও দারেমী। আহমদ ও তিরমিযীর অপর এক রেওয়ায়তেও ইহার অনুরূপ। কিন্তু ঐ রেওয়ায়তে রহিয়াছে, উম্মে হানী বলিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি রোযা ছিলাম। হুযুর বলিলেন, নফল রোযাদার। নিজের ইচ্ছার অধিকারী, চাহে তো রাখে চাহে তো ভাঙ্গে।
كتاب الصوم
عَنْ أُمِّ هَانِئٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْفَتْحِ فَتْحِ مَكَّةَ جَاءَتْ فَاطِمَةُ فَجَلَسَتْ عَلَى يَسَارِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمُّ هَانِئٍ عَنْ يَمِينِهِ فَجَاءَتِ الْوَلِيدَةُ بِإِنَاءٍ فِيهِ شَرَابٌ فَنَاوَلَتْهُ فَشَرِبَ مِنْهُ ثُمَّ نَاوَلَهُ أُمَّ هَانِئٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ أَفْطَرْتُ وَكُنْتُ صَائِمَةً فَقَالَ لَهَا: «أَكُنْتِ تَقْضِينَ شَيْئًا؟» قَالَتْ: لَا. قَالَ: «فَلَا يَضُرُّكِ إِنْ كَانَ تَطَوُّعًا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ وَفِي رِوَايَةٍ لِأَحْمَدَ وَالتِّرْمِذِيِّ نَحْوُهُ وَفِيهِ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمَا إِنِّي كُنْتُ صَائِمَةً فَقَالَ: «الصَّائِم أَمِيرُ نَفْسِهِ إِنْ شَاءَ صَامَ وَإِنْ شَاءَ أفطر»
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০৮০
- রোযার অধ্যায়
৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়ামের ইফতারের বিবরণ
২০৮০। যুহরী উরওয়া হইতে, উরওয়া বিবি আয়েশা হইতে বর্ণনা করেন যে, হযরত আয়েশা (রাঃ) বলিয়াছেন, একদিন আমি ও বিবি হাফসা রোযা রাখিয়াছিলাম এ অবস্থায় আমাদের নিকট কিছু খানা উপস্থিত করা হইল যাহা আমরা পছন্দ করি, সুতরাং আমরা উহা খাইলাম। অতঃপর হাফসা জিজ্ঞাসা করিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা রোযা ছিলাম এ অবস্থায় আমাদের নিকট কিছু খানা উপস্থিত করা হইল, যাহা আমরা পছন্দ করি! অতএব, আমরা খাইয়াছি। হুযূর (ﷺ) বলিলেনঃ উহার স্থলে অপর একদিন রোযা রাখিয়া দিও! —তিরমিযী
তিরমিযী এখানে হাদীস বিশেষজ্ঞদের (হুফ্ফাযদের) এমন এক দলের নাম উল্লেখ করিয়াছেন যাহারা হাদীসটি যুহরী হইতে এবং যুহরী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন অর্থাৎ মধ্যস্থ রাবী উরওয়ার নাম উল্লেখ করেন নাই। (সুতরাং হাদীসটি মুনকাতা) আর ইহাই সহীহ্ বর্ণনা । কিন্তু ইমাম আবু দাউদ ইহাকে উরওয়ার আযাদকৃত দাস জুমাইল হইতে, তিনি উরওয়া হইতে এবং উরওয়া আয়েশা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন অর্থাৎ, এ বর্ণনা অনুসারে ইহা মুত্তাসিল হাদীস।
তিরমিযী এখানে হাদীস বিশেষজ্ঞদের (হুফ্ফাযদের) এমন এক দলের নাম উল্লেখ করিয়াছেন যাহারা হাদীসটি যুহরী হইতে এবং যুহরী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন অর্থাৎ মধ্যস্থ রাবী উরওয়ার নাম উল্লেখ করেন নাই। (সুতরাং হাদীসটি মুনকাতা) আর ইহাই সহীহ্ বর্ণনা । কিন্তু ইমাম আবু দাউদ ইহাকে উরওয়ার আযাদকৃত দাস জুমাইল হইতে, তিনি উরওয়া হইতে এবং উরওয়া আয়েশা হইতে বর্ণনা করিয়াছেন অর্থাৎ, এ বর্ণনা অনুসারে ইহা মুত্তাসিল হাদীস।
كتاب الصوم
وَعَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كُنْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ صَائِمَتَيْنِ فَعَرَضَ لَنَا طَعَامٌ اشْتَهَيْنَاهُ فَأَكَلَنَا مِنْهُ فَقَالَتْ حَفْصَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا صَائِمَتَيْنِ فَعُرِضَ لَنَا طَعَامٌ اشْتَهَيْنَاهُ فَأَكَلَنَا مِنْهُ. قَالَ: «اقْضِيَا يَوْمًا آخَرَ مَكَانَهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَذَكَرَ جَمَاعَةً مِنَ الْحُفَّاظِ رَوَوْا عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَائِشَةَ مُرْسَلًا وَلَمْ يذكرُوا فِيهِ عَن عُرْوَة وَهَذَا أصح
وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ زُمَيْلٍ مَوْلَى عُرْوَةَ عَن عُرْوَة عَن عَائِشَة
وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ زُمَيْلٍ مَوْلَى عُرْوَةَ عَن عُرْوَة عَن عَائِشَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২০৮১
- রোযার অধ্যায়
৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়ামের ইফতারের বিবরণ
২০৮১। হযরত উম্মে উমারা বিনতে কা'ব (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা নবী করীম (ﷺ) তাঁহার নিকট উপস্থিত হইলেন। তিনি নবী করীমের জন্য খানা আনাইলেন। নবী করীম (ﷺ) বলিলেনঃ তুমিও খাও! তিনি বলিলেন, আমি রোযা। নবী করীম (ﷺ) বলিলেনঃ যখন রোযাদারের নিকট খানা খাওয়া হয় (আর সে সবর করে) ফেরেস্তাগণ তাহার জন্য দো'আ করিতে থাকেন যাবৎ না তাহারা খানা হইতে অবসর গ্রহণ করে। – আহমদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী
كتاب الصوم
وَعَن أم عمَارَة بنت كَعْب إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهَا فَدَعَتْ لَهُ بِطَعَامٍ فَقَالَ لَهَا: «كُلِي» . فَقَالَتْ: إِنِّي صَائِمَةٌ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الصَّائِمَ إِذَا أُكِلَ عِنْدَهُ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ حَتَّى يَفْرَغُوا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه والدارمي
তাহকীক: