মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৭- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৮৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৩৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন মানুষ সর্বদা লোকের নিকট সওয়াল করিতে থাকিবে। পরিণামে কিয়ামতের দিন উপস্থিত হইবে, তখন তাহার মুখমণ্ডলে গোস্ত থাকিবে না। – মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৪০

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪০। হযরত মুআবিয়া (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বলিয়াছেন বাড়াবাড়ি করিও না সওয়ালে। খোদার কসম। তোমাদের কেহ আমার নিকট কিছু... সওয়াল করিবে আর তাহার সওয়াল আমার নিকট হইতে তাহার জন্য কিছু বাহির করিয়া লইবে অথচ আমি উহাতে না-খোশ, এমন হইতে পারে না যে, আমি যাহা তাহাকে দিয়াছি তাহাতে বরকত দেওয়া হইবে। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৪১

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪১। হযরত যুবায়র ইবনে আওয়াম (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন তোমাদের কেহ তাহার বশি হাতে লইবে এবং উহা দ্বারা নিজের পিঠে বহিয়া বোঝা আনিবে। অতঃপর উহা বিক্রয় করিবে এবং উহা দ্বারা আল্লাহ্ তাহার আব্রু রক্ষা করিবেন—ইহা তাহার পক্ষে শ্রেয়তর, লোকের নিকট সওয়াল করা হইতে, লোক তাহাকে কিছু দিবে অথবা মানা করিবে। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৪২

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪২। হযরত হাকীম ইবনে হেযাম (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কিছু চাহিলাম এবং তিনি আমাকে কিছু দিলেন। আমি আবার চাহিলাম, তিনি আবার আমাকে কিছু দিলেন। অতঃপর বলিলেনঃ হাকীম, মনে রাখিও। এই মাল হইল সবুজ মিষ্টি ঘাসের ন্যায়। যে উহা বিনা লোভে গ্রহণ করিবে উহাতে তাহার জন্য বরকত দেওয়া হইবে। আর যে উহা লোভের সাথে গ্রহণ করিবে, তাহাতে তাহার জন্য বরকত দেওয়া হইবে না এবং সে হইবে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে খায় অথচ তৃপ্তি লাভ করে না। (মনে রাখিও।) উপরের হাত নীচের হাত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। হাকীম বলেন, তখন আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তাহার কসম যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠাইয়াছেন, আপনার পর আর আমি কাহারও নিকট চাহিব না যাবৎ না আমি দুনিয়া ত্যাগ করি। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪৩। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে দাঁড়াইয়া সদকা এবং সওয়াল হইতে বিরত থাকা সম্পর্কে আলোচনা করিতে যাইয়া বলিলেন: উপরের হাত হইল নীচের হাত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। উপরের হাত হইল দাতা হাত এবং নীচের হাত হইল গ্রহীতা হাত।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৪৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪৪। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আনসারীদের কতক লোক রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কিছু চাহিল এবং হুযূর তাহাদিগকে কিছু দিলেন যাহাতে তাহার নিকট যাহা ছিল তাহা নিঃশেষ হইয়া গেল। এ সময় হুযুর বলিলেন: আমার নিকট যে মাল থাকে আমি উহা তোমাদিগকে না দিয়া কখনও জমা করিয়া রাখি না। (কিন্তু মনে রাখিও :) যে যাচনা হইতে বাঁচিয়া থাকিতে চায়, আল্লাহ্ তাহাকে বাচিয়া থাকার উপায় করিয়া দেন এবং যে কাহারও মুখাপেক্ষী না হইয়া থাকিতে চায়, আল্লাহ্ তাহাকে কাহারও মুখাপেক্ষী না করিয়াই রাখেন। আর যে ধৈর্য ধারণ করিতে চায়, আল্লাহ্ তাহাকে ধৈর্য ধারণ করিবার তাওফীক দেন। মনে রাখিও! ধৈর্য অপেক্ষা উত্তম ও প্রশস্ততর কোন দান কেহ লাভ করিতে পারে না। — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৪৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪৫। হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে (আমার যাকাত উসূল করার বিনিময়ে) কিছু দিতে চাহিতেন আর আমি বলিতাম, হুযূর আমা অপেক্ষা যে অধিক মোহতাজ তাহাকে ইহা দিন। হুযুর বলিতেন, ইহা গ্রহণ কর এবং নিজের অধিকারে আন। অতঃপর তুমি নিজে উহা দান কর। শুন। তোমার আগ্রহ ও যাচনা ব্যতীত এই ধন-সম্পদের যাহা তোমার নিকটে আসে, তাহা গ্রহণ করিও এবং যাহা এইরূপে আসিবে না তাহার পিছনেও নিজের মনকে লাগাইও না। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৮৪৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪৬। হযরত সামুরা ইবনে জুন্দুব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সওয়াল হইল ক্ষতস্বরূপ যদ্দ্বারা সওয়ালকারী নিজের মুখমণ্ডলকে ক্ষত করিতেছে। এখন যে চাহে আপন মুখমণ্ডলকে অক্ষত রাখিতে পারে আর যে চাহে উহাকে ক্ষত করিতে পারে; কিন্তু কাহারও পক্ষে দেশের শাসন ক্ষমতার অধিকারীর নিকট সওয়াল করা (যাহার নিকট জনসাধারণের প্রাপ্য রহিয়াছে,) অথবা যাহার সওয়াল ব্যতীত কোন গত্যন্তর নাই তাহার পক্ষে সওয়াল ঐরূপ নহে। –আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান