মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৬৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৫৫। হযরত আওফ ইবনে মালেক আজায়ী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার এক জানাযার নামায পড়িলেন। আমি তাহার দোআর কিছু অংশ মনে রাখিয়াছি। তিনি উহাতে এইরূপ বলিলেন:
"হে আল্লাহ! তুমি তাহাকে ক্ষমা কর, তাহার প্রতি দয়া কর, তাহাকে শাস্তিতে রাখ, তাহাকে মাফ কর, তাহাকে সম্মানিত আতিথ্য দান কর, তাহার স্থানকে প্রসারিত কর, তাহাকে পানি, বরফ ও বৃষ্টির দ্বারা ধুইয়া লও, (অর্থাৎ, তাহার গোনাহ মাফ কর,) তাহাকে গোনাহ-খাতা হইতে পরিষ্কার করিয়া লও, যেভাবে তুমি পরিষ্কার করিয়া লও সাদা কাপড়কে ময়লা হইতে, তাহাকে দান কর তুমি তাহার ঘর অপেক্ষা উত্তম ঘর, তাহার পরিবার অপেক্ষা উত্তম পরিবার এবং তাহার স্ত্রী অপেক্ষা উত্তম স্ত্রী, দান কর তাহাকে জান্নাত এবং নিরাপদে রাখ তাহাকে কবর আযাব হইতে ও দোযখের আযাব হইতে।" অপর বর্ণনায় আছে, “বাঁচাইয়া রাখ তাহাকে কবরের বিপদ হইতে এবং দোযখের আযাব হইতে। " আওফ বলেন, যাহাতে আমি বাসনা করিতে লাগিলাম যে, আহা, যদি আমি এই মৃত ব্যক্তি হইতাম! মুসলিম
"হে আল্লাহ! তুমি তাহাকে ক্ষমা কর, তাহার প্রতি দয়া কর, তাহাকে শাস্তিতে রাখ, তাহাকে মাফ কর, তাহাকে সম্মানিত আতিথ্য দান কর, তাহার স্থানকে প্রসারিত কর, তাহাকে পানি, বরফ ও বৃষ্টির দ্বারা ধুইয়া লও, (অর্থাৎ, তাহার গোনাহ মাফ কর,) তাহাকে গোনাহ-খাতা হইতে পরিষ্কার করিয়া লও, যেভাবে তুমি পরিষ্কার করিয়া লও সাদা কাপড়কে ময়লা হইতে, তাহাকে দান কর তুমি তাহার ঘর অপেক্ষা উত্তম ঘর, তাহার পরিবার অপেক্ষা উত্তম পরিবার এবং তাহার স্ত্রী অপেক্ষা উত্তম স্ত্রী, দান কর তাহাকে জান্নাত এবং নিরাপদে রাখ তাহাকে কবর আযাব হইতে ও দোযখের আযাব হইতে।" অপর বর্ণনায় আছে, “বাঁচাইয়া রাখ তাহাকে কবরের বিপদ হইতে এবং দোযখের আযাব হইতে। " আওফ বলেন, যাহাতে আমি বাসনা করিতে লাগিলাম যে, আহা, যদি আমি এই মৃত ব্যক্তি হইতাম! মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৫৬। তাবেয়ী আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান হইতে বর্ণিত আছে, যখন সাহাবী হযরত সা'দ ইবনে ওয়াক্কাস (রাঃ) ইন্তেকাল করিলেন, বিবি আয়েশা (রাঃ) বলিলেন, তাহাকে মসজিদে লইয়া আস যাহাতে আমিও তাহার জানাযা পড়িতে পারি। কিন্তু তাহার এই বাসনাকে নাপছন্দ করা হইল। ইহাতে তিনি বলিলেন, আল্লাহর কসম- স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়যার দুই ছেলে— সুহাইল ও তাহার ভাইয়ের জানাযা মসজিদেই পড়িয়াছেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৫৭। হযরত সামুরা ইবনে জুন্দুব (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে একটি স্ত্রীলোকের জানাযার নামায পড়িয়াছি, যে নেফাসের মুদ্দতে মারা গিয়াছিল। হুযুর তাহার কোমর বরাবর দাড়াইয়াছিলেন। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৫৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৫৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একবার রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কবরের নিকট পৌঁছিলেন, যাহাতে রাতে একটি লোককে দাফন করা হইয়াছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, এ ব্যক্তিকে করে দাফন করা হইয়াছে ? সাহাবীগণ বলিলেন, গতরাতে। হুযুর বলিলেন আমাকে সংবাদ দিলে না কেন? তাহারা বলিলেন, হুযূর। আমরা তাহাকে রাত্রির অন্ধকারে দাফন করিয়াছি, আর তখন হুযুরকে জাগান পছন্দ করি নাই। ইহা শুনিয়া হুযূর দাড়াইলেন, আমরা তাহার পিছনে কাতারবন্দী হইয়া দাঁড়াইলাম। অতঃপর তিনি তাহার জানাযা পড়িলেন। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৫৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একটি কাল স্ত্রীলোক অথবা একটি যুবক (রাবীর সন্দেহ) মসজিদে নববীর ঝাড়ু দিত। একবার রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে দেখিতে পাইলেন না। অতএব, তাহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলেন সাহাবীগণ উত্তর করিলেন, সে মরিয়া গিয়াছে। হুযূর বলিলেন: তোমরা আমাকে সংবাদ দিলে না কেন? আবু হুরায়রা বলেন, সাহাবীগণ যেন তাহার ব্যাপারকে তুচ্ছ মনে করিয়াছিলেন (তাই হুযুরকে সংবাদ দেন নাই)। হুযূর বলিলেন, এখন আমাকে তাহার কবর কোথায় দেখাইয়া দাও। সুতরাং তাহারা তাহাকে উহা দেখাইয়া দিলেন, আর হুযূর তাহার কবরের উপর তাহার জানাযা পড়িলেন। অতঃপর বলিলেন, এই কবরসমূহ কবরবাসীদের জন্য অন্ধকারে পূর্ণ আর আল্লাহ্ তাআলা উহাদিগকে আলোকিত করিয়া দেন তাহাদের জন্য আমার জানাযা পড়ার দরুন। —বুখারী ও মুসলিম; কিন্তু পাঠ মুসলিমের।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৬০

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৬০। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাসের গোলাম কুরায়র (রঃ) আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, কুদাইদ অথবা ওসফান নামক স্থানে ইবনে আব্বাসের এক পুত্র মারা গেল। তখন তিনি বলিলেন, কুরায়ব! যাইয়া দেখ তাহার জানাযার জন্য কি পরিমাণ লোক একত্র হইয়াছে। কুরায়ব বলেন, আমি বাহির হইলাম এবং দেখিলাম যে, বেশ লোক একত্র হইয়াছে এবং তাহা তাহাকে বলিলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, চল্লিশজন হইবে বলিয়া তুমি মনে কর? আমি বলিলাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বলিলেন, তাহাকে বাহির করিয়া আন। অতঃপর তিনি বলিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি, যে কোন মুসলমান মারা যায় আর তাহার জানাযায় এমন চল্লিশ জন লোক দাঁড়ায় যাহারা আল্লাহর সহিত কাহাকেও শরীক করে না, নিশ্চয় আল্লাহ্ তাহার সম্পর্কে তাহাদের সুপারিশ। (অর্থাৎ, দোআ কবুল করেন। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৬১

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৬১। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: যদি কোন মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায পড়ে একদল মুসলমান যাহাদের সংখ্যা একশত পর্যন্ত পৌঁছে এবং প্রত্যেকে সুপারিশ করে তাহার জন্য, নিশ্চয় তাহাদের সুপারিশ কবুল করা হয় তাহার সম্পর্কে। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৬২

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৬২। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, লোক একটি লাশের নিকট দিয়া অতিক্রম করিল এবং সে ভাল লোক বলিয়া প্রশংসা করিল। তখন নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন (তাহার জন্য) নির্ধারিত হইয়া গেল। অতঃপর লোক অপর একটি লাশের নিকট দিয়া অতিক্রম করিল এবং সে মন্দ লোক বলিয়া তাহার কুৎসা করিল। হুযুর বলিলেন, (ইহার জন্যও) নির্ধারিত হইয়া গেল। ইহা শুনিয়া হযরত ওমর জিজ্ঞাসা করিলেন, হুযুর! কি নির্ধারিত হইয়া গেল? হুযূর বলিলেন, ঐ ব্যক্তি, যাহার তোমরা প্রশংসা করিলে, সুতরাং তাহার জন্য বেহেশত নির্ধারিত হইয়া গেল, আর এই ব্যক্তি, ইহার তোমরা কুৎসা করিলে, সুতরাং ইহার জন্য দোযখ নির্ধারিত হইয়া গেল। তোমরা (মু'মিনরা) হইতেছ পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী। --মোত্তাঃ। অপর এক বর্ণনায় রহিয়াছে, মু'মিনরা হইতেছে পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৬৩। হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন যে কোন মুসলমানের পক্ষে চারিজন মুসলমান ভাল বলিয়া সাক্ষ্য দিবে, তাহাকে আল্লাহ্ তা'আলা বেহেশত দান করিবেন। (ওমর বলেন,) আমরা জিজ্ঞাসা করিলাম, হুযুর! তিনজনে সাক্ষ্য দিলে? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, তিনজনে সাক্ষ্য দিলেও পুনঃ আমরা জিজ্ঞাসা করিলাম, দুইজনে সাক্ষ্য দিলে? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, দুইজনে সাক্ষ্য দিলেও। ওমর বলেন, অতঃপর আমরা একজনের সাক্ষ্যের কথা জিজ্ঞাসা করিলাম না। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৬৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন মৃত ব্যক্তিদের মন্দ বলিও না। কেননা, তাহারা যাহা করিয়াছে তাহার প্রতিফল তাহারা পাইয়াছে। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৬৫। হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহুদ যুদ্ধের শহীদগণের দুই দুই ব্যক্তিকে একই কাপড়ে (কবরে) রাখিতে লাগিলেন এবং জিজ্ঞাসা করিতে রহিলেন, ইহাদের কে কুরআন অধিক শিখিয়াছে ? যখন তাহাদের কোন ব্যক্তির প্রতি ইঙ্গিত করা হইত তাহাকেই তিনি প্রথমে কবরে রাখিতেন। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ আমি কিয়ামতের দিন তাহাদের জন্য সাক্ষী হইব। রাবী বলেন, তিনি তাঁহাদিগকে তাঁহাদের রক্তের সহিত দাফন করিতে নির্দেশ দিলেন এবং তাঁহাদের জানাযা পড়িলেন না। এমন কি তাঁহাদের গোসলও দেওয়া হইল না। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৬৬। হযরত জাবের ইবনে সামুরা (রাঃ) বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট জিন ছাড়া একটি ঘোড়া আনা হইল এবং তিনি ইবনে দাহ্দাহ্-এর জানাযা হইতে ফিরিবার কালে উহাতে সওয়ার হইলেন আর আমরা তাঁহার পাশে পাশে হ্যাঁটিতে রহিলাম। —মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৬৭। হযরত মুগীরা ইবনে শো'বা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সওয়ার ব্যক্তি লাশের পিছনে চলিবে। আর পায়ে হ্যাঁটা ব্যক্তি লাশের পিছনে, সম্মুখে, ডানে, বামে এবং নিকট দিয়াও চলিতে পারে। (তিনি আরও বলিয়াছেন,) অপূর্ণ প্রসবিত বাচ্চারও জানাযা পড়িবে এবং তাহার পিতা মাতার জন্য (আল্লাহর দরবারে) ক্ষমা ও দো'আ প্রার্থনা করিবে। – আবু দাউদ
কিন্তু আহমদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহর বর্ণনায় রহিয়াছে, সওয়ার ব্যক্তি পিছনে চলিবে, পায়ে হ্যাঁটা ব্যক্তি যথা ইচ্ছা তথা দিয়া চলিবে এবং শিশুরও জানাযা পড়িবে। মাসাবীহতে হাদীসটি মুগীরা ইবনে যিয়াদ হইতে বর্ণিত হইয়াছে।
কিন্তু আহমদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহর বর্ণনায় রহিয়াছে, সওয়ার ব্যক্তি পিছনে চলিবে, পায়ে হ্যাঁটা ব্যক্তি যথা ইচ্ছা তথা দিয়া চলিবে এবং শিশুরও জানাযা পড়িবে। মাসাবীহতে হাদীসটি মুগীরা ইবনে যিয়াদ হইতে বর্ণিত হইয়াছে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৬৮। তাবেয়ী যুহরী তাবেয়ী সালেম হইতে, তিনি তাঁহার পিতা হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি (আব্দুল্লাহ্) বলিয়াছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এবং হযরত আবু বকর ও ওমর (রাঃ) কে দেখিয়াছি, তাহারা লাশের আগে আগে চলিতেন। – আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্ ।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৬৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ লাশের অনুগমন করা হয়। লাশ কাহারও অনুগমন করে না। যে ব্যক্তি লাশের আগে চলিয়াছে, সে তাহার সহিত নহে। (অর্থাৎ, তাহার জন্য সওয়াব নাই।) — তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্। আর তিরমিযী বলিয়াছেন, রাবী আবু মাজেদ মাজহুল।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৭০

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৭০। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জানাযার অনুগমন করিয়াছে এবং (জীবনে) তিনবার জানাযার লাশ বহন করিয়াছে, সে এ ব্যাপারে তাহার প্রতি আরোপিত কর্তব্য সমাধা করিয়াছে। — তিরমিযী, এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৭১

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৭১। বগবীর শরহে সুন্নাহ্য় রহিয়াছে, নবী করীম (ﷺ) হযরত সা'দ ইবনে মুআয সাহাবীর লাশ বহন করিয়াছিলেন, সম্মুখের দুইটি দণ্ডের মধ্যখানে হইয়া।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৭২

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৭২। হযরত সওবান (রাঃ) বলেন, একবার আমরা নবী করীম (ﷺ)-এর সহিত এক জানাযায় বাহির হইলাম। তিনি কতক লোককে আরোহীরূপে দেখিয়া বলিলেনঃ তোমরা কি লজ্জাবোধ কর না যে, আল্লাহ্র ফিরিশতাগণ পায়ে হ্যাঁটিয়া চলিয়াছেন আর তোমরা পশুর পিঠে আরোহণ করিয়াছ? – তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ । আবু দাউদ ইহার অনুরূপ। তিরমিযী বলিয়াছেন, সওবানের এই রেওয়ায়তটি মউকুফ হিসাবে বর্ণিত।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৭৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৭৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) জানাযার নামাযে সূরা ফাতেহা পাঠ করিয়াছেন। — তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৬৭৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা
১৬৭৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তোমরা কোন মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায পড়িবে, তখন তাহার জন্য অন্তরের সহিত খালেস দো'আ করিবে। –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান