মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৬- জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন

হাদীস নংঃ ১৬২৪
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়
১৬২৪। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, (আমার পিতা) আবু বকর (রাঃ) নবী করীম (ﷺ)কে মৃত অবস্থায় চুম্বন করিয়াছিলেন। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৬২৫
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়
১৬২৫। হুসাইন ইবনে ওয়ায়াহ্ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, হযরত তালহা ইবনে বারা রোগাক্রান্ত হইলে নবী করীম (ﷺ) তাহাকে দেখিতে আসিলেন এবং বলিলেনঃ আমি দেখিতেছি, তালহার মৃত্যু আসন্ন। সুতরাং তোমরা আমাকে সংবাদ দিও এবং (দাফনে) তাড়াতাড়ি করিও! কেননা, কোন মুসলমানের লাশ তাহার পরিবারের মধ্যে আটক রাখা উচিত নহে। –আবু দাউদ

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৬২৬
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়
১৬২৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে জা'ফর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃত্যু আসন্ন ব্যক্তিদিগকে তালকীন করিবে, “আল্লাহ্ ব্যতীত কোন উপাস্য নাই, যিনি বড় সহিষ্ণু ও মহানুভব। আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি, যিনি মহান আরশের প্রভু পরওয়ারদেগার। আল্লাহরই সমস্ত প্রশংসা যিনি জগৎ সমূহের প্রতিপালক প্রভু।” সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেন, হুযুর! ইহা জিন্দাদের জন্য কেমন? হুযূর বলিলেন, বহুত উত্তম বহুত উত্তম। — ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৬২৭
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়
১৬২৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট ফিরিশতাগণ উপস্থিত হন। যদি সে ব্যক্তি নেক্কার হয় ফিরিশতাগণ বলেন, বাহির হইয়া আস, হে পবিত্র প্রাণ! যাহা পবিত্র দেহে ছিলে। বাহির হইয়া আস প্রশংসার সাথে এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর সুখ-শান্তি ও সুখাদ্যের এবং তোমার প্রতি প্ৰভু পরওয়ারদেগার যে রোষহীন তাহার। এভাবে উহাকে বলা হইতে থাকিবে, যাবৎ না উহা বাহির হইয়া আসে। অতঃপর উহাকে আসমানের দিকে উঠান হয়, তখন খুলিয়া দেওয়া হয় তাহার জন্য আসমান এবং জিজ্ঞাসা করা হয়, এ কে? ফিরিশতাগণ বলেন, অমুক। তখন বলা হয়, মারহারা! হে পবিত্র প্রাণ! যাহা পবিত্র দেহে ছিলে। প্রবেশ কর প্রশংসার সাথে এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর সুখ-শান্তি, সুখাদ্য ও তোমার প্রতি প্রভু পরওয়ারদেগার যে রোষহীন তাহার। এভাবে বলা হইতে থাকে, যাবৎ না সে সেই আসমানে উপনীত হয়, যাহাতে আল্লাহ্ রহিয়াছেন।
আর যদি সে ব্যক্তি বদকার হয়, ফিরিশতা বলেন, বাহির হইয়া আস, হে নোংরা প্রাণ ! যাহা নোংরা দেহে ছিলে, তিরস্কৃত অবস্থায় বাহির হইয়া আস এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর, গরম পানি ও দুর্গন্ধযুক্ত পানির, আরও অনুরূপ জিনিসের। উহাকে এইরূপ বলা হইতে থাকিবে, যাবৎ না উহা বাহির হইয়া আসে। অতঃপর উহাকে আসমানের দিকে উঠান হয় এবং উহার জন্য আসমান খুলিয়া দিতে বলা হয়। তখন জিজ্ঞাসা করা হয়, এ কে? বলা হয় অমুক। তখন বলা হয়, এই খবীস প্রাণের জন্য কোন স্বাগতম নাই যাহা খবীস দেহে ছিল। ফিরিয়া যাও তিরস্কারের সাথে! কেননা, তোমার জন্য আসমানের দরজা খোলা হইবে না। সুতরাং তাহাকে নীচে পাঠান হয় আসমান হইতে, অতঃপর সে কবরের দিকে যায়। – ইবনে মাজাহ্

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নংঃ ১৬২৮
details icon

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়
১৬২৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন মু'মিনের রূহ্ বাহির হয়, দুইজন ফিরিশতা তাহাকে লুফিয়া লন এবং তাহাকে উপরে উঠাইয়া লন। (পরবর্তী রাবী) হাম্মাদ বলেন, অতঃপর তিনি তাহার সুগন্ধির কথা উল্লেখ করিলেন এবং মেশকের কথা উল্লেখ করিলেন। তৎপর বলিলেন, তখন আসমানবাসীরা বলেন, পবিত্র রূহ যমীনের দিক হইতে আসিয়াছে। তোমার প্রতি আল্লাহর রহমত হউক এবং সেই শরীরের প্রতি যাহাকে তুমি আবাদ (জিন্দা) রাখিয়াছিলে। অতঃপর তাহাকে তাহার পরওয়ারদেগারের নিকট লইয়া যাওয়া হয়। তখন বলা হয়, তাহাকে (তাহাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে) লইয়া যাও, শেষ সময় অবধির জন্য (অর্থাৎ, কিয়ামত অবধির জন্য)।
অতঃপর হুযূর বলিলেন—কাফের, যখন তাহার রূহ্ বাহির হয়। হাম্মাদ বলেন, অতঃপর তিনি তাহার দুর্গন্ধের কথা উল্লেখ করিলেন এবং তাহার প্রতি আল্লাহর লা'নতের কথা বলিলেন এবং তৎপর কহিলেন, তখন আসমানবাসীরা বলেন, খবীস রূহ্ যমীনের দিক হইতে আসিয়াছে। তখন বলা হয়, তাহাকে লইয়া যাও (তাহার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে) কিয়ামত অবধির জন্য। আবু হুরায়রা বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁহার গায়ের উপরের চাদর নাকের উপর টানিয়া দিলেন (যেন তিনি দুর্গন্ধ পাইতেছেন)। —মুসলিম

tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান