মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৫১২

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ঝড় তুফানের সময়
১৫১২। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কখনও এইরূপ হাসিতে দেখি নাই, যাহাতে তাহার আল-জিভ দেখিতে পাই। তিনি শুধু মুচকি হাসিতেন। তিনি যখন মেঘ অথবা প্রবল বাতাস দেখিতেন, ইহার চিহ্ন তাঁহার চেহারা বিচলিত হইয়া পড়িত। (কেননা, ঝড় ও প্লাবন দ্বারা আল্লাহ্ অনেক জাতিকে ধ্বংস করিয়াছেন।) — মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫১৩

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ঝড় তুফানের সময়
১৫১৩। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, যখন ঝঞ্ঝা বহিতে আরম্ভ করিত, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিতেন, “হে খোদা! আমি তোমার নিকট প্রার্থনা করিতেছি ইহার ভাল দিক, ইহাতে যাহা ভাল রহিয়াছে তাহা এবং ইহা যে উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হইয়াছে তাহার ভাল দিক এবং আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাহিতেছি ইহার মন্দ হইতে, ইহাতে যাহা মন্দ রহিয়াছে তাহা হইতে এবং ইহা যে উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হইয়াছে তাহার মন্দ হইতে।" (আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইত তাহার রং পরিবর্তিত হইয়া যাইত এবং তিনি (বিপদের আশংকায়) একবার বাহিরে যাইতেন একবার ভিতরে প্রবেশ করিতেন এবং একবার সম্মুখে অগ্রসর হইতেন একবার পিছনে সরিতেন। অতঃপর যখন স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টি হইত, তাঁহার চেহারা খোশ হইয়া উঠিত। (রাবী বলেন, একবার আয়েশা (রাঃ) তাহা বুঝিতে পারিলেন এবং তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন। উত্তরে তিনি বলিলেন: হে আয়েশা। ইহা এমনও তো হইতে পারে, যেমন আদ কওম ভাবিয়াছিল। (আল্লাহ্ পাক কোরআনে বলেন, )
"তাহারা যখন উহাকে তাহাদের মাঠের দিকে আসিতে দেখিল, বলিল, ইহা তো মেঘ, আমাদের প্রতি পানি বর্ষাইবে। "
অপর বর্ণনায় রহিয়াছে, হুযূর (ছাঃ) যখন স্বাভাবিক বৃষ্টি দেখিতেন, বলিতেন, (আল্লাহর) রহমত। মোত্তাঃ
"তাহারা যখন উহাকে তাহাদের মাঠের দিকে আসিতে দেখিল, বলিল, ইহা তো মেঘ, আমাদের প্রতি পানি বর্ষাইবে। "
অপর বর্ণনায় রহিয়াছে, হুযূর (ছাঃ) যখন স্বাভাবিক বৃষ্টি দেখিতেন, বলিতেন, (আল্লাহর) রহমত। মোত্তাঃ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫১৪

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ঝড় তুফানের সময়
১৫১৪। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ গায়বের (অদৃশ্য বস্তুর) কুঞ্জি পাঁচটি। অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ করিলেন, "নিশ্চয় আল্লাহ্ তাহার নিকট রহিয়াছে কেয়ামতের এলম আর তিনিই প্রেরণ করেন মেঘ-বৃষ্টি.. ।" -বোখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫১৫

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - ঝড় তুফানের সময়
১৫১৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : 'দুর্ভিক্ষ ইহা নহে যে, তোমরা বৃষ্টি লাভ করিবে না, বরং দুর্ভিক্ষ ইহা যে, তোমরা বৃষ্টির পর বৃষ্টি লাভ করিবে, অথচ যমীন কিছু উৎপাদন করিবে না। মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫১৬

পরিচ্ছেদঃ ৫৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ঝড় তুফানের সময়
১৫১৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, বাতাস আল্লাহর পক্ষ হইতে আগমনকারী। উহা রহমত লইয়াও আসে এবং আযাব লইয়াও আসে। সুতরাং উহাকে গালি দিও না; বরং আল্লাহর নিকট উহার কল্যাণ প্রার্থনা করিও এবং উহার মন্দ হইতে তাঁহার নিকট আশ্রয় চাহিও। —শাফেয়ী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্ ও বায়হাকী দাওয়াতুল কবীরে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান