মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৫০৩

পরিচ্ছেদঃ ৫২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বৃষ্টির জন্য সালাত
১৫০৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বৃষ্টি প্রার্থনা করিলেন আর তখন তাঁহার গায়ে ছিল একটি চতুষ্কোণ কাল চাদর। তিনি ইচ্ছা করিলেন উহার নীচের দিক ধরিয়া উপরে করিয়া দিতে; কিন্তু যখন উহা ভারী বোধ হইল, (শুধু) দুই কাঁধের উপর ঘুরাইয়া দিলেন। (অর্থাৎ, ডান কাঁধের দিক বাম কাঁধে এবং বাম কাঁধের দিক ডান কাঁধে দিলেন।) — আহমদ ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫০৪

পরিচ্ছেদঃ ৫২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বৃষ্টির জন্য সালাত
১৫০৪। হযরত ওমায়র মাওলা আবিল্লাম (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি নবী করীম (ﷺ)-কে আহজারুযযায়ত নামক স্থানের নিকট যাওরার কাছাকাছি বৃষ্টি প্রার্থনা করিতে দেখিয়াছেন। হুযূর (ﷺ) তখন দাঁড়াইয়া হস্তদ্বয় চেহারার দিকে উঠাইয়া দো'আ করিতেছিলেন এবং বৃষ্টি প্রার্থনা করিতেছিলেন; কিন্তু তাঁহার হস্ত তাঁহার মাথা অতিক্রম করে নাই। –আবু দাউদ। এবং তিরমিযী ও নাসায়ী উহার অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫০৫

পরিচ্ছেদঃ ৫২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বৃষ্টির জন্য সালাত
১৫০৫। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একবার ইস্তেস্কায় বাহির হইলেন সাধারণ বেশে কাজকর্মের কাপড় পরিয়া; নম্রতা ও বিনয় সহ কারে, আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করিতে করিতে। – তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫০৬

পরিচ্ছেদঃ ৫২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বৃষ্টির জন্য সালাত
১৫০৬। আমর ইবনে শোআইব তাঁহার পিতার মাধ্যমে তাঁহার দাদা হইতে বর্ণনা করেন যে, তাঁহার দাদা বলিয়াছেন, নবী করীম (ﷺ) যখন বৃষ্টি প্রার্থনা করিতেন, বলিতেন, আল্লাহ্! তুমি তোমার বান্দাদের ও তোমার পশুদের পানি দান কর এবং তাহাদের প্রতি তোমার রহমত বর্ষণ কর এবং তোমার মৃত যমীনকে জীবিত কর। —মালেক ও আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫০৭

পরিচ্ছেদঃ ৫২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বৃষ্টির জন্য সালাত
১৫০৭। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে ইস্তেস্কায় হস্ত প্রসারিত করিতে এবং এই বলিতে দেখিয়াছি, আল্লাহ্! আমাদের পানি দান কর যাহা সুপাচ্য, ফসল উৎপাদনকারী, উপকারী, ক্ষতিকর নহে, সহসা আগমনকারী ও বিলম্বকারী নহে। (রাবী বলেন, ইহা বলিতে না বলিতেই) তাহাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষিতে লাগিল। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৫০৮

পরিচ্ছেদঃ ৫২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বৃষ্টির জন্য সালাত
১৫০৮। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, একবার লোকেরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট অনাবৃষ্টির অভিযোগ করিল। তিনি একটি মিম্বর স্থাপন করিতে বলিলেন, সেমতে তাঁহার জন্য ঈদগাহে একটি মিম্বর স্থাপন করা হইল। তিনি এক (নির্দিষ্ট) তারিখে ঈদগাহে বাহির হইবেন বলিয়া লোকদিগকে কথা দিলেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, সেমতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (ঈদগাহের দিকে) বাহির হইলেন যখন সূর্যের কিনারা দেখা দিল এবং মিম্বরে উঠিয়া বসিলেন। অতঃপর আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা করিলেন ও তাঁহার প্রশংসা করিলেন। তৎপর বলিলেনঃ তোমরা তোমাদের শহরে অনাবৃষ্টি এবং বৃষ্টির নির্দিষ্ট মওসুম অতিক্রম করার অভিযোগ করিয়াছ। আল্লাহ্ তোমাদের নির্দেশ দিয়াছেন তোমরা যেন তাঁহাকে ডাক এবং তিনি ওয়াদা দিয়াছেন তোমাদের ডাকে তিনি সাড়া দিবেন। অতঃপর বলিলেন, “আল্লাহ্ই সমস্ত প্রশংসা যিনি জগৎসমূহের প্রতিপালক, প্রভু, দয়াময় ও দয়ালু, প্রতিফল দিবসের মালিক। আল্লাহ্ ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই। তিনি যাহা ইচ্ছা তাহা করেন। হে আল্লাহ্! তুমিই আল্লাহ্। তুমি ব্যতীত কোন মা'বূদ নাই। তুমি বেনিয়ায, কাহারও মুখাপেক্ষী নও আর আমরা তোমার মুখাপেক্ষী। আমাদের প্রতি বৃষ্টি বর্ষণ কর। আর যাহা বর্ষণ করিবে তাহাকে আমাদের শক্তির কারণ এবং দীর্ঘ সময়ের পাথেয় কর।” অতঃপর আপন হস্তদ্বয় উঠাইলেন এবং এত উঠাইলেন, যাহাতে তাঁহার বগলের সাদা অংশ প্রকাশিত হইয়া গেল। তৎপর জনতার দিকে পিঠ দিলেন এবং আপন চাদর ঘুরাইয়া লইলেন, অথচ তখনও তাঁহার হস্তদ্বয় উঠান ছিল। অতঃপর লোকের দিকে মুখ করিলেন এবং নামিয়া পড়িলেন এবং দুই রাকআত নামায পড়িলেন। তখন আল্লাহ্ তা'আলা এক মেঘের সৃষ্টি করিলেন, মেঘ গর্জন করিল এবং বিদ্যুৎ চমকাইল। তৎপর আল্লাহর হুকুমে বৃষ্টি বর্ষিত হইল এবং তিনি তাহার মসজিদ পর্যন্ত না পৌঁছিতেই ঢল নামিয়া গেল। এসময় যখন তিনি লোকদিগকে আশ্রয়ের দিকে দৌড়িতে দেখিলেন, হাসিয়া দিলেন যাহাতে তাঁহার সম্মুখের দাঁতসমূহ প্রকাশিত হইয়া গেল (অথচ তিনি কখনও দাঁত খুলিয়া হাসিতেন না)। তখন তিনি বলিলেন, আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ্ তা'আলা প্রত্যেক বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান এবং ইহাও সাক্ষ্য দিতেছি যে, আমি আল্লাহর বান্দা এবং তাঁহার রাসূল। –আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান