মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১৩৬৩

পরিচ্ছেদঃ ৪২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত
১৩৬৩। হযরত আবু লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনযের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জুমুআর দিন সকল দিনের সর্দার দিন এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত দিন। উহা কোরবানীর দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। উহাতে পাঁচটি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয় রহিয়াছে। উহাতেই আল্লাহ্ পাক আদমকে সৃষ্টি করিয়াছেন, উহাতেই আল্লাহ্ তাঁহাকে যমীনে প্রেরণ করিয়া ছেন এবং উহাতেই তিনি তাঁহাকে মৃত্যু দান করিয়াছেন। উহাতেই এমন একটি মুহূর্ত রহিয়াছে, যদি কোন বান্দা সে মুহূর্তে আল্লাহর নিকট কিছু যাজ্ঞা করে তিনি তাহাকে উহা নিশ্চয় দান করেন, যে পর্যন্ত না সে হারাম কিছু যাত্রা করে এবং উহাতেই কেয়ামত কায়েম হইবে। এমন কোন সম্মানিত ফিরিশতা নাই, আসমান নাই, যমীন নাই, বাতাস নাই, পাহাড় নাই ও সমুদ্র নাই, যে জুমুআর দিন সম্পর্কে ভীত নহে। (কি জানি হঠাৎ কেয়ামত কায়েম হইয়া যায়। ) – ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৪২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত
১৩৬৪। কিন্তু ইমাম আহমদ সা'দ ইবনে মুআয প্রমুখাৎ এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, একদা আনসারীদের মধ্য হইতে এক ব্যক্তি আসিয়া নবী করীম (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করিল, হুযূর ! জুমুআর দিন সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন, উহাতে কি কল্যাণ রহিয়াছে? উত্তরে হুযূর বলিলেন, উহাতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রহিয়াছে— শেষ পর্যন্ত।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৬৫

পরিচ্ছেদঃ ৪২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত
১৩৬৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদিন নবী করীম (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করা হইল, হুযূর! জুমুআর দিনকে জুমুআর দিন কেন বলা হয় (জুমুআর অর্থ তো একত্র করা, সমাবেশ) ? হুযূর (ﷺ) উত্তর করিলেন, কেননা, সেইদিন তোমার পিতা আদম (আঃ)-এর কাদামাটি একত্র করা হইয়াছে, উহাতেই বিশ্বের ধ্বংসসাধন ও জীবকুলকে পুনরায় উঠান হইবে, উহাতেই কঠোরভাবে কাফেরদের পাকড়াও করা হইবে এবং উহারই শেষ তিন মুহূর্তের মধ্যে এমন একটি মুহূর্ত রহিয়াছে, যদি কেহ তখন আল্লাহকে ডাকে, আল্লাহ্ তাহার ডাকে সাড়া দেন। —আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৬৬

পরিচ্ছেদঃ ৪২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত
১৩৬৬। হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জুমুআর দিন আমার প্রতি বেশী করিয়া দরূদ পাঠ করিবে। কেননা, উহা হাযিরির দিন, উহাতে ফিরিশতাগণ (আল্লাহর বিশেষ রহমত লইয়া) হাযির হইয়া থাকেন। তোমাদের যে কেহ (যে কোন দিন) আমার প্রতি দরূদ পাঠ করিবে, নিশ্চয় উহা আমার নিকট পেশ করা হইবে যাবৎ না সে উহা হইতে অবসর গ্রহণ করিবে। রাবী বলেন, আমি বলিলাম, মৃত্যুর পরেও কী ? হুযূর (ﷺ) বলিলেন, (মৃত্যুর পরেও কেননা,) আল্লাহ্ তা'আলা নবীদের শরীর খাওয়াকে মাটির প্রতি হারাম করিয়া দিয়াছেন। সুতরাং তথায় আল্লাহর নবী জিন্দা, (জিন্দাদের ন্যায় তথায়) তাঁহাকে রিযিক দেওয়া হইতেছে। —ইবনে মাজাহ্

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৪২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত
১৩৬৭। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন মুসলমান যদি জুমুআর দিনে অথবা জুমুআর রাতে মারা যায়, আল্লাহ্ তা'আলা নিশ্চয় তাহাকে কবরের ফেতনা হইতে রক্ষা করেন। — আহমদ ও তিরমিযী। কিন্তু তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব, উপরন্তু তাহার সনদও মোত্তাসিল নহে বরং মোনকাতে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৬৮

পরিচ্ছেদঃ ৪২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত
১৩৬৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি একদিন “অদ্য আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করিলাম” এই আয়াতটি শেষ পর্যন্ত পাঠ করিলেন, তখন তাঁহার নিকট এক ইহুদী ছিল, সে বলিয়া উঠিল, যদি এই আয়াত আমাদের উপর অবতীর্ণ হইত আমরা উহার অবতীর্ণের দিনকে ঈদ বলিয়া ঘোষণা করিতাম। ইহা শুনিয়া হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলিলেন, ইহা (আমাদের উপর) সেই দিন অবতীর্ণ হইয়াছে, যে দিন এক সঙ্গে দুই ঈদ হইতেছিল—জুমুআর দিন এবং আরাফার (অর্থাৎ, হজ্জের) দিন। —তিরমিযী এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি হাসান গরীব।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১৩৬৯

পরিচ্ছেদঃ ৪২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত
১৩৬৯। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, যখন রজব মাস আসিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিতেন, আল্লাহ্! আপনি আমাদের জন্য রজব ও শা'বান মাসে বরকত দান করুন এবং আমাদেরকে রমযান পর্যন্ত বাঁচাইয়া রাখুন। রাবী বলেন, তিনি আরও বলিতেন, জুমুআর রাত্রি একটি উজ্জ্বল রাত্রি এবং জুমুআর দিন একটি উজ্জ্বল দিন।—বায়হাকী দা'ওয়াতুল কবীরে

তাহকীক:
তাহকীক চলমান