মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৯৩৮

পরিচ্ছেদঃ ১৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নাবী (ﷺ)-এর ওপর দরূদ পাঠ ও তার মর্যাদা
৯৩৮। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, দোয়া প্রার্থনা আসমান ও যমিনের মাঝখানে শূন্যে ঝুলতে থাকে। তার কিছুই উপরে উঠে না যতক্ষণ না তোমার নবীর উপর দরূদ পাঠ কর। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৯৩৯

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাশাহুদের মধ্যে দুআ
৯৩৯। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) নামাযের মধ্যে (সালাম ফেরাবার পূর্বে) দোয়া করতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট কবর আযাব হতে আশ্রয় চাইতেছি। আমি তোমার নিকট দাজ্জালের ফেতনা হতে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি তোমার নিকট জীবন-মৃত্যুর পরীক্ষা হতে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট গুনাহ এবং ঋণের বোঝা হতে আশ্রয় চাইতেছি। এক ব্যক্তি বলে উঠল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আপনি ঋণের জন্য অত্যধিক আশ্রয় চেয়ে থাকেন, (এর কারণ কি?) তিনি বললেন, এর কারণ হল, কেউ ঋণগ্রস্ত হলে কথা বলার সময় মিথ্যা বলে। ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে (অর্থাৎ কথা ও ওয়াদা রক্ষা করতে পারে না।) -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৯৪০

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাশাহুদের মধ্যে দুআ
৯৪০। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ শেষ তাশাহহুদ হতে ফারেগ হয়ে যেন আল্লাহর নিকট চারটি বস্তু হতে আশ্রয় প্রার্থনা করে। (১) দোযখের সাজা হতে। (২) কবর আযাব হতে। (৩) জীবন মৃত্যুর পরীক্ষা হতে এবং (৪) কানা দাজ্জালের কূপ্রভাব হতে। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৯৪১

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাশাহুদের মধ্যে দুআ
৯৪১। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) তাদেরকে এই দোয়া শিক্ষা দিতেন, যেভাবে তাদেরকে কুরআনে পাকের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, তোমরা বল, হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি জাহান্নামের আযাব থেকে, আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে। আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি কানা দাজ্জালের পরীক্ষা হতে এবং তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি জীবন মৃত্যুর পরীক্ষা হতে। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৯৪২

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাশাহুদের মধ্যে দুআ
৯৪২। হযরত আবুবকর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। আমাকে একটি দোয়া শিখিয়ে দিন যা আমি নামাযের মধ্যে পড়তে পারি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, বল হে আল্লাহ্! আমি আমার প্রতি অসংখ্য জুলুম করেছি এবং তুমি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করবার আর কেউ নেই; সুতরাং তোমার নিজ গুণে আমার গুনাহ মার্জনা কর এবং আমার উপর দয়া কর। কেননা তুমি মার্জনাকারী, দয়ালু। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান