মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৮৮৩

পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৮৩। হযরত সাঈদ ইবনে জোবায়ের (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পর আমি এই যুবক তথা ওমর ইবনে আব্দুল আযীয অপেক্ষা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে বেশী সামঞ্জস্যপূর্ণ নামায পড়তে আর কাউকেও দেখি নি। ইবনে জোবায়ের বলেন, হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেছেন, আমি তার রুকূর সময়ের অনুমান করেছি দশ তাসবীহ পরিমাণ সময় এবং তার সিজদার সময়ের অনুমানও করেছি দশ তাসবীহ পরিমাণ সময়। -আবু দাউদ, নাসায়ী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৮৪

পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৮৪। হযরত শাকীক (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, হযরত হোযায়ফাহ (রাযিঃ) এক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে তার রুকূ সিজদাহ (যথাযথভাবে) পূর্ণ করছে না। লোকটি নামায শেষ করলে তিনি তাকে ডেকে বললেন, তুমি নামায পড় নি। শাকীক বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন যে, তুমি এই অবস্থায় মারা গেলে আল্লাহ্ পাক মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে যে ফেতরাতের উপর পয়দা করেছেন তুমি তা হতে পৃথক অবস্থার উপর মারা যাবে। -বুখারী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৮৫

পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৮৫। হযরত আবু কাতাদাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, চোরদের মধ্যে সর্বাধিক নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি, যে তার নামায় চুরি করে। সাহাবীগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! নামায চুরি করে কি প্রকারে? তিনি (ﷺ) বললেন, সে নামাযের রুকূ ও সিজদাহ পূর্ণ করে না। -আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৮৬

পরিচ্ছেদঃ ১৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৮৬। হযরত নো'মান ইবনে মুররাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদা সাহাবীগণকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা শরাবখোর, ব্যভিচারী এবং চোরের শাস্তি সম্পর্কে কি ধারণা কর? (ঐ সময় পর্যন্ত ইহাদের শাস্তি সম্পর্কে কুরআনে পাকের শেষ আয়াত নাযিল হয় নি) সাহাবীগণ বললেন, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলই এই সম্পর্কে ভাল জানেন। তিনি (ﷺ) বললেন, এগুলো হল, জঘন্য অপরাধ। আর এগুলোর জন্যে শাস্তি ভোগ করতে হবে। তবে সর্বাধিক জঘন্য চুরি, তার চুরি, যে তার নামাযের অংশ চুরি করে। সাহাবীগণ আরজ করলেন, নামাযের অংশ কিভাবে চুরি করা হয় ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। তিনি বললেন, সে তার নামাযের রুকূ ও সিজদাহ পূর্ণ করে না। মালেক, দারেমী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৮৮৭

পরিচ্ছেদঃ ১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - সিজদা্ ও তার মর্যাদা
৮৮৭। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমাকে সাতটি হাড় (অঙ্গ দ্বারা সিজদাহ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ললাট, দু’হাত, দু'হাঁটু এবং দু' পায়ের মাথা এবং আমি কাপড় এবং চুল যেন (নামাযের মধ্যে) না গুটোই। - বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান