৮০৭। হযরত ইকরিমাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি মক্কায় এক শায়খের (হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ)-এর) পিছনে নামায পড়লাম। তিনি নামাযে মোট বাইশবার তাকবীর বললেন। (অতঃপর) আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট বললাম যে, লোকটি নির্বোধ বৈকি! তা শুনে তিনি বললেন, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক। (অর্থাৎ তুমি ধ্বংস হও)। এটা তো হযরত আবুল কাসেম (ﷺ)-এরই তরীকা। -বুখারী

৮০৮। হযরত আলী ইবনে হোসায়েন মুরসাল সূত্রে বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মাথা নীচু করবার কালে এবং উপরে উঠানোর কালে তাকবীর বলতেন। তিনি ইনতিকাল পর্যন্তই নামায এভাবে পড়েছেন। -মালেক

৮০৯। হযরত আলকামাহ (রহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (নামাযের মত) নামায পড়ে দেখাব না? অতঃপর নামায পড়লেন কিন্তু তাকবীরে তাহরীমা ছাড়া আর কোনস্থানে হাত উঠালেন না। -তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী
আবু দাউদ বলেছেন, হাদীসটি এই অর্থে বিশুদ্ধ নয় (কিন্তু তিরমিযী এটিকে হাসান বলেছেন)।

৮১০। হযরত আবু হুমাইদ সায়েদী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে দাঁড়ানোর সময় কিবলামুখী হয়ে দাঁড়াতেন এবং হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলতেন। —ইবনে মাজাহ

৮১১। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একবার আমাদেরকে যোহরের নামায পড়ালেন। তখন এক ব্যক্তি সর্ব পেছনের কাতারে ছিল এবং নামায যেনতেনভাবে আদায় করছিল। নামাযের সালাম ফিরাবার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ডাকলেন, হে অমুক! তুমি কি আল্লাহকে ভয় কর না? তুমি কি তোমার নামাযের দিকে লক্ষ্য রাখ না? তোমরা মনে করছ যে তোমাদের কার্যকলাপ আমার অজ্ঞাত থাকে? আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি আমার পিছনের দিকও দেখি, যেভাবে আমার সম্মুখের দিক দেখি। -আহমদ