মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৬৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮৭। হযরত যায়েদ ইবনে আসলাম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, মক্কার পথে এক রাত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাহন হতে নেমে বিশ্রাম নিলেন এবং বেলাল (রাযিঃ)-কে তাঁদেরকে নামাযের জন্য জাগিয়ে দিতে বলে রাখলেন। অতঃপর তাঁরা ঘুমিয়ে পড়লেন এবং বেলাল (রাযিঃ) ও ঘুমিয়ে রইলেন। তারপর তাঁরা সূর্যোদয়ের পরে জেগে উঠলেন। তাঁরা জাগরিত হয়ে (সকলেই) ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁদেরকে বাহনে সওয়ার হয়ে সামনে অগ্রসর হতে বললেন। তিনি আরও বললেন যে, এই ময়দানে শয়তান রয়েছে; সুতরাং তাঁরা বাহনে সওয়ার হয়ে চলতে লাগলেন। যে পর্যন্ত না তাঁরা ঐ ময়দান হতে বের হয়ে গেলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদেরকে অবতরণ করে অজু করতে বললেন এবং বেলাল (রাযিঃ)-কে আযান দিতে অথবা একামত বলতে নির্দেশ দিলেন। তারপর তিনি লোকদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন। নামায শেষে তিনি তাদের ভয়-বিহ্বলতা এবং ব্যতিব্যস্ততা লক্ষ্য করলেন। তখন তিনি বললেন, হে লোকগণ! আল্লাহ্ পাক আমাদের রূহগুলোকে কবজ করে নিয়েছিলেন। তিনি ইচ্ছা করলে আমাদেরকে তা কিছু আগেও ফিরিয়ে দিতে পারতেন; সুতরাং যখন তোমাদের কেউ নামায না পড়ে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা নামাযের কথা ভুলে যায় তারপর জেগে উঠে ব্যক্তিব্যস্ত হয়ে পড়ে তখন সে যেন তা তদ্রূপ আদায় করে, যদ্রূপ নামাযের সঠিক ওয়াক্তে আদায় করত। এরপর তিনি হযরত আবুবকর (রাযিঃ)-এর প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, বেলাল যখন দাঁড়িয়ে নামায পড়ছিল, শয়তান এসে তাকে শুইয়ে দিল। তারপর তার শরীরে হাত বুলাতে লাগল, যেভাবে শিশু সন্তানের শরীরে হাত বুলিয়ে দেয়া হয়। এতে সে ঘুমিয়ে পড়েছিল। অতঃপর তিনি বেলাল (রাযিঃ)-কে ডাকলেন। বেলাল (রাযিঃ) এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে ঠিক তাই বললেন, যা তিনি হযরত আবুবকর (রাযিঃ)-কে বলেছিলেন। তখন হযরত আবুবকর (রাযিঃ) বললেন, আমি ঘোষণা করছি যে, আপনি আল্লাহর রাসূল। -মালেক

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, মুসলমানের দু'টি বিষয় মুয়াযযিনদের দায়িত্বে রয়েছে, তাদের রোযা এবং তাদের নামায।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান