মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৬৫০

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযান
৬৫০। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ ইবনে আব্দে রাব্বিহি (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি ঘন্টা তৈরীর জন্য আদেশ করলেন, যা মানুষকে আহ্বান করার জন্য বাজানো হবে। তখন স্বপ্নে আমার নিকট এক ব্যক্তি উপস্থিত হল। তার হাতে একটি ঘন্টা দেখা গেল। আমি বললাম, হে আল্লাহর বান্দা! এটা কি তুমি বিক্রয় করবে? সে বলল, এদ্বারা তুমি কি করবে? আমি বললাম, এদ্বারা আমরা নামাযের জন্য লোক ডাকব। সে বলল, এটা হতে যা উত্তম তা কি আমি তোমাকে বলে দিব? আমি বললাম, হ্যাঁ (অবশ্যই বলবে)। আব্দুল্লাহ বলেন, তখন সেই ব্যক্তি আল্লাহু আকবার হতে শুরু করে আযানের শেষ পর্যন্ত শব্দসমূহ উচ্চারণ করল। এইভাবে একামতের শব্দসমূহও। অতঃপর আমি ভোরে জাগ্রত হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গমন করলাম এবং তাঁকে আমার স্বপ্নের কথা বললাম। তিনি বললেন, আল্লাহ্ তোমার কল্যাণ করুন। এটা নিশ্চয়ই সত্যস্বপ্ন। যাও তুমি গিয়ে এটা বেলালকে শিখিয়ে দাও। এই শব্দ দ্বারা সে যেন আযান দিবে। কারণ সে তোমার তুলনায় অধিক উচ্চ কণ্ঠস্বরধারী; সুতরাং আমি বেলাল (রাযিঃ)-এর নিকট গিয়ে তাকে তা শিখিয়ে দিতে লাগলাম। আর তিনি তাদ্বারা আযান দিতে শুরু করলেন।
আব্দুল্লাহ বলেন, হযরত ওমর (রাযিঃ) এই ঘটনা শুনলেন। তিনি তখন তাঁর গৃহে ছিলেন। এটা শুনে চাদর টানতে টানতে বের হয়ে এলেন এবং বলতে লাগলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আপনাকে যিনি সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর কসম। নিশ্চয় আমিও ঐরূপ স্বপ্ন দেখেছি যা তাকে দেখানো হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। -আবু দাউদ, দারেমী, ইবনে মাজাহ
আব্দুল্লাহ বলেন, হযরত ওমর (রাযিঃ) এই ঘটনা শুনলেন। তিনি তখন তাঁর গৃহে ছিলেন। এটা শুনে চাদর টানতে টানতে বের হয়ে এলেন এবং বলতে লাগলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! আপনাকে যিনি সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর কসম। নিশ্চয় আমিও ঐরূপ স্বপ্ন দেখেছি যা তাকে দেখানো হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর জন্যই যাবতীয় প্রশংসা। -আবু দাউদ, দারেমী, ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬৫১

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযান
৬৫১। হযরত আবু বাকরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা আমি নবী পাক (ﷺ)-এর সাথে ফজরের নামায পড়তে বের হলাম। তখন তিনি যার নিকট দিয়েই যেতেন, তাকেই নামাযের জন্য আহ্বান করতেন অথবা নিজ পায়ের দ্বারা তাকে নাড়া দিতেন। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬৫২

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযান
৬৫২। ইমাম মালেক (রহ)-এর নিকট নির্ভরযোগ্য সূত্রে এই হাদীস পৌঁছেছে যে, একজন মুযায়যিন হযরত ওমর (রাযিঃ)-এর নিকট তাঁকে ফজরের নামাযের জন্য জাগাতে এল। (এসে সে) তাকে নিদ্রিত অবস্থায় পেয়ে বলল, “আচ্ছালাতু খাইরুম মিনান্নাওম” অর্থাৎ নিদ্রা হতে নামায উত্তম। তখন হযরত ওমর (রাযিঃ) তা ফজরের নামাযের আযানেই যুক্ত করতে বললেন। —বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৬৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আযান
৬৫৩। হযরত আব্দুর রহমান সা'দ ইবনে আম্মার ইবনে সা'দ-রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মুয়াযযিন। তিনি বলেছেন, আমার পিতা তার পিতার সূত্রে তার দাদা সা'দ হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেলালকে নির্দেশ দিলেন, তার দুই আঙ্গুলকে দুইকানের মধ্যে সংস্থাপন করতে এবং বললেন, এটা তোমার কণ্ঠস্বরকে বাড়িয়ে দিবে। —ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান