মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৫- নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৫৭৫

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫৭৫। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)- এর নিকট এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি মদীনার সীমান্ত এলাকার জনৈকা নারীর সাথে আলিঙ্গন করেছি এবং আমি চূড়ান্তে পৌঁছা ব্যতীত সকল কাজই করেছি। আমি (আপনার সামনে) উপস্থিত আছি। আপনি আমার প্রতি যা ইচ্ছে হুকুম করুন। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ্ পাক তোমার অপরাধ গোপন রেখেছেন। তুমি নিজেও যদি তা গোপন রেখে দিতে (এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করতে তবেই তো উত্তম হতো), আব্দুল্লাহ বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকটির কথার কোন জবাব দিলেন না। এক পর্যায়ে লোকটি উঠে দাঁড়াল এবং চলে যেতে লাগল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকটির পিছনে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনলেন এবং তার নিকট একটি আয়াত পাঠ করলেন। যার অর্থ এইঃ “নামায কায়েম কর দিনের দুই অংশে এবং রাত্রের কিছু অংশে। নিশ্চিতরূপে পুণ্যসমূহ দূর করে দেয় গুনাহসমূহকে, এটি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশস্বরূপ।” (সূরা হুদঃ ১১৪) ঐ সময় উপস্থিত লোকদের মধ্যে এক ব্যক্তি আরজ করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটি কি বিশেষভাবে শুধু তার জন্যই? তিনি বললেন, এটি সমস্ত মানুষের জন্যই। -মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৭৬

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫৭৬। হযরত আবু যর গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) একদা শীতকালে বাইরে বের হলেন। আর তখন বৃক্ষ হতে পাতা ঝরে পড়ছিল। তিনি একটি বৃক্ষের দু'টি ডাল ধরে নাড়া দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাতে বৃক্ষের পাতা আরও (বেশী) ঝরতে লাগলো। আবুজর (রাযিঃ) বলেন, তখন তিনি আমাকে ডাকলেন, হে আবু যর! আমি সাড়া দিয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি উপস্থিত। তিনি বললেন, নিশ্চয় মুসলমানগণ যখন নামায পড়ে এবং তাদ্বারা উদ্দেশ্য হয় শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, তখন তার গুনাহসমূহ ঝরে যেতে থাকে, যেভাবে বৃক্ষ হতে পাতাগুলো ঝরে পড়ছে। -আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৭৭

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫৭৭। হযরত যায়েদ ইবনে খালেদ জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি কোনরূপ ভুল না করে দুই রাকাত নামায পড়ে। আল্লাহ্ পাক তার পূর্বকৃত (ছগীরাহ) গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৭৮

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫৭৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) একদিন নামায সম্পর্কে আলোচনায় বললেন, যে ব্যক্তি নামাযের হেফাজাত করবে, তা তার জন্য কিয়ামত দিবসে আলো, প্রমাণ এবং মুক্তির উপায় হবে। আর যে তার হেফাজত করবে না, তার জন্য তা আলো, প্রমাণ এবং মুক্তি হবে না; বরং কিয়ামত দিবসে সে কারূন, ফিরআওন, হামান এবং উবাই ইবনে খালাফের সাথে থাকবে। আহমদ, দারেমী, বায়হাকী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৭৯

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫৭৯। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে শাকীক (রহ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ আমলসমূহের মধ্যে কোন আমল ছেড়ে দেয়াকে কুফরী মনে করতেন না শুধু নামায ব্যতীত। অর্থাৎ নামায ছেড়ে দেয়াকে তারা কুফরীর প্রায় নিকটবর্তী কাজ মনে করতেন। -তিরমিযী

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৮০

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫৮০। হযরত আবু দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমার বন্ধু (রাসূলুল্লাহ সাঃ) আমাকে উপদেশ দিয়েছেন যে, তুমি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে বা কাউকেও অংশীদার বানাবে না। যদিও বা তোমাকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা হয় বা আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আর স্বেচ্ছায় কোন ফরজ নামায পরিত্যাগ করবে না। যে তা করবে তার উপর হতে (ইসলাম প্রদত্ত) নিরাপত্তা উঠে যাবে। আর মদ পান করবে না। কেননা তাই হল যাবতীয় মন্দের চাবিকাঠি। -ইবনে মাযা

তাহকীক:
তাহকীক চলমান