মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৫৩০

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তায়াম্মুম
৫৩০। হযরত আবু যর গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, পবিত্র মৃত্তিকা মুসলমানের জন্য পবিত্রকারক। যদিও সে দশ বছরেও পানি না পায়। যখন পানি পাবে তখন সে যেন তার চর্মে পানি স্পর্শ করায়। এটাই তার জন্য উত্তম। -আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ
নাসায়ী ঐরূপ দশ বছর পানি না পায় কথাটি পর্যন্ত রেওয়ায়াত করেছেন।
নাসায়ী ঐরূপ দশ বছর পানি না পায় কথাটি পর্যন্ত রেওয়ায়াত করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৩১

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তায়াম্মুম
৫৩১। হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা আমরা (কিছু লোক ) এক সফরে বের হলাম। হঠাৎ আমাদের একজনের (মস্তকে) একটি পাথরের আঘাত লাগল এবং তাঁর মস্তক যখম হয়ে গেল। তারপর তার (ঘটনাক্রমে) স্বপ্নদোষ হল। সে তার সহচরদেরকে জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি এই অবস্থায় আমার জন্য তায়াম্মুমের অনুমতি আছে বলে মনে কর? তারা বলল, অনুমতি আছে বলে আমরা মনে করি না। কেননা তোমার নিকট পানি রয়েছে। এই কথা শুনে সে গোসল করল। ফলে সে মৃত্যুবরণ করল। এরপর আমরা যখন নবী পাক (ﷺ)-এর নিকট এসে তাকে এই ঘটনা জানালাম, তিনি বললেন, তারাই তাকে হত্যা করেছে। আল্লাহ্ তাদেরকে হত্যা করুন। তারা যখন বিষয়টি জানে না অপর লোকদের নিকট জিজ্ঞেস করল না কেন? কেননা অজানিত রোগের চিকিৎসা হল জিজ্ঞেস করা। অথচ ঐ লোকটির জন্য যথেষ্ট ছিল, সে তায়াম্মুম করে এবং তার যখমের উপর একটি পট্টি বেঁধে রাখে, তারপর তার উপর মাসেহ করে। আর শরীরের বাকী অংশকে ধৌত করে। -আবু দাউদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৩২

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তায়াম্মুম
৫৩২ । ইবনে মাজাহ এ কে আতা ইবনে আবু রাবাহের সূত্রে ইবনে আব্বাস হতে রেওয়ায়াত করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৩৩

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তায়াম্মুম
৫৩৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার দুই ব্যক্তি সফরে রওয়ানা করল। অতঃপর নামাযের ওয়াক্ত উপস্থিত হল; কিন্তু তাদের সাথে পানি ছিল না। তখন তারা উভয়ে পবিত্র মাটিতে তায়াম্মুম করে নামায পড়ল। অতঃপর তারা নামাযের ওয়াক্তের মধ্যেই পানি পেয়ে গেল। তাদের একজন অজু করে পুনরায় নামায পড়ল এবং অপরজন আর দ্বিতীয়বার নামায পড়ল না। এরপর তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে এই ঘটনা তাঁর নিকট ব্যক্ত করল। তিনি শুনে যে ব্যক্তি পুনরায় নামায পড়ে নি তাকে বললেন, তুমি সঠিক পন্থা অনুসরণ করেছ। তোমার ঐ নামাযই তোমার জন্য যথেষ্ট। আর যে ব্যক্তি পুনরায় নামায পড়েছিল তাকে বললেন, তোমার জন্য দ্বিগুণ ছাওয়াব রয়েছে। -আবু দাউদ, দারেমী
ইমাম নাসায়ীও ঐরূপ রেওয়ায়াত করেছেন।
ইমাম নাসায়ীও ঐরূপ রেওয়ায়াত করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৩৪

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তায়াম্মুম
৫৩৪। আবার আবু দাউদ এবং ইমাম নাসায়ী একে হযরত আতা ইবনে ইয়াসার হতেও মুরসালরূপে রেওয়ায়াত করেছেন।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান