মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪১৭
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪১৭। হযরত আমর ইবন শোআইব তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা হতে রেওয়ায়াত করেছেন যে, তার দাদা বলেছেন, একদা নবী পাক (ﷺ)-এর নিকট জনৈক বেদুইন এসে তাঁকে অজু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তিনি তাকে তিন তিনবার করে (প্রত্যেক অঙ্গ ধুয়ে) দেখালেন। তারপর বললেন, অজু এমন-ই, এরপর যে ব্যক্তি এতে কিছু বাড়াবে সে অন্যায় করবে, সীমাতিক্রম করবে এবং জুলুম করবে। -নাসায়ী, ইবন মাজাহ এবং অনুরূপ অর্থে আবু দাউদ
كتاب الطهارة
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جده قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُهُ عَنِ الْوُضُوءِ فَأَرَاهُ ثَلَاثًا ثَلَاثًا ثُمَّ قَالَ: «هَكَذَا الْوُضُوءُ فَمَنْ زَادَ عَلَى هَذَا فَقَدْ أَسَاءَ وَتَعَدَّى وَظَلَمَ» . رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ مَعْنَاهُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৮
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪১৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তার পুত্রকে এরূপ বলতে শুনলেন, হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট বেহেশতের ডানদিকের শ্বেতপ্রাসাদটি প্রার্থনা করছি। এটা শুনে তিনি বললেন বৎস! আল্লাহর নিকট শুধু বেহেশত প্রার্থনা কর এবং দোযখ হতে আশ্রয় চাও। আমি রাসূলে পাক (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, সহসাই এই উম্মতের মধ্যে এমন লোক দেখা যাবে, যারা অজু এবং দোয়ার ক্ষেত্রে সীমাতিক্রম করবে। -আহমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ
كتاب الطهارة
وَعَن عبد الله بن الْمُغَفَّل أَنه سمع ابْنه يَقُول: الله إِنِّي أَسْأَلُكَ الْقَصْرَ الْأَبْيَضَ عَنْ يَمِينِ الْجَنَّةِ قَالَ: أَيْ بُنَيَّ سَلِ اللَّهَ الْجَنَّةَ وَتَعَوَّذْ بِهِ مِنَ النَّارِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول: «إِنَّه سَيكون فِي هَذِهِ الْأُمَّةِ قَوْمٌ يَعْتَدُونَ فِي الطَّهُورِ وَالدُّعَاءِ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪১৯
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪১৯। হযরত উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ) নবী পাক (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাঃ ) ইরশাদ করেছেন, অজুর (মধ্যে হতে ওয়াসওয়াসা দিবার জন্য) ওলাহান নামক একটি শয়তান রয়েছে; সুতরাং পানির ওয়াসওয়াসা হতে সাবধান থাকবে। -তিরমিযী, ইবনে মাজাহ
كتاب الطهارة
وَعَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ لِلْوُضُوءِ شَيْطَانًا يُقَالُ لَهُ الْوَلَهَانُ فَاتَّقُوا وَسْوَاسَ الْمَاءِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ لِأَنَّا لَا نَعْلَمُ أَحَدًا أَسْنَدَهُ غَيْرَ خَارِجَةَ وَهُوَ لَيْسَ بِالْقَوِيّ عِنْد أَصْحَابنَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২০
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪২০। হযরত মুআয ইবন জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি দেখেছি, রাসূলে পাক (ﷺ) অজু করার সময় তার কাপড়ের আঁচল দ্বারা স্বীয় মুখমণ্ডল মুছে ফেলতেন। -তিরমিযী
كتاب الطهارة
وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا تَوَضَّأَ مسح وَجهه بِطرف ثَوْبه. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪২১। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিতি। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর একটি কাপড়ের টুকরাে ছিল। এটি দ্বারা তিনি অজুর পরে তাঁর অজুর স্থানসমূহ মুছে নিতেন। -তিরমিযী
তিরমিযী (রহ) বলেছেন, এই হাদীসটি সবল নয়। এর বর্ণনাকারী আবু মুআয মুহাদ্দিসগণের নিকট সবল নয়।
كتاب الطهارة
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِرْقَةٌ يُنَشِّفُ بِهَا أَعْضَاءَهُ بَعْدَ الْوُضُوءِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ بِالْقَائِمِ وَأَبُو مُعَاذٍ الرَّاوِي ضَعِيف عِنْد أهل الحَدِيث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪২২
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উযূর নিয়ম-কানুন
৪২২। হযরত ছাবেত ইবন আবু ছাফিয়াহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি ইমাম আবু জাফর মুহাম্মাদ বাকের (ইবনে যয়নুল আবেদীন) কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার নিকট কি হযরত জাবের (রাযিঃ) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অজু করেছেন কখনও একেকবার কখনও দুই দুইবার আবার কখনও তিন তিনবার করে (অর্থাৎ অজুর অঙ্গসমূহ ধুয়েছেন ঐভাবে) তিনি বললেন, হ্যাঁ। -তিরমিযী, ইবনে মাজাহ
كتاب الطهارة
عَنْ ثَابِتِ بْنِ أَبِي صَفِيَّةَ قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي جَعْفَرٍ هُوَ مُحَمَّدٌ الْبَاقِرُ حَدَّثَكَ جَابِرٌ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَوَضَّأَ مرّة مرّة ومرتين مرَّتَيْنِ وَثَلَاثًا ثَلَاثًا. قَالَ: نعم. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪৩১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৩১। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, গোসল ফরজ হয় বীর্যপাত দ্বারা। -মুসলিম
ইমাম মুহিউস সুন্নাহ (রহ) বলেছেন যে, এই বিধান রহিত হয়ে গেছে।
كتاب الطهارة
بَابُ الْغُسْلِ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

قَالَ الشَّيْخُ الْإِمَامُ مُحْيِي السّنة : هَذَا مَنْسُوخ
হাদীস নং: ৪৩২
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৩২। ইবন আব্বাস (ﷺ) বলেছেন, বীর্যপাতে গোসল ফরজ হবার বিষয়টি স্বপ্নদোষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। -তিরমিযী, বুখারী ও মুসলিমে আমি এটি পাইনি।
كتاب الطهارة
بَابُ الْغُسْلِ
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ فِي الِاحْتِلَامِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَلَمْ أَجِدْهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ
হাদীস নং: ৪৩৩
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - গোসলের বিবরণ
৪৩৩। উম্মুল মু'মিনীন হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদা (আনাসের মাতা) উম্মে সুলাইম বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্ পাক ন্যায্য কথা বলতে লজ্জা করেন না। (সুতরাং আমিও করি না) স্ত্রীলোকদের স্বপ্নদোষ হলে তাদের উপর কি গোসল ফরজ হয়? নবী পাক (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ, যখন সে (জাগ্রত হয়ে) শুক্র দেখে। এটা শুনে হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) ( লজ্জায়) তাঁর মুখ ঢেকে ফেলে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! স্ত্রীলোকেরও কি স্বপ্নদোষ হয়? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ, ধুত্তুরী । (তা না হলে) তার সন্তান তার সদৃশ হয় কি করে? -বুখারী, মুসলিম।
كتاب الطهارة
بَابُ الْغُسْلِ
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ قَالَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لَا يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ من غسل إِذا احْتَلَمت قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا رَأَتِ الْمَاءَ» فَغَطَّتْ أُمُّ سَلَمَةَ وَجْهَهَا وَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَتَحْتَلِمُ الْمَرْأَةُ قَالَ: «نعم تربت يَمِينك فَبِمَ يشبهها وَلَدهَا؟»
tahqiq

তাহকীক: