মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ১২৩

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১২৩। হযরত আবুদ দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে বসে (দুনিয়ায়) যা কিছু হচ্ছে তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা কোন পাহাড় স্বস্থান হতে সরে যাওয়ার কথা শুনলে বিশ্বাস করতে পার কিন্তু কারো জন্মগত স্বভাবের পরিবর্তন ঘটেছে শুনলে বিশ্বাস করো না। কারণ সে সেইদিকেই ঝুঁকে থাকবে, যার উপর তাকে পয়দা করা হয়েছে। -আহমদ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১২৪

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় ‘অনুচ্ছেদ - তাকদীরের প্রতি ঈমান
১২৪। উম্মুল মু'মিনীন হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদিন তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি যে বিষ মিশানো বকরীর গোশত ভক্ষণ করেছিলেন, দেখা যায় প্রতি বছরই আপনার মধ্যে তার ব্যথা হয়। রাসূলে পাক (ﷺ) বললেন, হযরত আদম (আ) মাটি অবস্থায় থাকতেই আমার জন্য যা লিখিত ছিল তা ছাড়া আমার আর কিছুই হয় না। -ইবনে মাজাহ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১২৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - কবরের আযাব
১২৫। হযরত বারা ইবনে আযেব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, কোন মুসলমানকে যখন কবরে প্রশ্ন করা হয়, তখন সে এইরূপ সাক্ষ্য প্রদান করে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল। এটাই আল্লাহর এই আয়াতের অর্থ (يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ نَزَلَتْ فِي عَذَابِ الْقَبْرِ যারা শাশ্বত বাণীতে বিশ্বাসী তাদেরকে আল্লাহ পাক পার্থিব জীবনে এবং পারলৌকিক জীবনে (আলমে বরযখে) সুপ্রতিষ্ঠিত রাখবেন।
অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ আয়াত কবরের আযাব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে (জীবিত করে) জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার প্রভু কে? সে বলে, আমার প্রভু্ আল্লাহ, আমার নবী হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)। (বুখারী, মুসলিম)
অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, নবী করীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ আয়াত কবরের আযাব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। মৃত ব্যক্তিকে (জীবিত করে) জিজ্ঞেস করা হয়, তোমার প্রভু কে? সে বলে, আমার প্রভু্ আল্লাহ, আমার নবী হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)। (বুখারী, মুসলিম)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১২৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - কবরের আযাব
১২৬। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, বান্দাকে কবরে রাখার পর তার সঙ্গী-সাথীগণ যখন তথা হতে ফিরে যেতে থাকে, তখন সে তাদের পায়ের চলার শব্দ শুনতে পায়। এমন সময় তার নিকট দুইজন ফিরিশতা আগমন করেন এবং তাকে উঠিয়ে বসান। অতঃপর মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর প্রতি ইশারা করে তাকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি দুনিয়ায় এই ব্যক্তি সম্পর্কে কি ধারণা পোষণ করতে? তখন মু'মিন ব্যক্তি বলে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি অমর বান্দা এবং রাসূল। তখন তাকে বলা হয় এই দেখ, তুমি দোযখী হলে তোমার জন্য সেই দোযখের স্থান দেখে নাও। আল্লাহ পাক তোমার সেই স্থানকে বেহেশতের স্থানের সাথে বদলে দিয়েছেন। তখন সে (বেহেশত ও দোযখের) উভয় স্থানই দেখতে পায়। কিন্তু মুনাফিক ও কাফির তাদের প্রত্যেক ব্যক্তিকে বলা হবে তুমি এই ব্যক্তি সম্পর্কে কি ধারণা রাখতে? তখন সে বলে, তা আমি জানি না। মানুষ যা বলত আমিও তাই বলতাম। তখন তাকে বলা হয় (বুঝা গেল) তুমি তোমার বিবেক দ্বারাও বোঝার জন্য চেষ্টা করনি এবং কিতাবাদি পড়েও জানার ইচ্ছা করনি। অতঃপর তাকে লৌহ মুগুর দ্বারা কঠিনভাবে শাস্তি দেয়া হতে থাকে। এতে সে এমন এক চীৎকার দেয়, যা শুধু জ্বিন ও মানব ছাড়া নিকটবর্তী সকলেই শুনতে পায়। - বুখারী, মুসলিম, শব্দগুলো বুখারীর

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১২৭

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - কবরের আযাব
১২৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ মারা গেলে প্রতি সকালে-বিকালে তার স্থান তার নিকট প্রকাশ করা হয়। সে বেহেশতীদের অন্তর্ভুক্ত হলে বেহেশতের স্থান আর দোযখীদের অন্তর্ভুক্ত হলে দোযখের স্থান তাকে দেখিয়ে বলা হয়, এটাই তোমার আসল ঠিকানা। অতঃপর আল্লাহ পাক তোমাকে রোজ কিয়ামতে উঠাবেন। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ১২৮

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - কবরের আযাব
১২৮। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ইয়াহুদী মহিলা তার নিকট এসে কবর আযাব প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলল, হে আয়েশা! আল্লাহ পাক তোমাকে কবর আযাব হতে নিস্তার দিন। এরপর হযরত আয়েশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে কবর আযাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, হ্যাঁ, কবর আযাব সত্য। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, এর পর আমি কখনও এইরূপ দেখি নাই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন নামায পড়ছেন অথচ কবর আযাব হতে আল্লাহর দরবারে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন না। -বুখারী, মুসলিম

তাহকীক:
তাহকীক চলমান