মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২- ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন
হাদীস নংঃ ৫৪

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন
৫৪। এবং হযরত ইবনে আব্বাসের বর্ণনায় আছে, মু'মিন থাকাবস্থায় কেউ কাউকে হত্যা করে না। হযরত ইকরামা (রহ) বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, কিভাবে তার ঈমান বের হয়ে যায়? তিনি বললেন, এভাবে এই বলে তিনি তাঁর হাতের অঙ্গুলিসমূহ পরস্পর ফাঁকের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে আবার বের করে নিলেন। অতঃপর যদি সে তওবা করে তখন ঈমান এভাবে ফিরে আসে এই বলে আবার তিনি তাঁর অঙ্গুলিসমূহ পরস্পর ফাঁকে ফাঁকে প্রবেশ করে দেখালেন। আবু আব্দুল্লাহ বোখারী (রহ) বলেন, সে পূর্ণমাত্রায় ঈমানদার থাকে না এবং তাঁর ঈমানের নূর বহাল থাকে না। (এটা বোখারীর শব্দ)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৫

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন
৫৫। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, মুনাফিকের আলামত তিনটি। ইমাম মুস্লিম বাড়িয়ে বলেছেন, যদিও সে রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং ধারণা করে যে, সে মুসলমান। তারপর বর্ণনায় ইমাম বোখারী ও মুসলিম এক, ১। যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ২। যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে, ৩। যখন কোন আমানত (কথা বা জিনিস) তার কাছে রাখা হয়, সে খেয়ানত করে।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৬

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন
৫৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ চারটি বদভ্যাস যার মধ্যে রয়েছে সে খাঁটি মুনাফিক। আর যার মধ্যে তার একটি আছে, সে তা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফেকির একটি স্বভাব থেকে যায়ঃ ১। যখন তার কাছে আমানত রাখা হয়, সে খেয়ানত করে, ২। যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে, ৩। যখন ওয়াদা করে, ভঙ্গ করে, ৪। যখন কারো সাথে কলহ করে, তখন অশালীন কথা বলে। (বোখারী, মুসলিম)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৭

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন
৫৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুনাফিকদের উদাহরণ হল, সে সিদ্ধান্তহীন বকরীসদৃশ, যে দু'টি বকরীর পালের মধ্য থেকে একবার এই পালের দিকে ছুটে যায়, আরেকবার অন্য পালের দিকে দৌড়ায়। (মুসলিম)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৮

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন
৫৮। হযরত সাফওয়ান ইবন আসসাল (রাযিঃ) বলেন, এক ইহুদী তার সাথীকে বলল, আমাদের নিয়ে এ নবীর কাছে চল। সাথী বলল, তাকে নবী বলো না, সে তোমার মুখে এ কথা শুনলে তার চোখ চারটা হয়ে যাবে। অবশেষে তারা এল এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে নয়টি সুস্পষ্ট নিদর্শন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উত্তরে বললেনঃ ১। আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না, ২। চুরি করো না, ৩। যেনা করো না, ৪। আইনের বিধান ছাড়া কাউকে হত্যা করো না, ৫। কোন বেকসুর ব্যক্তিকে হত্যার জন্য কোন ক্ষমতাবান শাসকের নিকট নিয়ে তুলে ধরো না, ৬। যাদুটোনা করো না, ৭। সুদ খেয়ো না, ৮। কোন অবলা নারীকে যেনার মিথ্যা অপবাদ দিও না, ৯। জিহাদ থেকে পলায়ন করো না। হে ইহুদীগণ! তোমরা বিশেষভাবে শনিবারে সীমালংঘন করো না। হযরত সাফওয়ান (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর হস্ত-পদ চুম্বন করল এবং বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি সত্যিই নবী। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমার অনুসরণে তোমাদের বাধা কি? তারা বলল, হযরত দাউদ (আ) তাঁর প্রভুর নিকট দু'আ করেছিলেন যেন তাঁর বংশেই নবী আগমন করে। অতএব আমাদের শঙ্কা, আমরা আপনার অনুগত হলে ইহুদীরা আমাদের হত্যা করবে। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নংঃ ৫৯

পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ ও মুনাফিক্বীর নিদর্শন
৫৯। হযরত আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, ঈমানের মূল হল তিনটি। ১। যে ব্যক্তি বলেছে, “আল্লাহ্ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই” তার (অনিষ্ট করা) থেকে বিরত থাক, কোন অপরাধের জন্য তাকে কাফের বলো না, কোন বদ আমলের কারণে তাকে ইসলাম থেকে খারিজ বলে ফতোয়া দিও না, ২। যখন থেকে আল্লাহ্ আমাকে প্রেরণ করেছেন তখন থেকে জেহাদ চলছে এবং এ উম্মতের শেষ কালের একজন দাজ্জালকে হত্যা করা পর্যন্ত চলবে। কোন অত্যাচারীর অত্যাচার কিংবা কোন ন্যায় পরায়ণের ন্যায়পরায়ণতা তা বাতিল করতে পারবে না, ৩। তাকদীরে বিশ্বাস করা। (আবু দাউদ)

তাহকীক:
তাহকীক চলমান