আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১২২১
৫৭৭- শোয়ার সময় পঠিত দুআর ফযীলাত।
১২২১. হযরত বারা ইব্‌ন আযিব (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) শয্যাগ্রহণকালে ডান কাতে শয়ন করিতেনঃ অতঃপর বলিতেনঃ اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ بِوَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لاَ مَنْجَا وَلاَ مَلْجَأَ مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ “হে আল্লাহ্! আমি নিজকে তোমার নিকট সোপর্দ করিলাম, আমার মুখমণ্ডল তোমার দিকে ফিরাইয়া দিলাম, আমার সকল বিষয় তোমার উপর সোপর্দ করিলাম এবং তোমার রহমতের আশা ও তোমার শাস্তির ভয় সহকারে আমার পিঠ তোমার আশ্রয়ে সোপর্দ করিলাম। তোমার থেকে পালাইয়া আশ্রয় নেওয়ার এবং নাজাত পাওয়ার তুমি ভিন্ন আর কোন ঠিকানা নাই। তুমি যে কিতাব নাযিল করিয়াছ এবং যে রাসূল পাঠিয়েছ, আমি তার উপর ঈমান আনিলাম” রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফরমান, যে ব্যক্তি এই কথাগুলি বলিল অতঃপর ঐ রাত্রিতেই মৃত্যুমুখে পতিত হইল। সে ফিতরাতের উপর (নিষ্পাপ অবস্থায়) মৃত্যুবরণ করিল।”
بَابُ فَضْلِ الدُّعَاءِ عِنْدَ النَّوْمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ الْمُسَيَّبِ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ‏:‏ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ نَامَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ، ثُمَّ قَالَ‏:‏ اللَّهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ بِوَجْهِي إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ، لاَ مَنْجَا وَلاَ مَلْجَأَ مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ، قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مَنْ قَالَهُنَّ ثُمَّ مَاتَ تَحْتَ لَيْلَتِهِ مَاتَ عَلَى الْفِطْرَةِ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:১২২২
৫৭৭- শোয়ার সময় পঠিত দুআর ফযীলাত।
১২২২. হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, যখন কোন ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ ঘরে অথবা শয্যাগ্রহণ করে তখন ফিরিশতা ও শয়তানের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ফিরিশতা বলেন, তোমার সারাদিনের ব্যস্ততা পুণ্যের সহিত সমাপ্ত কর, আর শয়তান বলে, পাপের সহিত সমাপ্ত কর। যদি সেই ব্যক্তি আল্লাহ্‌র প্রশংসা ও যিক্‌র করে, তাহা হইলে সে শয়তানকে বিতাড়িত করে এবং ফিরেশতার হেফাযতে সে রাত্রিযাপন করে । অতঃপর যখন সে জাগরিত হয়, তখনও ফিরিশতা ও শয়তান প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয় এবং অনুরূপ বলে। তখন সে ব্যক্তি যদি আল্লাহ্‌র যিক্‌র করে এবং বলেঃ সেই আল্লাহ্‌র প্রসংশা যিনি আমার মৃত্যুর পর আমাতে পুনঃ প্রাণ ফিরাইয়া দিয়াছেন এবং নিদ্রার মধ্যে উহা (প্রাণ) হরণ করেন নাই । সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র, “যিনি আকাশমণ্ডলীও পৃথিবীকে স্থানচ্যুত হওয়া থেকে রুখিয়া রাখিয়াছেন । যদি এই দুইটি স্থানচ্যুত হয় তবে তিনি ছাড়া কেহই এদের প্রতিরোধ করিয়া রাখিতে পারিবে না। নিশ্চয়ই তিনি পরম সহিষ্ণু পরম ক্ষমাশীল।” (সূরা ফাতিরঃ ৪১) “সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহ্‌র যিনি আকাশকে স্থির রাখেন যাহাতে উহা পতিত না হয় পৃথিবীর উপর তাহার অনুমতি ব্যতীত। আল্লাহ্ নিশ্চয়ই মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র পরম দয়ালু।” (সূরা হজ্জ, ২২:৬৫)
—আর (ঐ দিন) মৃত্যুবরণ করে, তবে সে শহীদের মৃত্যুবরণ করে। আর যদি সে বাঁচিয়া থাকে এবং নামায পড়ে, তবে তাহার এই নামায অত্যন্ত মাহাত্ম্যপূর্ণ।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حَجَّاجٍ الصَّوَّافِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ‏:‏ إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ أَوْ أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ ابْتَدَرَهُ مَلَكٌ وَشَيْطَانٌ، فَقَالَ الْمَلَكُ‏:‏ اخْتِمْ بِخَيْرٍ، وَقَالَ الشَّيْطَانُ‏:‏ اخْتِمْ بِشَرٍّ، فَإِنْ حَمِدَ اللَّهَ وَذَكَرَهُ أَطْرَدَهُ، وَبَاتَ يَكْلَؤُهُ، فَإِذَا اسْتَيْقَظَ ابْتَدَرَهُ مَلَكٌ وَشَيْطَانٌ فَقَالاَ مِثْلَهُ، فَإِنْ ذَكَرَ اللَّهَ وَقَالَ‏:‏ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي رَدَّ إِلَيَّ نَفْسِي بَعْدَ مَوْتِهَا وَلَمْ يُمِتْهَا فِي مَنَامِهَا، الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي ‏(‏يُمْسِكُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ أَنْ تَزُولاَ، وَلَئِنْ زَالَتَا إِنْ أَمْسَكَهُمَا مِنْ أَحَدٍ مِنْ بَعْدِهِ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا‏)‏، الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي ‏(‏يُمْسِكُ السَّمَاءَ أَنْ تَقَعَ عَلَى الأَرْضِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ‏)‏ إِلَى ‏(‏لَرَءُوفٌ رَحِيمٌ‏)‏، فَإِنْ مَاتَ مَاتَ شَهِيدًا، وَإِنْ قَامَ فَصَلَّى صَلَّى فِي فَضَائِلَ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান