আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১২০৬
৫৭৩. বন্ধুবান্ধবের সম্মুখে পা ছড়াইয়া বসা বা তাকিয়া ব্যবহার করা
১২০৬. শিহাব ইব্‌ন আব্বাদ আল-আস্‌রী বলেন, আব্দুল কায়েস প্রতিনিধিদলের জনৈক সদস্যকে তিনি বলিতে শুনিয়াছেন, যখন আমরা আমাদের প্রতিনিধিদল সমভিব্যাহারে নবী করীম (ﷺ)-এর খেদমতে উপনীত হই, তখন আমরা মদীনার সন্নিকটবর্তী হইতেই একব্যক্তির সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হইল। সাওয়ারীর উপর উপবিষ্ট অবস্থায়ই সে আমাদিগকে সালাম দিল। আমরাও তাঁহার সালামের জবাব দিলাম। অতঃপর সেব্যক্তি দাঁড়াইয়া পড়িল এবং আমাদিগকে জিজ্ঞাসা করিল : ‘তোমরা কোন্ গোত্রের লোক হে?’ আমরা বলিলাম, আমরা আব্দুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধিবর্গ। সে ব্যক্তি বলিলঃ তোমাদিগকে খোশ-আমদেদ ! তোমাদের সন্ধানেই আমি আসিয়াছি। আমি তোমাদিগকে সুসংবাদ শুনাইতে আসিয়াছি। নবী করীম (ﷺ) গতকাল (তোমাদিগের কথা ) আমাদিগকে বলিয়াছেন। তিনি পূর্বদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া বলিলেন, আগামীকাল এদিক হইতে অর্থাৎ পূর্বদিক হইতে আরবের সেরা প্রতিনিধিবর্গ আসিবে। আমি অধীর অপেক্ষায় রাত কাটাইয়াছি এবং সকাল হইতেই বাহন প্রস্তুত করিয়া পথপানে তাকাইয়া আছি। দেখিতে দেখিতে বেলা উঠিয়া গেল এবং আমি ফিরিয়া যাইতে উদ্যত হইয়াছিলাম এমন সময় তোমাদের বাহনসমূহের উর্ধোত্থিত শিরসমূহ দৃষ্টিগোচর হইল। অতঃপর সেই ব্যক্তি উটকে ফিরাইবার জন্য তাহার লাগাম কষিয়া ধরিল এবং দ্রুতবেগে যাত্রা করিয়া নবী করীম (ﷺ) এবং তাঁহার চতুর্দিকে সমবেত আনসার ও মুহাজিরগণের মধ্যে গিয়া ঢুকিয়া পড়িল। সে ব্যক্তি তখন বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান। আমি আপনাকে আব্দুল কায়েসের প্রতিনিধিবর্গের সুসংবাদ শুনাইতে আসিয়াছি। তখন তিনি বলিলেন, তাহাদের সহিত কোথায় তোমার সাক্ষাৎ হে উমর। তিনি বলিলেনঃ তাহারা আমার পিছনেই আসিতেছে ! তখন উপস্থিত সাহাবীগণ স্ব-স্ব স্থানে যথারীতি বসিয়া পড়িলেন। নবী করীম (ﷺ)-ও বসিয়া রহিলেন। তিনি তাঁহার চাদরের কোণসমূহকে হাতের নীচে রাখিয়া উহার উপর ঠেস দিয়া (তাকিয়া স্বরূপ ব্যবহার করিয়া) বসিলেন এবং পদদ্বয় ছড়াইয়া বসিলেন। এমন সময় প্রতিনিধিদল আসিয়া পৌছিল। তাঁহাদের উপস্থিতিতে আনসার ও মুহাজির মহলে খুশীর ধুম পড়িল। তাঁহারাও নবী করীম (ﷺ) এবং তাঁহার সাহাবীগণকে দেখিতে পাইয়া
অত্যন্ত উৎফুল্ল হন এবং সাওয়ারী হইতে লাফাইয়া পড়েন এবং দ্রুতবেগে তাঁহাদের সম্মুখে যান। লোকজন একটু নড়িয়া চড়িয়া তাহাদের স্থান করিয়া দিলেন। নবী করীম (ﷺ) পূর্বের মতই ঠেস দিয়া বসা অবস্থায় রহিলেন। তাঁহাদের মধ্যে আশাজ্জ পিছনে রহিলেন। তিনি হইলেন মুনযির ইব্‌ন আয়িয ইব্‌ন মুনযির ইব্‌ন হারিস ইব্‌ন নু’মান ইব্‌ন যিয়াদ ইব্‌ন আসর। তিনি বাহনসমূহকে একত্রিত করেন, ঐগুলিকে বসান, ঐগুলির পিঠের বোঝা নামান এবং গোটা প্রতিনিধিদলের সকল আসবাবপত্র একত্রিত করেন। অতঃপর পেট্‌রা বাহির করিয়া সফরের কাপড় খুলিয়া রাখিয়া উহা হইতে নূতন কাপড় লইয়া পড়িলেন এবং অতঃপর ধীরপদক্ষেপে নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযিরা দিতে আসিলেন। নবী করীম (ﷺ) তখন প্রতিনিধিদলের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তোমাদের নেতা এবং তোমাদের কাজ কর্মের দায়িত্বশীল ব্যক্তি কে ? তাঁহারা সকলেই একবাক্যে তাঁহার দিকে ইঙ্গিত করিলেন। তিনি পুনঃ জিজ্ঞাসা করিলেনঃ ইনিই কি তোমাদের সর্দার-পো ? জবাবে তাহারা বলিলেন, জাহেলিয়তের যুগে তাঁহার পিতৃপুরুষগণই আমাদের নেতা ছিলেন। আর ইনি হইতেছেন ইসলামের পথে আমাদের অগ্রণী। আশাজ্জ যখন নবী (ﷺ)-এর নিকটবর্তী হইলেন, তখন এক কোণে বসিয়া পড়িতে উদ্যত হইলেন। তখন নবী করীম (ﷺ) সোজা হইয়া বসিলেন এবং বলিলেনঃ এখানে আস হে আশাজ্জ এখানে। এই প্রথম দিনের মত আশাজ্জ এই নামে সম্বোধন হইল। ব্যাপার হইয়াছিল এই যে, শিশুকালে একটি গাভী যাহার বাচ্চার দুধ ছাড়ান হইয়াছিল তাহাকে লাথি মারে এবং উহার আঘাতের চিহ্ন চন্দ্রের মত তাঁহার চেহারায় পরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছিল। নবী (ﷺ) তাঁহাকে স্বীয় পার্শ্বে বসাইলেন। তাঁহার প্রতি অত্যন্ত প্রসন্নও সম্মানজনক ব্যবহার করিলেন। অতঃপর তাঁহারা নবী (ﷺ)-কে নানারকম প্রশ্ন করিতে লাগিলেন আর তিনি তাহাদের প্রশ্নের জবাব দিতে লাগিলেন। আলাপ আলোচনা শেষে তিনি তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তোমাদের সাথে কি তোমাদের পাথেয় স্বরূপ কিছু আছে ? তাঁহারা বলিলেনঃ জ্বী, হ্যাঁ। তাঁহাদের প্রত্যেকেই তখন দ্রুত উঠিয়া নিজ নিজ দ্রব্যসামগ্রীর দিকে গেলেন এবং মুষ্ঠি ভরিয়া ভরিয়া খেজুর আনিয়া নবী (ﷺ)-এর সম্মুখে রক্ষিত চামড়ার দস্তরখানে রাখিলেন। তাঁহার সম্মুখে একটি ছড়ি রক্ষিত ছিল-যাহা দৈর্ঘ্যে দুই হাতের চাইতে কম অথচ এক হাতের চাইতে বেশী ছিল। তিনি সাধারণত বেড়াইতে বাহির হইলে উহা হাতে রাখিতেন এবং খুব কমই উহা তাঁহার হাত হইতে বিচ্ছিন্ন হইত। উহা দ্বারা খেজুরের স্তূপের দিকে ইঙ্গিত করিয়া তিনি বলিলেনঃ তোমরা কি এই খেজুরকে ‘তা’ষূয’ বলিয়া থাক ? তাঁহারা বলিলেনঃ জ্বী হ্যাঁ ! তিনি ফরমাইলেন : এই খেজুরগুলি তোমাদের জন্য উত্তম ও উপাদেয় । কবীলার কোন কোন প্রবীণ ব্যক্তি বলিলেনঃ এবং বরকতের দিক দিয়াও ঐগুলি সেরা। রাবী বলেনঃ আমরা চাষবাস বলিতে করিতাম তরিতরকারী-সব্জীর চাষ যাহা প্রধানত আমাদের উট গাধার খাবাররূপেই আমরা ব্যবহার করিতাম। কিন্তু যখন আমরা এই ডেপুটেশনের পর প্রত্যাবর্তন করিলাম, তখন ঐসব খেজুরের ব্যাপারে আমাদের উৎসাহ উদ্দীপনা বৃদ্ধি পাইল। আমরা উহার প্রচুর চারা লাগাইলাম। এমন কি এখন উহাই আমাদের প্রধান ফসল হইয়া দাঁড়াইয়াছে। আর উহাতে প্রভূত বরকতও আমরা প্রত্যক্ষ করিতেছি।
بَابُ: هَلْ يُقَدِّمُ الرَّجُلُ رِجْلَهُ بَيْنَ أَيْدِي أَصْحَابِهِ، وَهَلْ يَتَّكِئُ بَيْنَ أَيْدِيهِمْ؟
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَصَرِيُّ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا شِهَابُ بْنُ عَبَّادٍ الْعَصَرِيُّ، أَنَّ بَعْضَ وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ سَمِعَهُ يَذْكُرُ، قَالَ‏:‏ لَمَّا بَدَأْنَا فِي وِفَادَتِنَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سِرْنَا، حَتَّى إِذَا شَارَفْنَا الْقُدُومَ تَلَقَّانَا رَجُلٌ يُوضِعُ عَلَى قَعُودٍ لَهُ، فَسَلَّمَ، فَرَدَدْنَا عَلَيْهِ، ثُمَّ وَقَفَ فَقَالَ‏:‏ مِمَّنِ الْقَوْمُ‏؟‏ قُلْنَا‏:‏ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ، قَالَ‏:‏ مَرْحَبًا بِكُمْ وَأَهْلاً، إِيَّاكُمْ طَلَبْتُ، جِئْتُ لِأُبَشِّرَكُمْ، قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِالأَمْسِ لَنَا‏:‏ إِنَّهُ نَظَرَ إِلَى الْمَشْرِقِ فَقَالَ‏:‏ لَيَأْتِيَنَّ غَدًا مَنْ هَذَا الْوَجْهِ، يَعْنِي‏:‏ الْمَشْرِقَ، خَيْرُ وَفْدِ الْعَرَبِ، فَبَتُّ أَرُوغُ حَتَّى أَصْبَحْتُ، فَشَدَدْتُ عَلَى رَاحِلَتِي، فَأَمْعَنْتُ فِي الْمَسِيرِ حَتَّى ارْتَفَعَ النَّهَارُ، وَهَمَمْتُ بِالرُّجُوعِ، ثُمَّ رُفِعَتْ رُءُوسُ رَوَاحِلِكُمْ، ثُمَّ ثَنَى رَاحِلَتَهُ بِزِمَامِهَا رَاجِعًا يُوضِعُ عَوْدَهُ عَلَى بَدْئِهِ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏,‏ وَأَصْحَابُهُ حَوْلَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالأَنْصَارِ، فَقَالَ‏:‏ بِأَبِيوَأُمِّي، جِئْتُ أُبَشِّرُكَ بِوَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ، فَقَالَ‏:‏ أَنَّى لَكَ بِهِمْ يَا عُمَرُ‏؟‏ قَالَ‏:‏ هُمْ أُولاَءِ عَلَى أَثَرِي، قَدْ أَظَلُّوا، فَذَكَرَ ذَلِكَ، فَقَالَ‏:‏ بَشَّرَكَ اللَّهُ بِخَيْرٍ، وَتَهَيَّأَ الْقَوْمُ فِي مَقَاعِدِهِمْ، وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا، فَأَلْقَى ذَيْلَ رِدَائِهِ تَحْتَ يَدِهِ فَاتَّكَأَ عَلَيْهِ، وَبَسَطَ رِجْلَيْهِ‏.‏ فَقَدِمَ الْوَفْدُ فَفَرِحَ بِهِمُ الْمُهَاجِرُونَ وَالأَنْصَارُ، فَلَمَّا رَأَوُا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابَهُ أَمْرَحُوا رِكَابَهُمْ فَرَحًا بِهِمْ، وَأَقْبَلُوا سِرَاعًا، فَأَوْسَعَ الْقَوْمُ، وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئٌ عَلَى حَالِهِ، فَتَخَلَّفَ الأَشَجُّ، وَهُوَ‏:‏ مُنْذِرُ بْنُ عَائِذِ بْنِ مُنْذِرِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ زِيَادِ بْنِ عَصَرَ، فَجَمَعَ رِكَابَهُمْ ثُمَّ أَنَاخَهَا، وَحَطَّ أَحْمَالَهَا، وَجَمَعَ مَتَاعَهَا، ثُمَّ أَخْرَجَ عَيْبَةً لَهُ وَأَلْقَى عَنْهُ ثِيَابَ السَّفَرِ وَلَبِسَ حُلَّةً، ثُمَّ أَقْبَلَ يَمْشِي مُتَرَسِّلاً، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مَنْ سَيِّدُكُمْ وَزَعِيمُكُمْ، وَصَاحِبُ أَمْرِكُمْ‏؟‏ فَأَشَارُوا بِأَجْمَعِهِمْ إِلَيْهِ، وَقَالَ‏:‏ ابْنُ سَادَتِكُمْ هَذَا‏؟‏ قَالُوا‏:‏ كَانَ آبَاؤُهُ سَادَتَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَهُوَ قَائِدُنَا إِلَى الإِسْلاَمِ، فَلَمَّا انْتَهَى الأَشَجُّ أَرَادَ أَنْ يَقْعُدَ مِنْ نَاحِيَةٍ، اسْتَوَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَاعِدًا قَالَ‏:‏ هَا هُنَا يَا أَشَجُّ، وَكَانَ أَوَّلَ يَوْمٍ سُمِّيَ الأَشَجَّ ذَلِكَ الْيَوْمَ، أَصَابَتْهُ حِمَارَةٌ بِحَافِرِهَا وَهُوَ فَطِيمٌ، فَكَانَ فِي وَجْهِهِ مِثْلُ الْقَمَرِ، فَأَقْعَدَهُ إِلَى جَنْبِهِ، وَأَلْطَفَهُ، وَعَرَفَ فَضْلَهُ عَلَيْهِمْ، فَأَقْبَلَ الْقَوْمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُونَهُ وَيُخْبِرُهُمْ، حَتَّى كَانَ بِعَقِبِ الْحَدِيثِ قَالَ‏:‏ هَلْ مَعَكُمْ مِنْ أَزْوِدَتِكُمْ شَيْءٌ‏؟‏ قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، فَقَامُوا سِرَاعًا، كُلُّ رَجُلٍ مِنْهُمْ إِلَى ثِقَلِهِ فَجَاءُوا بِصُبَرِ التَّمْرِ فِي أَكُفِّهِمْ، فَوُضِعَتْ عَلَى نِطَعٍ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ جَرِيدَةٌ دُونَ الذِّرَاعَيْنِ وَفَوْقَ الذِّرَاعِ، فَكَانَ يَخْتَصِرُ بِهَا، قَلَّمَا يُفَارِقُهَا، فَأَوْمَأَ بِهَا إِلَى صُبْرَةٍ مِنْ ذَلِكَ التَّمْرِ فَقَالَ‏:‏ تُسَمُّونَ هَذَا التَّعْضُوضَ‏؟‏ قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ وَتُسَمُّونَ هَذَا الصَّرَفَانَ‏؟‏ قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، وَتُسَمُّونَ هَذَا الْبَرْنِيَّ‏؟‏، قَالُوا‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ هُوَ خَيْرُ تَمْرِكُمْ وَأَنْفَعُهُ لَكُمْ، وَقَالَ بَعْضُ شُيُوخِ الْحَيِّ‏:‏ وَأَعْظَمُهُ بَرَكَةً وَإِنَّمَا كَانَتْ عِنْدَنَا خَصِبَةٌ نَعْلِفُهَا إِبِلَنَا وَحَمِيرَنَا، فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ وِفَادَتِنَا تِلْكَ عَظُمَتْ رَغْبَتُنَا فِيهَا، وَفَسَلْنَاهَا حَتَّى تَحَوَّلَتْ ثِمَارُنَا مِنْهَا، وَرَأَيْنَا الْبَرَكَةَ فِيهَا‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান