আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ১১৯২
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ
৫৬৪. দুই জানু বসা
১১৯২. হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) বলেন, একদা নবী করীম (ﷺ) তাঁহাদিগকে সঙ্গে লইয়া যুহরের নামায আদায় করিলেন। নামাযান্তে তিনি মিম্বরে আরোহণ করিলেন এবং বক্তৃতা প্রসঙ্গে কিয়ামতের কথা উল্লেখ করিলেন। তিনি বলিলেনঃ উহাতে (কিয়ামতের সময়) অনেক বড় বড় ব্যাপার সংঘটিত হইবে। অতঃপর বলিলেন, যে কেহ এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন করিতে চায়, তাহার উচিত প্রশ্ন করা। কসম আল্লাহ্র, তোমরা যে প্রশ্নই আজ করিবে এই স্থানে দাঁড়াইয়া থাকিতে থাকিতেই আজ আমি উহার উত্তর দিব।
হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মুখে এরূপ কথা শুনিয়া অধিকাংশ শ্রোতাই কাঁদিয়া আকূল হইলেন। নবী (ﷺ) ঘন ঘন বলিতেছিলেন, কাহার কি প্রশ্ন করিবার আছে প্রশ্ন কর! প্রশ্ন কর ! তখন হযরত উমর (রাযিঃ) দুই জানুতে (আদবের সহিত নামাযের বসার মত) বসিলেন এবং বলিলেনঃ আমরা আল্লাহ্কে প্রভুরূপে, ইসলামকে দীনরূপে এবং মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে রাসূলরূপে পাইয়া তুষ্ট আছি। উমর (রাযিঃ) একথা বলার সময় নবী (ﷺ) মৌন রহিলেন। অতঃপর বলিলেনঃ কসম ঐ পবিত্র সত্তার, যাঁহার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, নামায পড়ার সময় আজ ঐ প্রাচীরের গাত্রে (দর্পনের মত) জান্নাত ও জাহান্নাম দেখানো হইয়াছে। আজকের মত মঙ্গল ও অমঙ্গল (পাশাপাশি এত স্বচ্ছভাবে) দেখার সুযোগ আমার আর ঘটে নাই ।
হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মুখে এরূপ কথা শুনিয়া অধিকাংশ শ্রোতাই কাঁদিয়া আকূল হইলেন। নবী (ﷺ) ঘন ঘন বলিতেছিলেন, কাহার কি প্রশ্ন করিবার আছে প্রশ্ন কর! প্রশ্ন কর ! তখন হযরত উমর (রাযিঃ) দুই জানুতে (আদবের সহিত নামাযের বসার মত) বসিলেন এবং বলিলেনঃ আমরা আল্লাহ্কে প্রভুরূপে, ইসলামকে দীনরূপে এবং মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে রাসূলরূপে পাইয়া তুষ্ট আছি। উমর (রাযিঃ) একথা বলার সময় নবী (ﷺ) মৌন রহিলেন। অতঃপর বলিলেনঃ কসম ঐ পবিত্র সত্তার, যাঁহার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, নামায পড়ার সময় আজ ঐ প্রাচীরের গাত্রে (দর্পনের মত) জান্নাত ও জাহান্নাম দেখানো হইয়াছে। আজকের মত মঙ্গল ও অমঙ্গল (পাশাপাশি এত স্বচ্ছভাবে) দেখার সুযোগ আমার আর ঘটে নাই ।
أبواب الأدب المفرد للبخاري
بَابُ مَنْ بَرَكَ عَلَى رُكْبَتَيْهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى الْكَلْبِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى بِهِمُ الظُّهْرَ، فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَذَكَرَ السَّاعَةَ، وَذَكَرَ أَنَّ فِيهَا أُمُورًا عِظَامًا، ثُمَّ قَالَ: مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَسْأَلَ عَنْ شَيْءٍ فَلْيَسْأَلْ عَنْهُ، فَوَاللَّهِ لاَ تَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ إِلاَّ أَخْبَرْتُكُمْ مَا دُمْتُ فِي مَقَامِي هَذَا، قَالَ أَنَسٌ: فَأَكْثَرَ النَّاسُ الْبُكَاءَ حِينَ سَمِعُوا ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَأَكْثَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَقُولَ: سَلُوا، فَبَرَكَ عُمَرُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَقَالَ: رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا، وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً، فَسَكَتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَالَ ذَلِكَ عُمَرُ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أَوْلَى، أَمَا وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَقَدْ عُرِضَتْ عَلَيَّ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ فِي عُرْضِ هَذَا الْحَائِطِ، وَأَنَا أُصَلِّي، فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ فِي الْخَيْرِ وَالشَّرِّ.
তাহকীক: