আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১৪২
৫৩৩. 'সকাল কেমন গেল', বলিলে জবাবে কী বলা হইবে
১১৪২. হযরত মুহাজির (রাহঃ) (তিনি ছিলেন স্বর্ণকার) বলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-এর জনৈক হাযরামী (স্থান বা গোত্রবোধক শব্দ) সাহাবীর সাথে উঠাবসা করিতাম, যিনি ছিলেন বেশ মোটাসোটা। যখন তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করা হইত, 'আপনার সকাল কেমন গেল?' তখন তিনি জবাব দিতেনঃ আমি আল্লাহ্‌র সহিত কাহাকেও শরিক করিতেছি না (অর্থাৎ আল-হামদু লিল্লাহ্‌। শিরক বিহীন ঈমানের সহিত সকাল হইয়াছে।)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ مُهَاجِرٍ هُوَ الصَّائِغُ، قَالَ‏:‏ كُنْتُ أَجْلِسُ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ضَخْمٍ مِنَ الْحَضْرَمِيِّينَ، فَكَانَ إِذَا قِيلَ لَهُ‏:‏ كَيْفَ أَصْبَحْتَ‏؟‏ قَالَ‏:‏ لا نُشْرِكُ بِاللَّهِ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১৪৩
৫৩৩. 'সকাল কেমন গেল', বলিলে জবাবে কী বলা হইবে
১১৪৩. সায়ফ ইব্‌ন ওয়াহব (রাহঃ) বলেন, আবু তুফায়েল আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেনঃ তোমার বয়স কত? আম ব্যলিলাম তেত্রিশ বছর। তিনি বলিলেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি ব্যাপার শুনাইব না যাহা আমি হুযাউফা ইব্‌ন ইয়ামানের কাছে শুনিয়াছি? (তাহা হইলে এই যে,) মাহারিবে-খাস্‌ফার একব্যাক্তি যাঁহাকে আম্‌র ইব্‌ন সুলায় বলিয়া ডাকা হইত এবং যিনি নবী করীম (ﷺ)-এর সাহচর্যও লাভ করিয়াছিলেন, তাঁহার বয়স তখন ছিল আমার আজকের বয়স, আর আমার বয়স তখ ছিল তোমার আজকের বয়সের মত। আমরা মসজিদে হযরত হুযায়ফার কাছে গেলাম। আমি সকলের শেষের কাতারে বসিলাম। কিন্তু আমার আগে গিয়া একেবারে তাঁহার সম্মুখে গিয়া দাঁড়াইলেন। তিমি বলিলেনঃ আপনার সকাল কেমন গেল, অথবা সন্ধ্যা কেমন গেল, হে আব্দুল্লাহ্‌? [ সকাল না বিকালের কথা তাহা রাবীর সঠিক স্মরণ নাই ] জবাবে তিনি বলিলেনঃ আমি আল্লাহ্‌র প্রশংসা করি। তখন আম্‌র জিজ্ঞাসা করিলেনঃ আপনার বারাতে যে সমস্ত কথাবার্তা শুনিতে পাই, সেগুলি সত্যি? তখন হুযায়ফা (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করিলেনঃ আমার বারাতে তোমার কাছে কী কথাবার্তা পৌছিয়াছে, হে আম্‌র? তিনি বলিলেন এমন সব কথাবার্তা যা ইতিপূর্বে আর কোন দিন শুনি নাই! জবাবে তিনি বলিলেনঃ কসম আল্লাহ্‌র, আমি যাহা শুনিতে পাই তাহা যদি তোমাদের কাছে বলি তবে এই রাত পর্যন্ত তোমরা তাহা শুনিবার অপেক্ষা করিবে না। কিন্তু হে অম্‌র ইব্‌ন সুলায়! (যখন একান্তই শুনিতে আসিয়াছ, তখন শুনিয়া রাখ,) যখন সিরিয়ার উপর বনী কায়েস গোত্রের শাসন প্রতিষ্ঠিত হইবে তখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হইবে। কসম আল্লাহ্‌র, হে কায়েস, আল্লাহ্‌র কোন মু'মিন বান্দাকেই ভীত প্রদর্শন করিতে অথবা হত্যা করিতে ছাড়িবে না। কসম খোদার, এমন একটি সময় আসিবে যখন এমন কোন পাপ নাই যাহা তাহারা করিবে না। তখন আম্‌র বলিলেনঃ আল্লাহ্‌ আপনার প্রতি দয়া করুন! এমতাবস্থায় আপনি আমার স্বজাতিকে কী সাহায্য করিবেন? তিনি বলিলেনঃ উহাই তো আমি ভাবিতেছি। অতঃপর তিনি বসিয়া পড়িলেন।
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا رِبْعِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْجَارُودِ الْهُذَلِيُّ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا سَيْفُ بْنُ وَهْبٍ قَالَ‏:‏ قَالَ لِي أَبُو الطُّفَيْلِ‏:‏ كَمْ أَتَى عَلَيْكَ‏؟‏ قُلْتُ‏:‏ أَنَا ابْنُ ثَلاَثٍ وَثَلاَثِينَ، قَالَ‏:‏ أَفَلاَ أُحَدِّثُكَ بِحَدِيثٍ سَمِعْتُهُ مِنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ‏:‏ إِنَّ رَجُلاً مِنْ مُحَارِبِ خَصَفَةَ، يُقَالُ لَهُ‏:‏ عَمْرُو بْنُ صُلَيْعٍ، وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ، وَكَانَ بِسِنِّي يَوْمَئِذٍ وَأَنَا بِسِنِّكَ الْيَوْمَ، أَتَيْنَا حُذَيْفَةَ فِي مَسْجِدٍ، فَقَعَدْتُ فِي آخِرِ الْقَوْمِ، فَانْطَلَقَ عَمْرٌو حَتَّى قَامَ بَيْنَ يَدَيْهِ، قَالَ‏:‏ كَيْفَ أَصْبَحْتَ، أَوْ كَيْفَ أَمْسَيْتَ يَا عَبْدَ اللهِ‏؟‏ قَالَ‏:‏ أَحْمَدُ اللَّهَ، قَالَ‏:‏ مَا هَذِهِ الأَحَادِيثُ الَّتِي تَأْتِينَا عَنْكَ‏؟‏ قَالَ‏:‏ وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي يَا عَمْرُو‏؟‏ قَالَ‏:‏ أَحَادِيثُ لَمْ أَسْمَعْهَا، قَالَ‏:‏ إِنِّي وَاللَّهِ لَوْ أُحَدِّثُكُمْ بِكُلِّ مَا سَمِعْتُ مَا انْتَظَرْتُمْ بِي جُنْحَ هَذَا اللَّيْلِ، وَلَكِنْ يَا عَمْرُو بْنَ صُلَيْعٍ، إِذَا رَأَيْتَ قَيْسًا تَوَالَتْ بِالشَّامِ فَالْحَذَرَ الْحَذَرَ، فَوَاللَّهِ لاَ تَدَعُ قَيْسٌ عَبْدًا لِلَّهِ مُؤْمِنًا إِلاَّ أَخَافَتْهُ أَوْ قَتَلَتْهُ، وَاللَّهِ لَيَأْتِيَنَّ عَلَيْهِمْ زَمَانٌ لاَ يَمْنَعُونَ فِيهِ ذَنَبَ تَلْعَةٍ، قَالَ‏:‏ مَا يَنْصِبُكَ عَلَى قَوْمِكَ يَرْحَمُكَ اللَّهُ‏؟‏ قَالَ‏:‏ ذَاكَ إِلَيَّ، ثُمَّ قَعَدَ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান