আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৯৭৭
৪৪৩- মুয়ানাকা (আলিঙ্গন)।
৯৭৭. আবু আকীল (রাহঃ) জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহর (রাযিঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি নিজে বলিয়াছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জনৈক সাহাবী একটি হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি একখানা হাদীসের সন্ধান পান, তিনি বলেনঃ অতঃপর আমি একটি উট ক্রয় করি এবং তাহাতে আরোহণ করিয়া এক মাসের পথ অতিক্রম করিয়া শাম দেশে (সিরিয়ায়) গিয়া উপস্থিত হই। সেখানে আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আনিস বসবাস করিতেন। তাঁহার নিকট এই বলিয়া সংবাদ পাঠাইলাম যে, জাবির দ্বারে অপেক্ষমান। দূত ফিরিয়া আসিল। জিজ্ঞাসা করিলঃ জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ নাকি ? আমি বলিলাম হ্যাঁ! তখন তিনি বাহিরে ছুটিয়া আসিলেন এবং আমাকে আলিঙ্গন করিলেন। আমি বলিলাম, এমন একখানি হাদীসের কথা আমার নিকট পৌছিয়াছে যাহা আমি নিজে শুনি নাই। আমার আশংকা হইল পাছে এই হাদীসখানা সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত হওয়ার পূর্বে আমিই মৃত্যুমুখে পতিত হই, অথবা আপনিই মৃত্যুমুখে পতিত হন, তাই আপনার সাথে সাক্ষাৎ করিয়া এই ব্যাপারে অবহিত হওয়ার জন্য ছুটিয়া আসিয়াছি। তিনি বলিলেন, আমি নবী করীম (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ আল্লাহ্ তাআলা হাশরের দিন বান্দাগণকে অথবা (তিনি বলিয়াছেন) মানবকে উত্থিত করিবেন বস্ত্রহীন, সহায়-সম্বলহীনভাবে। আমরা বলিলাম, সহায়-সম্বলহীন আবার কি? তিনি বলিলেনঃ তাহাদের কোন সাজসরঞ্জাম কিছুই থাকিবে না। তিনি সকলকে এমন ধ্বনিতে আহবান করিবেন যে, দূরবর্তিগণ উহা শুনিতে পাইবে। (আমার যতদূর মনে পড়ে তিনি ইহাও বলিয়াছেনঃ যেমন শুনিতে পাইবে নিকটবর্তীরা) আমিই রাজাধিরাজ কোন বেহেশতবাসী বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না যতক্ষণ পর্যন্ত কোন দোযখবাসীর তাহার উপর কোন দাবি অবশিষ্ট থাকিবে। আর কোন দোযখবাসীও দোযখে প্রবেশ করিতে পারিবে না যতক্ষণ পর্যন্ত কোন বেহেশতবাসীর তাহার উপর কোন দাবি অবশিষ্ট থাকিবে। আমি বলিলামঃ কেমন করিয়া সে দাবি চুকাইবে যেখানে আমরা সকলে উত্থিত হইব আল্লাহ্‌র সমীপে সহায়-সম্বলহীনভাবে ? বলিলেনঃ নেকী এবং গুনাহ দ্বারা। অর্থাৎ সেদিন দাবি চুকাইবার মাধ্যম হইবে পাপ এবং পুণ্য। পাপী তাহার পুণ্য পাওনাদারকে প্রদান করিয়া তাহার দাবি চুকাইবে আর পুণ্যবান তাহার পুণ্য পাওনাদারের দাবি আদায় করিবে।
بَابُ الْمُعَانَقَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الْوَاحِدِ، عَنِ ابْنِ عَقِيلٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ بَلَغَهُ حَدِيثٌ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَابْتَعْتُ بَعِيرًا فَشَدَدْتُ إِلَيْهِ رَحْلِي شَهْرًا، حَتَّى قَدِمْتُ الشَّامَ، فَإِذَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أُنَيْسٍ، فَبَعَثْتُ إِلَيْهِ أَنَّ جَابِرًا بِالْبَابِ، فَرَجَعَ الرَّسُولُ فَقَالَ‏:‏ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ‏؟‏ فَقُلْتُ‏:‏ نَعَمْ، فَخَرَجَ فَاعْتَنَقَنِي، قُلْتُ‏:‏ حَدِيثٌ بَلَغَنِي لَمْ أَسْمَعْهُ، خَشِيتُ أَنْ أَمُوتَ أَوْ تَمُوتَ، قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ‏:‏ يَحْشُرُ اللَّهُ الْعِبَادَ، أَوِ النَّاسَ، عُرَاةً غُرْلاً بُهْمًا، قُلْتُ‏:‏ مَا بُهْمًا‏؟‏ قَالَ‏:‏ لَيْسَ مَعَهُمْ شَيْءٌ، فَيُنَادِيهِمْ بِصَوْتٍ يَسْمَعُهُ مَنْ بَعُدَ، أَحْسَبُهُ قَالَ‏:‏ كَمَا يَسْمَعُهُ مَنْ قَرُبَ‏:‏ أَنَا الْمَلِكُ، لاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ وَأَحَدٌ مِنْ أَهْلِ النَّارِ يَطْلُبُهُ بِمَظْلَمَةٍ، وَلاَ يَنْبَغِي لأَحَدٍ مِنْ أَهْلِ النَّارِ يَدْخُلُ النَّارَ وَأَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ يَطْلُبُهُ بِمَظْلَمَةٍ، قُلْتُ‏:‏ وَكَيْفَ‏؟‏ وَإِنَّمَا نَأْتِي اللَّهَ عُرَاةً بُهْمًا‏؟‏ قَالَ‏:‏ بِالْحَسَنَاتِ وَالسَّيِّئَاتِ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান