আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৯৬৪
৪৩৫. অপর ভাইয়ের উরুতে থাপ্পড় মারিয়া কথা বলা যদি উদ্দেশ্য খারাপ না হয়
৯৬৪. আবুল আলিয়া বারা বলেন, একদা আব্দুল্লাহ্ ইব্ন সামিত (রাযিঃ) আমার বাড়ির পাশ দিয়া অতিক্রম করিতেছিলেন, আমি তাঁহার জন্য চেয়ার বাড়াইয়া দিলাম। তিনি তাহাতে বসিলেন। আমি তাহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলাম, আচ্ছা ইব্ন যিয়াদ যে নামায দেরিতে পড়িতে শুরু করিল, এ ব্যাপারে আপনি আমাকে কি করিতে বলেন? তখন তিনি আমার উরুতে একটি থাপ্পড় মারিলেন। (রাবী বলেন, আমার যতদূর মনে পড়ে তিনি এ প্রসঙ্গে ইহাও বলিয়াছেন যে, উহার আঘাত আমার উরুতে যেন লাগিয়াও ছিল।) তারপর তিনি বলিলেন, হুবহু এই প্রশ্নটি আমি হযরত আবু যারকে করিয়াছিলাম। তখন তিনি আমার উরুতে থাপ্পড় মারিলেন। যেমনিভাবে তোমার উরুতে আমি থাপ্পড় মারিলাম, তখন তিনি বলিলেন, তুমি ওয়াক্ত মতই নামায পড়িয়া লইবে, যদি পরে তাহাদের সহিত মিলিত হও তবে (তাহাদের সাথে) নামায পড়িয়া নিবে, তবুও বলিবে না, আমি তো নামায পড়িয়া নিয়াছি, সুতরাং এখন আর নামায পড়িতেছি না।
بَابُ إِذَا ضَرَبَ الرَّجُلُ فَخِذَ أَخِيهِ وَلَمْ يُرِدْ بِهِ سُوءًا
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ أَبِي تَمِيمَةَ، عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ الْبَرَاءِ قَالَ: مَرَّ بِي عَبْدُ اللهِ بْنُ الصَّامِتِ، فَأَلْقَيْتُ لَهُ كُرْسِيًّا، فَجَلَسَ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّ ابْنَ زِيَادٍ قَدْ أَخَّرَ الصَّلاَةَ، فَمَا تَأْمُرُ؟ فَضَرَبَ فَخِذِي ضَرْبَةً، أَحْسَبُهُ قَالَ: حَتَّى أَثَّرَ فِيهَا، ثُمَّ قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا ذَرٍّ كَمَا سَأَلْتَنِي، فَضَرَبَ فَخِذِي كَمَا ضَرَبْتُ فَخِذَكَ، فَقَالَ: صَلِّ الصَّلاَةَ لِوَقْتِهَا، فَإِنْ أَدْرَكْتَ مَعَهُمْ فَصَلِّ، وَلاَ تَقُلْ: قَدْ صَلَّيْتُ، فلا أُصَلِّي.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৯৬৫
৪৩৫. অপর ভাইয়ের উরুতে থাপ্পড় মারিয়া কথা বলা যদি উদ্দেশ্য খারাপ না হয়
৯৬৫. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলেন, একদা উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে একদল সাহাবীসহ ইব্ন সাইয়াদের খোঁজে বাহির হইলেন। শেষ পর্যন্ত তাহারা তাহাকে বনি মাগাল গোত্রের দুর্গে ছেলেপেলেদের সাথে খেলায় রত অবস্থায় পাইলেন। ইব্ন সাইয়াদ তখন প্রায় বালিগ হয় হয়। তাহাদের উপস্থিতি সে টের পায় নাই। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শেষ পর্যন্ত পবিত্র হস্তে তাহার পিঠে থাপ্পড় মারিলেন। অতঃপর বলিলেন, তুমি কি একথার সাক্ষ্য দাও যে, আমি আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূল? সে তখন তাঁহার দিকে তাকাইল এবং বলিয়া উঠিলঃ আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আপনি উম্মী অর্থাৎ নিরক্ষরদের নবী। ইব্ন সাইয়াদ বলিলঃ আমি যে আল্লাহ্র রাসূলুল্লাহ্ আপনি কি তাহার সাক্ষ্য দেন? নবী করীম (ﷺ) তখন তাহার কাধে থাপ্পড় মারিয়া বলিলেনঃ আমি আল্লাহ্র প্রতি এবং তাঁহার রাসূলের প্রতি ঈমান আনয়ন করিয়াছি। অতঃপর তিনি ইব্ন সাইয়াদকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ তুমি কি দেখিতে পাও ? ইব্ন সাইয়াদ বলিল, আমার কাছে সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী উভয়টাই আসে। প্রত্যুত্তরে নবী করীম (ﷺ) বলিলেন, ব্যাপারটি তোমার কাছে বিভ্রান্তিকর করা হইয়াছে। নবী করীম (ﷺ) বলিলেন, আমি তোমার কাছে একটি ব্যাপার গোপন করিতেছি। (অর্থাৎ আমি মনে মনে একটি জিনিসের কথা চিন্তা করিতেছি যাহা তোমার কাছে প্রকাশ করিতেছি না।) সে বলিল ও উহা হইতেছে দুখ (ধুয়া) [অন্য হাদীসের দ্বারা জানা যায় নবী করীম (ﷺ) তখন সূরা দুখানের কথাই ভাবিতেছিলেন। (দুখান অর্থ ধোয়াই)] নবী করীম (ﷺ) বলিলেনঃ তুমি তোমার জন্য নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করিতে পারিবে না। হযরত উমর (রাযিঃ) বলিয়া উঠিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি আমাকে উহার গর্দান মারিতে অনুমতি দেন ? নবী করীম (ﷺ) বলিলেনঃ যদি সে (অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতে প্রকাশমান দাজ্জাল) হইয়া থাকে, তবে তুমি তাহার সহিত পারিয়া উঠিবে না, আর যদি সে না হইয়া থাকে, তবে তাহার হত্যায় তোমার কোন মঙ্গল নাই।
রাবী সালিম বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমরকে বলিতে শুনিয়াছি, ইহার পর আর একবার নবী করীম (ﷺ) এবং উবাই ইব্ন কাব (রাযিঃ) সেই খেজুর বাগিচায় গিয়াছিলেন সেখানে ইব্ন সাইয়াদ ছিল। নবী করীম (ﷺ) যখন সেখানে প্রবেশ করিলেন তখন তিনি সংগোপনে খেজুর গাছের কাণ্ডের আড়ালে ইব্ন সাইয়াদ তাঁহাকে দেখিবার পূর্বেই সে যাহা বলিয়া যাইতেছিল, তাহা শুনিতে লাগিলেন। ইব্ন সাইয়াদ তখন একটি কম্বল গা-মোড়া দিয়া তাহার বিছানায় শায়িত অবস্থায় কী যেন বিড়বিড় করিয়া বকিতেছিল। ইব্ন সাইয়াদের মাতা তখন তাহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিয়া উঠিলঃ হে সাফ (ইহা ছিল তাহার নাম) এই যে মুহাম্মাদ। তখন ইব্ন সাইয়াদ থামিয়া গেল। নবী করীম (ﷺ) বলেন, সে যদি তাহাকে সতর্ক করা হইতে বিরত থাকিত তবে সে তাহার মনের কথা বলিয়া যাইত। এবং তাহার স্বরূপ আমাদের কাছে উদ্ঘাটিত হইয়া যাইত।
সালিম বলেন, আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদা জনসমাবেশে ভাষণ প্রদান করিতে দণ্ডায়মান হইলেন। চিরাচরিত অভ্যাস অনুসারে প্রথমে তিনি আল্লাহ্র প্রশংসা করিলেনযে প্রশংসা তাঁহার জন্যই শোভনীয়। অতঃপর দাজ্জাল প্রসঙ্গ উত্থাপন করিলেন এবং বলিলেন, আমি তোমাদিগকে তাহার ব্যাপারে সতর্ক করিয়া দিতেছি এবং এমন কোন নবী নাই যিনি তাঁহার কাওমকে এ ব্যাপারে সতর্ক না করিয়াছেন এমন কি হযরত নূহ্ নবীও তাঁহার কাওমকে সতর্ক করিয়াছেন, তবে আমি তাহার ব্যাপারে এমন একটি কথা বলিতেছি যাহা পূর্ববর্তী নবীগণ বলেন নাই। জানিয়া রাখ সে হইবে কানা (একচক্ষু বিশিষ্ট) আর আল্লাহ্ কখনো কানা হইতে পারেন না।
রাবী সালিম বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইব্ন উমরকে বলিতে শুনিয়াছি, ইহার পর আর একবার নবী করীম (ﷺ) এবং উবাই ইব্ন কাব (রাযিঃ) সেই খেজুর বাগিচায় গিয়াছিলেন সেখানে ইব্ন সাইয়াদ ছিল। নবী করীম (ﷺ) যখন সেখানে প্রবেশ করিলেন তখন তিনি সংগোপনে খেজুর গাছের কাণ্ডের আড়ালে ইব্ন সাইয়াদ তাঁহাকে দেখিবার পূর্বেই সে যাহা বলিয়া যাইতেছিল, তাহা শুনিতে লাগিলেন। ইব্ন সাইয়াদ তখন একটি কম্বল গা-মোড়া দিয়া তাহার বিছানায় শায়িত অবস্থায় কী যেন বিড়বিড় করিয়া বকিতেছিল। ইব্ন সাইয়াদের মাতা তখন তাহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিয়া উঠিলঃ হে সাফ (ইহা ছিল তাহার নাম) এই যে মুহাম্মাদ। তখন ইব্ন সাইয়াদ থামিয়া গেল। নবী করীম (ﷺ) বলেন, সে যদি তাহাকে সতর্ক করা হইতে বিরত থাকিত তবে সে তাহার মনের কথা বলিয়া যাইত। এবং তাহার স্বরূপ আমাদের কাছে উদ্ঘাটিত হইয়া যাইত।
সালিম বলেন, আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলিয়াছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদা জনসমাবেশে ভাষণ প্রদান করিতে দণ্ডায়মান হইলেন। চিরাচরিত অভ্যাস অনুসারে প্রথমে তিনি আল্লাহ্র প্রশংসা করিলেনযে প্রশংসা তাঁহার জন্যই শোভনীয়। অতঃপর দাজ্জাল প্রসঙ্গ উত্থাপন করিলেন এবং বলিলেন, আমি তোমাদিগকে তাহার ব্যাপারে সতর্ক করিয়া দিতেছি এবং এমন কোন নবী নাই যিনি তাঁহার কাওমকে এ ব্যাপারে সতর্ক না করিয়াছেন এমন কি হযরত নূহ্ নবীও তাঁহার কাওমকে সতর্ক করিয়াছেন, তবে আমি তাহার ব্যাপারে এমন একটি কথা বলিতেছি যাহা পূর্ববর্তী নবীগণ বলেন নাই। জানিয়া রাখ সে হইবে কানা (একচক্ষু বিশিষ্ট) আর আল্লাহ্ কখনো কানা হইতে পারেন না।
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ ، قَالَ : أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ أَخْبَرَهُ ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ انْطَلَقَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِي رَهْطٍ مِنْ أَصْحَابِهِ , قِبَلَ ابْنِ صَيَّادٍ ، حَتَّى وَجَدُوهُ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ , فِي أُطُمِ بَنِي مَغَالَةَ ، وَقَدْ قَارَبَ ابْنُ صَيَّادٍ يَوْمَئِذٍ الْحُلُمَ ، فَلَمْ يَشْعُرْ حَتَّى ضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ظَهْرَهُ بِيَدِهِ ، ثُمَّ قَالَ : " أَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ؟ " ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَقَالَ : أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ الأُمِّيِّينَ ، قَالَ ابْنُ صَيَّادٍ : فَتَشْهَدُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ ؟ فَرَصَّهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , ثُمَّ قَالَ : " آمَنْتُ بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ " ، ثُمَّ قَالَ لابْنِ صَيَّادٍ : " مَاذَا تَرَى ؟ " ، فَقَالَ ابْنُ صَيَّادٍ : يَأْتِينِي صَادِقٌ وَكَاذِبٌ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " خُلِّطَ عَلَيْكَ الأَمْرُ " ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنِّي خَبَّأْتُ لَكَ خَبِيئًا " ، قَالَ : هُوَ الدُّخُّ ، قَالَ : " اخْسَأْ فَلَمْ تَعْدُ قَدْرَكَ " ، قَالَ عُمَرُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، أَتَأْذَنُ لِي فِيهِ أَنْ أَضْرِبَ عُنُقَهُ ؟ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنْ يَكُ هُوَ لا تُسَلَّطُ عَلَيْهِ ، وَإِنْ لَمْ يَكُ هُوَ فَلا خَيْرَ لَكَ فِي قَتْلِهِ " ، قَالَ سَالِمٌ : فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ , يَقُولُ : انْطَلَقَ بَعْدَ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ وَأُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ الأَنْصَارِيُّ يَوْمًا , إِلَى النَّخْلِ الَّتِي فِيهَا ابْنُ صَيَّادٍ ، حَتَّى إِذَا دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَفِقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ ، وَهُوَ يَسْمَعُ مِنِ ابْنِ صَيَّادٍ شَيْئًا قَبْلَ أَنْ يَرَاهُ ، وَابْنُ صَيَّادٍ مُضْطَجِعٌ عَلَى فِرَاشِهِ فِي قَطِيفَةٍ لَهُ فِيهَا زَمْزَمَةٌ ، فَرَأَتْ أُمُّ ابْنِ صَيَّادٍ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ يَتَّقِي بِجُذُوعِ النَّخْلِ ، فَقَالَتْ لابْنِ صَيَّادٍ : أَيْ صَافُ وَهُوَ اسْمُهُ هَذَا مُحَمَّدٌ ، فَتَنَاهَى ابْنُ صَيَّادٍ ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَوْ تَرَكَتْهُ لَبَيَّنَ " ، قَالَ سَالِمٌ : قَالَ عَبْدُ اللَّهِ : قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ، ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ , فَقَالَ : " إِنِّي أُنْذِرُكُمُوهُ ، وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلا وَقَدْ أَنْذَرَ قَوْمَهُ ، لَقَدْ أَنْذَرَ نُوحٌ قَوْمَهُ ، وَلَكِنْ سَأَقُولُ لَكُمْ فِيهِ قَوْلا لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ : تَعْلَمُونَ أَنَّهُ أَعْوَرُ ، وَأَنَّ اللَّهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
