আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮১৭
৩৫৩- উপ-নাম রাখিতে সঙ্গতি রক্ষা
৮১৭. হযরত হানী ইব্‌ন ইয়াযীদ (রাযিঃ) বলেন, তিনি যখন একটি প্রতিনিধি দলের সহিত নবী করীম (ﷺ)-এর খেদমতে উপস্থিত হইলেন, তখন নবী করীম (ﷺ) তাহার সম্প্রদায়ের লোকজনকে তাহাকে আবুল হিকাম’ বলিয়া সম্বোধন করিতে শুনিলেন। তখন নবী করীম (ﷺ) তাহাকে ডাকাইয়া বলিলেনঃ আল্লাহ্‌ই হইতেছেন হিকাম (ফয়সালাকারী) এবং হুকুম একমাত্র তাঁহারই। এমতাবস্থায় তুমি নিজের সম্বোধন যুক্ত নাম আবুল হিকাম’ রাখিয়াছ কেমন করিয়া? জবাবে তিনি বলিলেন, ব্যাপার তাহা নহে। বরং আমার সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে যখন কোন ব্যাপারে মতানৈক্য হয়, তখন তাহারা উহার মীমাংসার জন্য আমার কাছে আসে আর তাহাদের উভয় পক্ষ আমার মীমাংসা হৃষ্টচিত্তে মানিয়াও লয়। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ উহা কতই না উত্তম কথা! তারপর জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার কি কোন পুত্রসন্তান আছে ? আমি বলিলামঃ শুরায়হ্, আব্দুল্লাহ্ ও মুসলিম নামে আমার তিন পুত্র রহিয়াছে। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, উহাদের মধ্যে বড় কে? আমি বলিলাম, শুরায়হ্। তিনি বলিলেনঃ তাহা হইলে তুমি হইতেছ আবু শুরায়হ্। (অর্থাৎ উহাই হইবে তোমার সম্বোধন যুক্ত নাম।) অতঃপর তিনি তাঁহার জন্য এবং তাঁহার পুত্রদের জন্য দুআ করিলেন। উহাদের মধ্যকার একজনকে আব্দুল হাজার (পাথরের দাস) বলিয়া ডাকিতে নবী করীম (ﷺ) শুনিতে পাইলেন। তখন নবী করীম (ﷺ) বলিলেনঃ তোমার নাম কি ? সে ব্যক্তি বলিল, আব্দুল হাজার। বলিলেনঃ না বরং তোমার নাম হইতেছে আব্দুল্লাহ্। শুরায়হ্ বলেন, স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালে হানী যখন নবী করীম (ﷺ)-এর খেদমতে উপস্থিত হইলেন, তখন তিনি বলিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোন্ বস্তু দ্বারা জান্নাত আমার জন্য ওয়াজিব হইবে উহা আমাকে বাতলাইয়া দিন। তিনি বলিলেনঃ তুমি সর্বদা উত্তম কথা বলিবে এবং খাদ্য-আহার্য দান করিবে।
بَابُ كُنْيَةِ أَبِي الْحَكَمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَعْقُوبَ , قَالَ : حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ الْحَارِثِيُّ ، عَنْ أَبِيهِ الْمِقْدَامِ ، عَنْ شُرَيْحِ بْنِ هَانِئٍ , قَالَ : حَدَّثَنِي هَانِئُ بْنُ يَزِيدَ ، أَنَّهُ لَمَّا وَفَدَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ قَوْمِهِ ، فَسَمِعَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمْ يُكَنُّونَهُ بِأَبِي الْحَكَمِ ، فَدَعَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : " إِنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَكَمُ ، وَإِلَيْهِ الْحُكْمُ ، فَلِمَ تَكَنَّيْتَ بِأَبِي الْحَكَمِ ؟ " ، قَالَ : لا ، وَلَكِنَّ قَوْمِي إِذَا اخْتَلَفُوا فِي شَيْءٍ أَتَوْنِي فَحَكَمْتُ بَيْنَهُمْ ، فَرَضِيَ كِلا الْفَرِيقَيْنِ ، قَالَ : " مَا أَحْسَنَ هَذَا " ، ثُمَّ قَالَ : " مَا لَكَ مِنَ الْوَلَدِ ؟ " ، قُلْتُ : لِي شُرَيْحٌ ، وَعَبْدُ اللَّهِ ، وَمُسْلِمٌ ، بَنُو هَانِئٍ ، قَالَ : " فَمَنْ أَكْبَرُهُمْ ؟ " ، قُلْتُ : شُرَيْحٌ ، قَالَ : " فَأَنْتَ أَبُو شُرَيْحٍ " ، وَدَعَا لَهُ وَلِوَلَدِهِ ، وَسَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمًا , يُسَمُّونَ رَجُلا مِنْهُمْ : عَبْدَ الْحَجَرِ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَا اسْمُكَ ؟ " ، قَالَ : عَبْدُ الْحَجَرِ ، قَالَ : " لا ، أَنْتَ عَبْدُ اللَّهِ " ، قَالَ شُرَيْحٌ : وَإِنَّ هَانِئًا لَمَّا حَضَرَ رُجُوعُهُ إِلَى بِلادِهِ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ : أَخْبِرْنِي بِأَيِّ شَيْءٍ يُوجِبُ لِيَ الْجَنَّةَ ؟ ، قَالَ : عَلَيْكَ بِحُسْنِ الْكَلامِ ، وَبَذْلِ الطَّعَامِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান