আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৮৫
২৬৬. কোন ব্যাপারে তাড়াহুড়া না করা
৫৮৫. হযরত হাসান (রাযিঃ) বলেন, এক ব্যক্তি মৃত্যুমুখে পতিত হয়। মৃত্যুকালে সে একটি শিশু সন্তান এবং একটি ক্রীতদাস রাখিয়া যায়। ক্রীতদাসকে সে তাহার পুত্রের ব্যাপারে ওসীয়ত করিয়া যায় (সে যেন বিশ্বস্ততার সহিত তাহার দেখাশোনা করে)। ক্রীতদাসটি এ ব্যাপারে কোনরূপ ত্রুটি করিল না। এমনকি বালকটি বয়ঃপ্রাপ্ত হইল এবং ক্রীতদাসটি তাহাকে বিবাহও করাইয়া দিল। এবার সে ক্রীতদাসটিকে বলিলঃ আমার বিদ্যান্নেষণে যাওয়ার আয়োজন কর, আমি বিদ্যান্নেষণ করিব। তাহার কথামত ক্রীতদাসটি তাহার বিদ্যান্নেষণে যাত্রার আয়োজন করিল। সে একজন আলিমের দরবারে গিয়া উপস্থিত হইল এবং তাঁহার নিকট জ্ঞানদানের আবেদন জানাইল। আলিম তাহাকে বলিলেনঃ যখন তোমার প্রস্থানের সময় হইবে, তখন আমাকে বলিও, আমি তোমাকে জ্ঞানের কথা শিক্ষা দিব। সত্য সত্যই যখন তাহার প্রস্থানের সময় হইল, তখন সে আলিমকে বলিলঃ আমি এখন প্রস্থান করিব, আপনি আমাকে জ্ঞানের কথা শিক্ষা দিন! আলিম বলিলেনঃ আল্লাহ্কে ভয় করিবে, ধৈর্যধারণ করিবে এবং কোন ব্যাপারে তাড়াহুড়া করিবে না।
হযরত হাসান (রাযিঃ) বলেনঃ ইহাতে সমুদয় কল্যাণ নিহিত রহিয়াছে। অতঃপর সে যখন প্রত্যাবর্তন করিল, তখন উহা তাহার স্মরণপটে জাগরুক রহিল। কেননা, কথা তো মাত্র তিনটিই ছিল। অতঃপর সে যখন তাহার পরিবারের কাছে আসিল এবং সাওয়ারী হইতে অবতরণ করিল, তখন দেখিতে পাইল যে, একটি নারী ও পুরুষ অল্প তফাতে শুইয়া রহিয়াছে এবং সে নারীটি তাহারই সহধর্মিণী! সে মনে মনে বলিলঃ এহেন দৃশ্য দেখার পর আর কিসের অপেক্ষা! সে তাহার সাওয়ারীর কাছে ফিরিয়া গেল এবং তরবারি ধরিতে গিয়াই স্মরণ পড়িয়া গেল, আল্লাহ্কে ভয় করিবে, ধৈর্যধারণ করিবে এবং কোন ব্যাপারে তাড়াহুড়া করিবে না। আবার যখন তাহার শিয়রে গিয়া উপস্থিত হইল, তখন পুনরায় বলিলঃ এমন দৃশ্য দেখার পর আর কিসের জন্য অপেক্ষা করা! পুনরায় সে সাওয়ারীর নিকট গিয়া উপস্থিত হইল এবং তলোয়ার ধরিতে যাইতেই পুনরায় উহা স্মরণ হইয়া গেল। পুনরায় সে তাহার শিয়রে গিয়া উপস্থিত হইল। তখন সে নিদ্রিত ব্যক্তিটি জাগ্রত হইল এবং তাহাকে দেখিতে পাইয়া সাথে সাথে তাহাকে জড়াইয়া ধরিল, আলিঙ্গন করিলঃ চুম্বন করিল। সে ব্যক্তিটি তখন তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, আমাদের নিকট হইতে যাওয়ার পর আপনি কী জ্ঞান অর্জন করিলেন? সে বলিলঃ আল্লাহ্র কসম, তোমাদের নিকট হইতে যাওয়ার পর আমি প্রভূত কল্যাণ লাভ করিয়াছি। আজ রাতে আমি তিনবার তরবারি এবং তোমার মধ্যে যাতায়াত করিয়াছি এবং যে জ্ঞান আমি অর্জন করিয়াছি, উহাই তোমাকে হত্যা করা হইতে আমাকে বিরত রাখিয়াছে।
হযরত হাসান (রাযিঃ) বলেনঃ ইহাতে সমুদয় কল্যাণ নিহিত রহিয়াছে। অতঃপর সে যখন প্রত্যাবর্তন করিল, তখন উহা তাহার স্মরণপটে জাগরুক রহিল। কেননা, কথা তো মাত্র তিনটিই ছিল। অতঃপর সে যখন তাহার পরিবারের কাছে আসিল এবং সাওয়ারী হইতে অবতরণ করিল, তখন দেখিতে পাইল যে, একটি নারী ও পুরুষ অল্প তফাতে শুইয়া রহিয়াছে এবং সে নারীটি তাহারই সহধর্মিণী! সে মনে মনে বলিলঃ এহেন দৃশ্য দেখার পর আর কিসের অপেক্ষা! সে তাহার সাওয়ারীর কাছে ফিরিয়া গেল এবং তরবারি ধরিতে গিয়াই স্মরণ পড়িয়া গেল, আল্লাহ্কে ভয় করিবে, ধৈর্যধারণ করিবে এবং কোন ব্যাপারে তাড়াহুড়া করিবে না। আবার যখন তাহার শিয়রে গিয়া উপস্থিত হইল, তখন পুনরায় বলিলঃ এমন দৃশ্য দেখার পর আর কিসের জন্য অপেক্ষা করা! পুনরায় সে সাওয়ারীর নিকট গিয়া উপস্থিত হইল এবং তলোয়ার ধরিতে যাইতেই পুনরায় উহা স্মরণ হইয়া গেল। পুনরায় সে তাহার শিয়রে গিয়া উপস্থিত হইল। তখন সে নিদ্রিত ব্যক্তিটি জাগ্রত হইল এবং তাহাকে দেখিতে পাইয়া সাথে সাথে তাহাকে জড়াইয়া ধরিল, আলিঙ্গন করিলঃ চুম্বন করিল। সে ব্যক্তিটি তখন তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, আমাদের নিকট হইতে যাওয়ার পর আপনি কী জ্ঞান অর্জন করিলেন? সে বলিলঃ আল্লাহ্র কসম, তোমাদের নিকট হইতে যাওয়ার পর আমি প্রভূত কল্যাণ লাভ করিয়াছি। আজ রাতে আমি তিনবার তরবারি এবং তোমার মধ্যে যাতায়াত করিয়াছি এবং যে জ্ঞান আমি অর্জন করিয়াছি, উহাই তোমাকে হত্যা করা হইতে আমাকে বিরত রাখিয়াছে।
بَابُ التُّؤَدَةِ فِي الأمُورِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو هِلاَلٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، أَنَّ رَجُلاً تُوُفِّيَ وَتَرَكَ ابْنًا لَهُ وَمَوْلًى لَهُ، فَأَوْصَى مَوْلاَهُ بِابْنِهِ، فَلَمْ يَأْلُوهُ حَتَّى أَدْرَكَ وَزَوَّجَهُ، فَقَالَ لَهُ: جَهَّزْنِي أَطْلُبِ الْعِلْمَ، فَجَهَّزَهُ، فَأَتَى عَالِمًا فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: إِذَا أَرَدْتَ أَنْ تَنْطَلِقَ فَقُلْ لِي أُعَلِّمْكَ، فَقَالَ: حَضَرَ مِنِّي الْخُرُوجُ فَعَلِّمْنِي، فَقَالَ: اتَّقِ اللَّهَ وَاصْبِرْ، وَلاَ تَسْتَعْجِلْ. قَالَ الْحَسَنُ: فِي هَذَا الْخَيْرُ كُلُّهُ، فَجَاءَ وَلاَ يَكَادُ يَنْسَاهُنَّ، إِنَّمَا هُنَّ ثَلاَثٌ، فَلَمَّا جَاءَ أَهْلَهُ نَزَلَ عَنْ رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا نَزَلَ الدَّارَ إِذَا هُوَ بِرَجُلٍ نَائِمٍ مُتَرَاخٍ عَنِ الْمَرْأَةِ، وَإِذَا امْرَأَتُهُ نَائِمَةٌ، قَالَ: وَاللَّهِ مَا أُرِيدُ مَا أَنْتَظِرُ بِهَذَا؟ فَرَجَعَ إِلَى رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَأْخُذَ السَّيْفَ قَالَ: اتَّقِ اللَّهَ وَاصْبِرْ، وَلاَ تَسْتَعْجِلْ. فَرَجَعَ، فَلَمَّا قَامَ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ: مَا أَنْتَظِرُ بِهَذَا شَيْئًا، فَرَجَعَ إِلَى رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَأْخُذَ سَيْفَهُ ذَكَرَهُ، فَرَجَعَ إِلَيْهِ، فَلَمَّا قَامَ عَلَى رَأْسِهِ اسْتَيْقَظَ الرَّجُلُ، فَلَمَّا رَآهُ وَثَبَ إِلَيْهِ فَعَانَقَهُ وَقَبَّلَهُ، وَسَاءَلَهُ قَالَ: مَا أَصَبْتَ بَعْدِي؟ قَالَ: أَصَبْتُ وَاللَّهِ بَعْدَكَ خَيْرًا كَثِيرًا، أَصَبْتُ وَاللَّهِ بَعْدَكَ: أَنِّي مَشَيْتُ اللَّيْلَةَ بَيْنَ السَّيْفِ وَبَيْنَ رَأْسِكَ ثَلاَثَ مِرَارٍ، فَحَجَزَنِي مَا أَصَبْتُ مِنَ الْعِلْمِ عَنْ قَتْلِكَ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান