আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৪৯
২৫১. অহংকার
৫৪৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্ন আম্র (রাযিঃ) বলেনঃ একদা আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট বসা ছিলাম, তখন এক মরুবাসী যাহার পরিধানে ছিল মীজান (এক প্রকার মাছ) রংয়ের জুব্বা, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে আসিয়া একেবারে তাঁহার মাথার কাছে দাঁড়াইল এবং বলিল, তোমাদের নেতা আরোহীদিগকে অবদমিত করিয়াছেন অথবা সে ব্যক্তি বলিয়াছেনঃ তিনি আরোহীদিগকে অবদমিত এবং রাখালদের সমুন্নত করিতে চাহেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তখন তাহার জুব্বার বন্ধনস্থল ধরিলেন এবং বলিলেনঃ তোমাকে আমি কি নির্বোধের পোশাকে দেখিতেছি না? অতঃপর তিনি বলিলেনঃ যখন আল্লাহ্র নবী হযরত নূহের ইন্তিকালের সময় উপস্থিত হইল তখন তিনি তাহার পুত্রকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ আমি তোমাকে একটি উপদেশের মাধ্যমে দুইটি বিষয়ে আদেশ করিতেছি এবং দুইটি বিষয় হইতে বারণ করিতেছি। আমি তোমাকে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’-এর নির্দেশ দিতেছি। কেননা, সাত আসমান ও সাত যমীনকে যদি এক পাল্লায় তোলা হয় আর অপর পাল্লায় ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ তোলা হয়, তবে সেই পাল্লাই ভারী প্রতিপন্ন হইবে। সাত আসমান ও সাত যমীন যদি একটি জটিল গ্রন্থির রূপ ধারণ করে তবে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ এবং ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বি-হামদিহী’ উহা ভাঙ্গিয়া দিবে, কেননা উহা হইতেছে সব কিছুরই নামায এবং সকলেই উহার বদৌলতে জীবিকা লাভ করিয়া থাকে।
যে দুইটি বিষয় হইতে বারণ করিতেছি তাহা হইল শিরক এবং অহংকার। আমি বলিলাম. অথবা রাবী বলিয়াছেনঃ তাহাকে বলা হইল, শিরক তো আমরা বুঝিলাম, অহংকার কি ? আমাদের কাহারো যদি সুন্দর পোশাক থাকে আর সে উহা পরিধান করে তবে কি অহংকার হইবে ? বলিলেনঃ না। প্রশ্নকারী আবার বলিল, যদি আমাদের কোন ব্যক্তির সুন্দর এক জোড়া পাদুকা থাকে আর উহার একজোড়া সুন্দর ফিতাও থাকে, তবে উহা কি অহংকারের আওতায় পড়ে? বলিলেনঃ না। প্রশ্নকারী পুনরায় বলিল, যদি আমাদের কোন ব্যক্তির একটি বাহন জন্তু থাকে আর সে উহাতে আরোহণ করে, তবে উহা কি অহংকার হইবে? তিনি বলিলেন, না। প্রশ্নকারী পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, যদি আমাদের কোন ব্যক্তির বন্ধু-বান্ধব থাকে আর তাহারা তাহার সহিত ওঠা-বসাও করে, তবে তাহা কি অহংকার হইবে ? বলিলেনঃ না। তখন প্রশ্নকারী বলিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তাহা হইলে অহংকার বস্তুটা কি? বলিলেনঃ সত্য হইতে পরান্মুখ থাকা এবং মানুষকে হেয় মনে করা।
যে দুইটি বিষয় হইতে বারণ করিতেছি তাহা হইল শিরক এবং অহংকার। আমি বলিলাম. অথবা রাবী বলিয়াছেনঃ তাহাকে বলা হইল, শিরক তো আমরা বুঝিলাম, অহংকার কি ? আমাদের কাহারো যদি সুন্দর পোশাক থাকে আর সে উহা পরিধান করে তবে কি অহংকার হইবে ? বলিলেনঃ না। প্রশ্নকারী আবার বলিল, যদি আমাদের কোন ব্যক্তির সুন্দর এক জোড়া পাদুকা থাকে আর উহার একজোড়া সুন্দর ফিতাও থাকে, তবে উহা কি অহংকারের আওতায় পড়ে? বলিলেনঃ না। প্রশ্নকারী পুনরায় বলিল, যদি আমাদের কোন ব্যক্তির একটি বাহন জন্তু থাকে আর সে উহাতে আরোহণ করে, তবে উহা কি অহংকার হইবে? তিনি বলিলেন, না। প্রশ্নকারী পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন, যদি আমাদের কোন ব্যক্তির বন্ধু-বান্ধব থাকে আর তাহারা তাহার সহিত ওঠা-বসাও করে, তবে তাহা কি অহংকার হইবে ? বলিলেনঃ না। তখন প্রশ্নকারী বলিলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তাহা হইলে অহংকার বস্তুটা কি? বলিলেনঃ সত্য হইতে পরান্মুখ থাকা এবং মানুষকে হেয় মনে করা।
بَابُ الْكِبْرِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الصَّقْعَبِ بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ: لاَ أَعْلَمُهُ إِلاَّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا عِنْدَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ عَلَيْهِ جُبَّةُ سِيجَانٍ، حَتَّى قَامَ عَلَى رَأْسِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ: إِنَّ صَاحِبَكُمْ قَدْ وَضَعَ كُلَّ فَارِسٍ، أَوْ قَالَ: يُرِيدُ أَنْ يَضَعَ كُلَّ فَارِسٍ، وَيَرْفَعَ كُلَّ رَاعٍ، فَأَخَذَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمَجَامِعِ جُبَّتِهِ فَقَالَ: أَلاَ أَرَى عَلَيْكَ لِبَاسَ مَنْ لاَ يَعْقِلُ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ نَبِيَّ اللهِ نُوحًا صلى الله عليه وسلم لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ قَالَ لِابْنِهِ: إِنِّي قَاصٌّ عَلَيْكَ الْوَصِيَّةَ، آمُرُكَ بِاثْنَتَيْنِ، وَأَنْهَاكَ عَنِ اثْنَتَيْنِ: آمُرُكَ بِلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، فَإِنَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ وَالأَرَضِينَ السَّبْعَ، لَوْ وُضِعْنَ فِي كِفَّةٍ وَوُضِعَتْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فِي كِفَّةٍ لَرَجَحَتْ بِهِنَّ، وَلَوْ أَنَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعَ وَالأَرَضِينَ السَّبْعَ كُنَّ حَلْقَةً مُبْهَمَةً لَقَصَمَتْهُنَّ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَسُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، فَإِنَّهَا صَلاَةُ كُلِّ شَيْءٍ، وَبِهَا يُرْزَقُ كُلُّ شَيْءٍ، وَأَنْهَاكَ عَنِ الشِّرْكِ وَالْكِبْرِ، فَقُلْتُ، أَوْ قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ، هَذَا الشِّرْكُ قَدْ عَرَفْنَاهُ، فَمَا الْكِبْرُ؟ هُوَ أَنْ يَكُونَ لأَحَدِنَا حُلَّةٌ يَلْبَسُهَا؟ قَالَ: لاَ، قَالَ: فَهُوَ أَنْ يَكُونَ لأَحَدِنَا نَعْلاَنِ حَسَنَتَانِ، لَهُمَا شِرَاكَانِ حَسَنَانِ؟ قَالَ: لاَ، قَالَ: فَهُوَ أَنْ يَكُونَ لأَحَدِنَا دَابَّةٌ يَرْكَبُهَا؟ قَالَ: لاَ، قَالَ: فَهُوَ أَنْ يَكُونَ لأَحَدِنَا أَصْحَابٌ يَجْلِسُونَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: لاَ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ، فَمَا الْكِبْرُ؟ قَالَ: سَفَهُ الْحَقِّ، وَغَمْصُ النَّاسِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫০
২৫১. অহংকার
৫৫০। হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী করীম (ﷺ)-কে ফরমাইতে শুনিয়াছেনঃ যে নিজেকে নিজে বড় মনে করে অথবা তাহার চালচলনে সদর্পভাব প্রকাশ করে সে এমন অবস্থায় আল্লাহ্ তাআলার দরবারে উপনীত হইবে যে, তিনি তাহার প্রতি ক্রুদ্ধ থাকিবেন।
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ الْقَاسِمِ أَبُو عُمَرَ الْيَمَامِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: مَنْ تَعَظَّمَ فِي نَفْسِهِ، أَوِ اخْتَالَ فِي مِشْيَتِهِ، لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫১
২৫১. অহংকার
৫৫১। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফরমাইয়াছেনঃ অহংকারী নহে সেই, যে তাহার চাকরকে সঙ্গে নিয়া খাইল, গাধায় চড়িয়া বাজারে বাহির হইল, ছাগল পুষিল এবং উহা দোহনও করিল।
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: مَا اسْتَكْبَرَ مَنْ أَكَلَ مَعَهُ خَادِمُهُ، وَرَكِبَ الْحِمَارُ بِالأَسْوَاقِ، وَاعْتَقَلَ الشَّاةَ فَحَلَبَهَا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫২
২৫১. অহংকার
৫৫২। কাপড় বিক্রেতা সালিহ্ তাহার দাদীর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি একদা হযরত আলী (রাযিঃ)-কে দেখিতে পাইলেন যে, তিনি এক দিরহামের খেজুর খরিদ করিয়া উহা তাহার স্বীয় থলের মধ্যে করিয়া লইয়া যাইতেছেন। আমি তাহাকে বলিলাম (অথবা অপর কোন এক ব্যক্তি তাহাকে বলিল), আমীরুল মু’মিনীন! আপনার থলেটি আমিই বহন করিব। তিনি বলিলেনঃ তাহা হইতে পারে না, পরিবারের পিতাই তাহাদের বোঝা বহনের অধিকতর হক্দার।
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ بَحْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ هَاشِمِ بْنِ الْبَرِيدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا صَالِحٌ بَيَّاعُ الأَكْسِيَةِ، عَنْ جَدَّتِهِ قَالَتْ: رَأَيْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ اشْتَرَى تَمْرًا بِدِرْهَمٍ، فَحَمَلَهُ فِي مِلْحَفَتِهِ، فَقُلْتُ لَهُ، أَوْ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: أَحْمِلُ عَنْكَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: لاَ، أَبُو الْعِيَالِ أَحَقُّ أَنْ يَحْمِلَ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৩
২৫১. অহংকার
৫৫৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ ইজ্জত আমার পরিধেয়, কিবরিয়া (অহংকার) আমার চাদর, যে কেহ এগুলির ব্যাপারে আমার সহিত দ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হইবে (অর্থাৎ নিজেকেও এগুলির হক্দার মনে করিবে) আমি তাহাকে শাস্তি প্রদান করিব।
حَدَّثَنَا عُمَرُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي مُسْلِمٍ الأَغَرِّ حَدَّثَهُ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: الْعِزُّ إِزَارِي، وَالْكِبْرِيَاءُ رِدَائِي، فَمَنْ نَازَعَنِي بِشَيْءٍ مِنْهُمَا عَذَّبْتُهُ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৪
২৫১. অহংকার
৫৫৪। হায়সাম ইব্ন মালিক তাঈ বলেন, আমি হযরত নু’মান ইব্ন বাশীর (রাযিঃ)-কে মিম্বরের উপর দাঁড়াইয়া বলিতে শুনিয়াছি, শয়তানের অনেক রকম জাল ও ফাঁদ রহিয়াছে। শয়তানের ঐসব জাল ও ফাঁদ হইতেছে, আল্লাহ্র নিয়ামতের জন্য দর্প করা, আল্লাহ্র দানের জন্য গর্বিত হওয়া, আল্লাহ্র বান্দাদের উপর অহংকার করা এবং আল্লাহ্র সত্তা ব্যতীত নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ (দাসত্ব) করা।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو رَوَاحَةَ يَزِيدُ بْنُ أَيْهَمَ، عَنِ الْهَيْثَمِ بْنِ مَالِكٍ الطَّائِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ، قَالَ: إِنَّ لِلشَّيْطَانِ مَصَالِيًا وَفُخُوخًا، وَإِنَّ مَصَالِيَ الشَّيْطَانِ وَفُخُوخَهُ: الْبَطَرُ بِأَنْعُمِ اللهِ، وَالْفَخْرُ بِعَطَاءِ اللهِ، وَالْكِبْرِيَاءُ عَلَى عِبَادِ اللهِ، وَاتِّبَاعُ الْهَوَى فِي غَيْرِ ذَاتِ اللهِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৫
২৫১. অহংকার
৫৫৫। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বেহেশত ও দোযখ বাদানুবাদে প্রবৃত্ত হইল। [এই হাদীসের একজন রাবী সুফিয়ানের ভাষায় বেহেশত ও দোযখ ঝগড়ায় প্রবৃত্ত হইল) দোযখ বলিল, পরাক্রমশালী ও অহংকারকারীরা আমাতে প্রবেশ করিব। বেহেশত বলিয়া উঠিল, দুর্বল ও দরিদ্ররা আমাতে প্রবেশ করিবে। আল্লাহ্ তাবারাকা ও তাআলা তখন বেহেশতকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ তুই হইতেছিস আমার রহমত। যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে আমি তোর মাধ্যমে দয়া করিব। অতঃপর তিনি দোযখকে বলিলেনঃ তুই হইতেছিস আমার আযাব যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে তোর মাধ্যমে আমি শাস্তি প্রদান করিব। তোদের দুইজনকেই পূর্ণ করা হইবে।
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: احْتَجَّتِ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ، وَقَالَ سُفْيَانُ أَيْضًا: اخْتَصَمَتِ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ، قَالَتِ النَّارُ: يَلِجُنِي الْجَبَّارُونَ، وَيَلِجُنِي الْمُتَكَبِّرُونَ، وَقَالَتِ الْجَنَّةُ: يَلِجُنِي الضُّعَفَاءُ، وَيَلِجُنِي الْفُقَرَاءُ. قَالَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى لِلْجَنَّةِ: أَنْتِ رَحْمَتِي أَرْحَمُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ، ثُمَّ قَالَ لِلنَّارِ: أَنْتِ عَذَابِي أُعَذِّبُ بِكِ مَنْ أَشَاءُ، وَلِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْكُمَا مِلْؤُهَا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৫৬
২৫১. অহংকার
৫৫৬। আব্দুর রহমান বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাহাবীগণ কর্কশ স্বভাব বা নিরস মনের লোক ছিলেন না। তাঁহারা তাঁহাদের মজলিসসমূহে কবিতা আবৃত্তি করিতেন এবং জাহিলি যুগের স্মৃতিচারণ করিতেন। কিন্তু যখন তাহাদের কাহাকেও আল্লাহ্র হুকুমের বিরুদ্ধাচরণ করাইবার প্রয়াস কেহ পাইত তখন তিনি নয়ন বিস্ফারিত করিয়া এমনভাবে তাকাইতেন যেন তিনি উন্মাদ।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلِ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ جَمِيعٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: لَمْ يَكُنْ أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُتَحَزِّقِينَ، وَلاَ مُتَمَاوِتِينَ، وَكَانُوا يَتَنَاشَدُونَ الشِّعْرَ فِي مَجَالِسِهِمْ، وَيَذْكُرُونَ أَمْرَ جَاهِلِيَّتِهِمْ، فَإِذَا أُرِيدَ أَحَدٌ مِنْهُمْ عَلَى شَيْءٍ مِنْ أَمْرِ اللهِ، دَارَتْ حَمَالِيقُ عَيْنَيْهِ كَأَنَّهُ مَجْنُونٌ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৭
২৫১. অহংকার
৫৫৭। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হইল। লোকটি ছিল অতিশয় সুন্দর। তখন সে বলিল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! সৌন্দর্য আমার অতি প্রিয়, আর আমাকে সৌন্দর্য প্রদান করা হইয়াছে। তাহা তো আপনি দেখিতে পাইতেছেন। এমন কি (আমার সৌন্দর্য প্রিয়তার অবস্থা হইল এই যে) আমি এতটুকুও পছন্দ করি না যে জুতোর ফিতা অথবা সে বলিয়াছে চপ্পলের লাল অগ্রভাগের সৌন্দর্যের দিক দিয়া কেহ আমাকে টেক্কা দিয়া হউক, ইহা কি আমার অহংকার? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ না, ইহা অহংকার নহে, বরং অহংকার হইল সত্য হইতে পরাম্মুখ থাকা এবং অন্যকে হেয় মনে করা।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ: حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَجُلاً أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، وَكَانَ جَمِيلاً، فَقَالَ: حُبِّبَ إِلَيَّ الْجَمَالُ، وَأُعْطِيتُ مَا تَرَى، حَتَّى مَا أُحِبُّ أَنْ يَفُوقَنِي أَحَدٌ، إِمَّا قَالَ: بِشِرَاكِ نَعْلٍ، وَإِمَّا قَالَ: بِشِسْعٍ أَحْمَرَ، الْكِبْرُ ذَاكَ؟ قَالَ: لاَ، وَلَكِنَّ الْكِبْرَ مَنْ بَطَرَ الْحَقَّ، وَغَمَطَ النَّاسَ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৫৮
২৫১. অহংকার
৫৫৮। আম্র ইব্ন শু’আয়ব তদীয় পিতার সূত্রে এবং তিনি তদীয় পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ অহংকারিরা কিয়ামতের দিন মানুষরূপী পিপীলিকা সদৃশ হইবে। লাঞ্ছনা ও অপমান চতুর্দিক হইতে তাহাদিগকে পরিবেষ্টিত করিয়া রাখিবে। তাহাদিগকে জাহান্নামের একটি কারাগারের দিকে তাড়া করিয়া নেওয়া হইবে যাহার নাম হইবে বুল্স। তাহাদের জন্য জাহান্নামের লেলিহান অগ্নিরাশি প্রজ্বলিত হইবে এবং তাহাদিগকে খাবাল-জাহান্নামীদের দুর্গন্ধময় ঘাম ও বিষাক্ত পানীয় পান করিতে দেওয়া হইবে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: يُحْشَرُ الْمُتَكَبِّرُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَمْثَالَ الذَّرِّ فِي صُورَةِ الرِّجَالِ، يَغْشَاهُمُ الذُّلُّ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ، يُسَاقُونَ إِلَى سِجْنٍ مِنْ جَهَنَّمَ يُسَمَّى: بُولَسَ، تَعْلُوهُمْ نَارُ الأَنْيَارِ، وَيُسْقَوْنَ مِنْ عُصَارَةِ أَهْلِ النَّارِ، طِينَةَ الْخَبَالِ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান