আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৮৪
২২৫- যুলুম হলো অন্ধকার।
৪৮৪। হযরত জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যুল্‌ম (করা) হইতে বাঁচিয়া থাকিবে, কেননা যুল্‌ম হইতেছে কিয়ামত দিবসের অন্ধকার রাশি। এবং বাঁচিয়া থাকিবে কৃপণতা হইতে, কেননা এই কৃপণতাই তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে ধ্বংস করিয়াছে এবং তাহাদিগকে পরস্পরে রক্তপাত করিতে ও হারামসমূহকে হালাল হিসাবে গ্রহণ করিতে বাধ্য (উদ্যত) করিয়াছে।
بَابُ الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ
حَدَّثَنَا بِشْرٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مِقْسَمٍ قَالَ‏:‏ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ يَقُولُ‏:‏ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ اتَّقُوا الظُّلْمَ، فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَاتَّقُوا الشُّحَّ، فَإِنَّ الشُّحَّ أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، وَحَمَلَهُمْ عَلَى أَنْ سَفَكُوا دِمَاءَهُمْ، وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَهُمْ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৮৫
২২৫- যুলুম হলো অন্ধকার।
৪৮৫। হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমার উম্মাতের শেষ যামানায় পাপ কর্মের (শাস্তিস্বরূপ) চেহারা বিকৃত, আসমান হইতে বিপদ অবতীর্ণ হওয়া ও ভূমি ধসের ঘটনাসমূহ ঘটিবে এবং উহার সূচনা যালিমদের উপর হইতেই হইবে।
حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا الْمُنْكَدِرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ‏:‏ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ يَكُونُ فِي آخِرِ أُمَّتِي مَسْخٌ، وَقَذْفٌ، وَخَسْفٌ، وَيُبْدَأُ بِأَهْلِ الْمَظَالِمِ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৬
২২৫- যুলুম হলো অন্ধকার।
৪৮৬। হযরত ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যুল্‌ম হইতেছে কিয়ামত দিবসের অন্ধকার রাশি।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمَاجِشُونِ قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ الظُّلْمُ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৭
২২৫- যুলুম হলো অন্ধকার।
৪৮৭। হযরত আবু সাঈদ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন মু’মিনগণ দোযখ হইতে মুক্তি লাভ করিবে তখন বেহেশ্ত ও দোযখের মধ্যবর্তী এক পুলের উপর তাহাদের গতিরোধ করা হইবে। তখন তাহারা পরস্পরের প্রতি দুনিয়ায় যে অবিচার করিয়াছিল উহার প্রতিফল ভোগ করিবে এবং (নিজেদের কৃত অবিচারসমূহের ফলভোগ করিয়া) যখন তাহারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হইয়া যাইবে তখন তাহাদিগকে বেহেশতে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হইবে। কসম সেই সত্তার যাঁহার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, তখন প্রত্যেকেই তাহার (বেহেশতে নির্ধারিত) স্থান দুনিয়ার অবস্থান স্থলের চাইতে উত্তমরূপে চিনিয়া লইতে পারিবে।
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَإِسْحَاقُ قَالاَ‏:‏ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ إِذَا خَلَصَ الْمُؤْمِنُونَ مِنَ النَّارِ حُبِسُوا بِقَنْطَرَةٍ بَيْنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ، فَيَتَقَاصُّونَ مَظَالِمَ بَيْنَهُمْ فِي الدُّنْيَا، حَتَّى إِذَا نُقُّوا وَهُذِّبُوا، أُذِنَ لَهُمْ بِدُخُولِ الْجَنَّةِ، فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، لَأَحَدُهُمْ بِمَنْزِلِهِ أَدَلُّ مِنْهُ فِي الدُّنْيَا‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৮
২২৫- যুলুম হলো অন্ধকার।
৪৮৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা অবশ্যই যুল্‌ম হইতে বাঁচিয়া থাকিবে কেননা যুল্‌ম হইতেছে কিয়ামত দিবসের অন্ধকার রাশি। এবং তোমরা অবশ্যই অশ্লীলতা হইতে বাঁচিয়া থাকিবে। কেননা যে অশ্লীল কথা বলে আর যে অশ্লীলতার সন্ধানে লিপ্ত থাকে আল্লাহ্ ভালবাসেন না। এবং তোমরা অবশ্যই কৃপণতা হইতে বাঁচিয়া থাকিবে। কেননা উহা তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে পারস্পরিক আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করিতে এবং হারামসমূহকে হালালরূপে গ্রহণ করিতে বাধ্য করিয়াছিল।
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ إِيَّاكُمْ وَالظُّلْمَ، فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَإِيَّاكُمْ وَالْفُحْشَ، فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يُحِبُّ الْفَاحِشَ الْمُتَفَحِّشَ، وَإِيَّاكُمْ وَالشُّحَّ، فَإِنَّهُ دَعَا مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَقَطَعُوا أَرْحَامَهُمْ، وَدَعَاهُمْ فَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَهُمْ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৮৯
২২৫- যুলুম হলো অন্ধকার।
৪৮৯। হযরত জাবির ইব্‌ন আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যুল্‌ম (করা) হইতে বাঁচিয়া থাকিবে, কেননা যুল্‌ম হইতেছে কিয়ামত দিবসের অন্ধকার রাশি। এবং বাঁচিয়া থাকিবে কৃপণতা হইতে, কেননা এই কৃপণতাই তোমাদের পূর্ববর্তীদিগকে ধ্বংস করিয়াছে এবং তাহাদিগকে পরস্পরে রক্তপাত করিতে ও হারামসমূহকে হালাল হিসাবে গ্রহণ করিতে বাধ্য (উদ্যত) করিয়াছে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ مِقْسَمٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ إِيَّاكُمْ وَالظُّلْمَ، فَإِنَّ الظُّلْمَ ظُلُمَاتٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَاتَّقُوا الشُّحَّ، فَإِنَّهُ أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، وَحَمَلَهُمْ عَلَى أَنْ سَفَكُوا دِمَاءَهُمْ، وَاسْتَحَلُّوا مَحَارِمَهُمْ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৯০
২২৫- যুলুম হলো অন্ধকার।
৪৯০। আবুয্ যোহা বর্ণনা করেন, একদা মসজিদে হযরত মাসরূক ও শাতী ইব্ন শাক্‌ল একত্রিত হইলেন। মসজিদে উপস্থিত লোকজন তাঁহাদিগকে ঘিরিয়া বসিল। তখন হযরত মাসরূক (রাহঃ) বলিলেন, লোকজন আমাদের মুখে কিছু ধর্মোপদেশ শুনিতেই আমাদিগকে ঘিরিয়া বসিয়াছে। এখন আপনি যদি হযরত আব্দুল্লাহ্ সূত্রে (হাদীস) বর্ণনা করেন তবে আমি উহা অনুমোদন করিব আর যদি আমি হযরত আব্দুল্লাহর সূত্রে বর্ণনা করি আপনি উহা অনুমোদন করিবেন। অপরজন বলিলেন, আপনিই বর্ণনা করুন হে আবু আয়েশা! তখন তিনি বলিলেনঃ আপনি কি হযরত আব্দুল্লাহ্‌কে এ কথা বলিতে শুনিয়াছেন যে, চক্ষুদ্বয় যিনায় (ব্যভিচারে) লিপ্ত হয়। হস্তদ্বয় যিনায় লিপ্ত হয়, পদদ্বয় যিনায় লিপ্ত হয় এবং লজ্জাস্থান তাহাকে সত্য অথবা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। অপরজন বলিলেন, হ্যাঁ আমিও উহা শুনিয়াছি। অতঃপর তিনি বলিলেন, আচ্ছা আপনি আব্দুল্লাহ্‌কে বলিতে শুনিয়াছেন, নিম্নোক্ত আয়াতের মত আল-কুরআনের আর কোন আয়াতে একই সঙ্গে হালাল-হারাম ও আদেশ-নিষেধ সন্নিবেশীত হয় নাই : “আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন।” (১৬: ৯০) তিনি তাঁকে ঐ কথা বলিতে শুনিয়াছে। তিনি পুনরায় বলিলেন, আপনি কি আব্দুল্লাহ্‌কে বলিতে শুনিয়াছেন, আল-কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের চেয়ে দ্রুত অভাব মোচনকারী ও বিপদমুক্তির অন্য কোন আয়াত নাইঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌কে ভয় করে তিনি তাহার জন্য মুক্তির একটি ব্যবস্থা করিয়া দেন” (৬৫: ২)? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, আমিও ইহা শুনিয়াছি। পুনরায় তিনি (মাসরূক) বলিলেন, আপনি কি আব্দুল্লাহ্‌কে বলিতে শুনিয়াছেন? আল-কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের চেয়ে অধিক আবেদনময়ী বা সুবিধাদানকারী অন্য কোন আয়াত নাই : “হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করিয়াছ তোমরা : আল্লাহ্‌র রহমত হইতে নিরাশ হইও না” (৩৯: ৫৩)। শাতীর বলেন, হ্যাঁ, আমি তাঁহাকে এই কথা বলিতে শুনিয়াছি ।
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي الضُّحَى قَالَ‏:‏ اجْتَمَعَ مَسْرُوقٌ وَشُتَيْرُ بْنُ شَكَلٍ فِي الْمَسْجِدِ، فَتَقَوَّضَ إِلَيْهِمَا حِلَقُ الْمَسْجِدِ، فَقَالَ مَسْرُوقٌ‏:‏ لاَ أَرَى هَؤُلاَءِ يَجْتَمِعُونَ إِلَيْنَا إِلاَّ لِيَسْتَمِعُوا مِنَّا خَيْرًا، فَإِمَّا أَنْ تُحَدِّثَ عَنْ عَبْدِ اللهِ فَأُصَدِّقَكَ أَنَا، وَإِمَّا أَنْ أُحَدِّثَ عَنْ عَبْدِ اللهِ فَتُصَدِّقَنِي‏؟‏ فَقَالَ‏:‏ حَدِّثْ يَا أَبَا عَائِشَةَ، قَالَ‏:‏ هَلْ سَمِعْتَ عَبْدَ اللهِ يَقُولُ‏:‏ الْعَيْنَانِ يَزْنِيَانِ، وَالْيَدَانِ يَزْنِيَانِ، وَالرِّجْلاَنِ يَزْنِيَانِ، وَالْفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ أَوْ يُكَذِّبُهُ‏؟‏ فَقَالَ‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ وَأَنَا سَمِعْتُهُ، قَالَ‏:‏ فَهَلْ سَمِعْتَ عَبْدَ اللهِ يَقُولُ‏:‏ مَا فِي الْقُرْآنِ آيَةٌ أَجْمَعَ لِحَلاَلٍ وَحَرَامٍ وَأَمْرٍ وَنَهْيٍ، مِنْ هَذِهِ الْآيَةِ‏:‏ ‏(‏إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالإِحْسَانِ وَإِيتَاءِ ذِي الْقُرْبَى‏)‏‏؟‏ قَالَ‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ وَأَنَا قَدْ سَمِعْتُهُ، قَالَ‏:‏ فَهَلْ سَمِعْتَ عَبْدَ اللهِ يَقُولُ‏:‏ مَا فِي الْقُرْآنِ آيَةٌ أَسْرَعَ فَرَجًا مِنْ قَوْلِهِ‏:‏ ‏(‏وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا‏)‏‏؟‏ قَالَ‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ وَأَنَا قَدْ سَمِعْتُهُ، قَالَ‏:‏ فَهَلْ سَمِعْتَ عَبْدَ اللهِ يَقُولُ‏:‏ مَا فِي الْقُرْآنِ آيَةٌ أَشَدَّ تَفْوِيضًا مِنْ قَوْلِهِ‏:‏ ‏(‏يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَى أَنْفُسِهِمْ لاَ تَقْنَطُوا‏)‏ مِنْ رَحْمَةِ اللهِ‏؟‏ قَالَ‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ وَأَنَا سَمِعْتُهُ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৯১
২২৫- যুলুম হলো অন্ধকার।
৪৯১। হযরত আবু যার (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ স্বয়ং আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ হে আমার বান্দাগণ! আমি আমার নিজের উপর যুল্‌ম হারাম করিয়া নিয়াছি এবং তোমাদের জন্য পরস্পরের প্রতি যুল্‌ম করা হারাম করিয়া দিয়াছি। সুতরাং তোমরা পরস্পরের প্রতি যুল্‌ম করিও না। হে আমার বান্দাগণ! তোমরা তো দিবারাত্রি গুনাহ করিতে থাক, আর আমি গুনাহ রাশি মাফ করিয়া থাকি, উহাতে আমার কিছুই আসে যায় না। সুতরাং তোমরা আমার দরবারে ক্ষমা ভিক্ষা কর, আমি তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়া দিব। হে আমার বান্দাগণ ! তোমাদের প্রত্যেকেই ক্ষুধার্ত-অবশ্য আমি যাহাকে ক্ষুধার অন্ন প্রদান করি সে নহে । সুতরাং আমার দরবারে অন্ন ভিক্ষা কর, আমি অন্ন দান করিব। তোমাদের প্রত্যেকেই বস্ত্রহীন তবে আমি যাহাকে বস্ত্র দান করি সে নহে। সুতরাং আমার দরবারে বস্ত্র ভিক্ষা কর, আমি তোমাদিগকে বস্ত্র দান করিব। হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের মধ্যকার প্রথম ব্যক্তি হইতে শুরু করিয়া শেষ ব্যক্তিটি পর্যন্ত প্রত্যেকে, জিন্‌ ও ইনসান তথা মানব-দানব সকলে যদি মুত্তাকী মনা পরমভক্ত বান্দা হইয়া যায় তবুও আমার রাজত্ব বিন্দুমাত্র বৃদ্ধি পাইবে না। আর যদি সকলেই পাপপ্রবণ হইয়া যায়, তবুও তাহাতে আমার রাজত্বে বিন্দুমাত্র কমতি পাইবে না। সকলেই যদি এক প্রান্তরে সমবেত হইয়া আমার দরবারে প্রার্থনা জানায় আর আমি তাহাদের সকলের প্রার্থনা মঞ্জুরও করি এবং তাহাদের প্রার্থিত সব কিছুই তাহাদিগকে দান করি তবে তাহাতে আমার রাজত্বে শুধু এতটুকুই কম হইবে যতটুকু হয় মহাসমুদ্রে একটি সূচ একটি বার মাত্র ডুবাইলে। হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের উপর আমি যাহা চাপাইয়া দেই তাহা হইল তোমাদের স্বকৃত আমলসমূহ। সুতরাং যে মঙ্গল লাভ করে, তজ্জন্য সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে আর যে অন্য কিছু (অমঙ্গল) লাভ করে সে যেন তাহার নিজেকেই ভর্ৎসনা করে।”
মুহাদ্দিস আবু ইদ্রিস খাওলানী (রাহঃ) এই হাদীস যখনই বর্ণনা করিতেন তখনই তিনি জানুদ্বয় একত্র করিয়া চরম বিনয় প্রকাশ করিতেন।
حَدَّثَنَا عَبْدُ الأعْلَى بْنُ مُسْهِرٍ، أَوْ بَلَغَنِي عَنْهُ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، عَنِ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ‏:‏ يَا عِبَادِي، إِنِّي قَدْ حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِي، وَجَعَلْتُهُ مُحَرَّمًا بَيْنَكُمْ فَلاَ تَظَالَمُوا‏.‏ يَا عِبَادِي، إِنَّكُمُ الَّذِينَ تُخْطِئُونَ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَأَنَا أَغْفِرُ الذُّنُوبَ، وَلاَ أُبَالِي، فَاسْتَغْفِرُونِي أَغْفِرْ لَكُمْ‏.‏ يَا عِبَادِي، كُلُّكُمْ جَائِعٌ إِلاَّ مَنْ أَطْعَمْتُهُ، فَاسْتَطْعِمُونِي أُطْعِمْكُمْ‏.‏ يَا عِبَادِي، كُلُّكُمْ عَارٍ إِلاَّ مِنْ كَسَوْتُهُ، فَاسْتَكْسُونِي أَكْسُكُمْ‏.‏ يَا عِبَادِي، لَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ، وَإِنْسَكُمْ وَجِنَّكُمْ، كَانُوا عَلَى أَتْقَى قَلْبِ عَبْدٍ مِنْكُمْ، لَمْ يَزِدْ ذَلِكَ فِي مُلْكِي شَيْئًا، وَلَوْ كَانُوا عَلَى أَفْجَرِ قَلْبِ رَجُلٍ، لَمْ يَنْقُصْ ذَلِكَ مِنْ مُلْكِي شَيْئًا، وَلَوِ اجْتَمَعُوا فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ فَسَأَلُونِي فَأَعْطَيْتُ كُلَّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ مَا سَأَلَ، لَمْ يَنْقُصْ ذَلِكَ مِنْ مُلْكِي شَيْئًا، إِلاَّ كَمَا يَنْقُصُ الْبَحْرُ أَنْ يُغْمَسَ فِيهِ الْخَيْطُ غَمْسَةً وَاحِدَةً‏.‏ يَا عِبَادِي، إِنَّمَا هِيَ أَعْمَالُكُمْ أَجْعَلُهَا عَلَيْكُمْ، فَمَنْ وَجَدَ خَيْرًا فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ، وَمَنْ وَجَدَ غَيْرَ ذَلِكَ فَلاَ يَلُومُ إِلاَّ نَفْسَهُ كَانَ أَبُو إِدْرِيسَ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ جَثَى عَلَى رُكْبَتَيْهِ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা