আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

الأدب المفرد للبخاري

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮৭
৪৭- সন্তানে চক্ষু জুড়ায়
৮৭। আব্দুর রহমান ইবন জুবায়র ইব্‌ন নুফায়র বলেন যে, তাঁহার পিতা বলিয়াছেনঃ একদা আমি হযরত মিকদাদ ইবনুল আসওয়াদ (রাযিঃ)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি তাঁহার নিকট দিয়া অতিক্রম করিতে করিতে বলিল ও ধন্য এই চক্ষুদ্বয়-যাহা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দর্শন করিয়াছে। আল্লাহর কসম, বাসনা হয় যদি আমিও তাহা দেখিতাম যাহা আপনি দেখিয়াছেন এবং যদি আমিও সেখানে উপস্থিত থাকিতাম যেখানে আপনি উপস্থিত ছিলেন। এতদৃশ্রবণে মিকদাদ ক্রুদ্ধ হইলেন। আমি বিষ্মিত হইলাম সে ব্যক্তি তাে ভাল কথাই বলিয়াছে। (ইহাতে ক্রোধের কি আছে ?) অতঃপর তিনি
তাহার প্রতি লক্ষ্য করিয়া বলিলেন ঃ লােক কেন এমন স্থলে উপস্থিত থাকতে আকাঙ্খা করে যেখানে হইতে আল্লাহ্ তাহাকে অনুপস্থিত রাখিয়াছেন ? কি জানি, যদি সে সেখানে উপস্থিত থাকিত, তবে কি করিত ? আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এমন সব লােকও দেখিয়াছে-আল্লাহ তাহাদিগকে উপুড় করিয়া জাহান্নামে নিক্ষেপ করুন-তাহারা তাহার আহবানে সাড়া দেয় নাই এবং তাহাকে সত্য বলিয়া মানিয়াও নেয় নাই। তােমরা কেন আল্লাহর শােকর আদায় কর না যে, এমন যুগে তিনি তােমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন যে, তােমাদের প্রতিপালক ছাড়া আর কাহাকেও তােমরা চিন না ; তােমাদের নবী (ﷺ) যাহা নিয়া আবির্ভূত হইয়াছেন, তাহাকে তােমরা সত্য বলিয়া জান। (ভালই হইয়াছে যে সে পরীক্ষা তােমাদিগের উপর দিয়া যায় নাই।) আল্লাহর কসম, নবী করীম (ﷺ) আবির্ভূত হন কঠোরতম পরিস্থিতিতে-এমন কঠোর পরিস্থিতিতে অপর কোন নবী আবির্ভূত হন নাই। নবী আবির্ভূত হওয়ার পূর্বেকার সেই জাহিলিয়াতের দিনগুলিতে তাহারা প্রতিমা পূজার চাইতে উত্তম কোন ধর্ম আছে বলিয়া মনে করিত না। এমন সময় তিনি ফুরকান সহকারে আবির্ভূত হন। উহার দ্বারা হক ও বাতিলের তথা সত্য ও অসত্যের মধ্যে পার্থক্য বিধান করেন, পার্থক্য সূচিত করেন পিতার ও তাহার পুত্রের মধ্যে এমন কি যদি কোন ব্যক্তি তাহার পিতা, পুত্রের বা ভাইকে বিধর্মী অবস্থায় দেখিত আর তখন তাহার অন্তরের অর্গল আল্লাহ্ তা'আলা ঈমানের দ্বারা মুক্ত করিয়া দিয়াছেন-তখন সে ভাবত, যদি এই অবস্থায় সে ব্যক্তি (ঐ আত্মীয়টি) মৃত্যুবরণ করে, তবে সে নিশ্চিতভাবেই দোযখে যাইবে। প্রিয়জন জাহান্নামের আগুনে রহিয়াছে জানা থাকিতে কাহারও চক্ষু জুড়াইত না। উহারই পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন ঃ
‏وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ
“যাহারা বলে প্রভু! আমাদের স্ত্রী পুত্রাদির দ্বারা আমাদিগের চক্ষ জুড়াও।” (কুরআন, ২৫ঃ৭৪)
بَابُ الْوَلَدُ قُرَّةُ الْعَيْنِ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ، قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنَا صَفْوَانُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ‏:‏ جَلَسْنَا إِلَى الْمِقْدَادِ بْنِ الأَسْوَدِ يَوْمًا، فَمَرَّ بِهِ رَجُلٌ فَقَالَ‏:‏ طُوبَى لِهَاتَيْنِ الْعَيْنَيْنِ اللَّتَيْنِ رَأَتَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَاللَّهِ لَوَدِدْنَا أَنَّا رَأَيْنَا مَا رَأَيْتَ، وَشَهِدْنَا مَا شَهِدْتَ‏.‏ فَاسْتُغْضِبَ، فَجَعَلْتُ أَعْجَبُ، مَا قَالَ إِلاَّ خَيْرًا، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْهِ فَقَالَ‏:‏ مَا يَحْمِلُ الرَّجُلُ عَلَى أَنْ يَتَمَنَّى مُحْضَرًا غَيَّبَهُ اللَّهُ عَنْهُ‏؟‏ لاَ يَدْرِي لَوْ شَهِدَهُ كَيْفَ يَكُونُ فِيهِ‏؟‏ وَاللَّهِ، لَقَدْ حَضَرَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَقْوَامٌ كَبَّهُمُ اللَّهُ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ فِي جَهَنَّمَ، لَمْ يُجِيبُوهُ وَلَمْ يُصَدِّقُوهُ، أَوَلاَ تَحْمَدُونَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِذْ أَخْرَجَكُمْ لاَ تَعْرِفُونَ إِلاَّ رَبَّكُمْ، فَتُصَدِّقُونَ بِمَا جَاءَ بِهِ نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم، قَدْ كُفِيتُمُ الْبَلاَءَ بِغَيْرِكُمْ، وَاللَّهِ لَقَدْ بُعِثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَشَدِّ حَالٍ بُعِثَ عَلَيْهَا نَبِيٌّ قَطُّ، فِي فَتْرَةٍ وَجَاهِلِيَّةٍ، مَا يَرَوْنَ أَنَّ دِينًا أَفْضَلُ مِنْ عِبَادَةِ الأَوْثَانِ، فَجَاءَ بِفُرْقَانٍ فَرَّقَ بِهِ بَيْنَ الْحَقِّ وَالْبَاطِلِ، وَفَرَّقَ بِهِ بَيْنَ الْوَالِدِ وَوَلَدِهِ، حَتَّى إِنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيَرَى وَالِدَهُ أَوْ وَلَدَهُ أَوْ أَخَاهُ كَافِرًا، وَقَدْ فَتْحَ اللَّهُ قُفْلَ قَلْبِهِ بِالإِيمَانِ، وَيَعْلَمُ أَنَّهُ إِنْ هَلَكَ دَخَلَ النَّارَ، فَلاَ تَقَرُّ عَيْنُهُ، وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ حَبِيبَهُ فِي النَّارِ، وَأنَّهَا لِلَّتِي قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ‏:‏ ‏(‏وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ‏)‏‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান