আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ
الأدب المفرد للبخاري
আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১০
৬- পিতামাতার প্রতিদান।
১০। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, নবী করীম (ﷺ) ফরমাইছেন ? সন্তানের পক্ষে তাহার পিতার প্রতিদান দেওয়া সম্ভবপর নহে, তবে হ্যাঁ, সে যদি তাঁহাকে ক্রীতদাস অবস্থায় পায় এবং সে তাঁহাকে খরিদ করিয়া আযাদ করিয়া দেয়, তবেই প্রতিদান হইতে পারে।
بَابُ جَزَاءِ الْوَالِدَيْنِ
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: لاَ يَجْزِي وَلَدٌ وَالِدَهُ، إِلاَّ أَنْ يَجِدَهُ مَمْلُوكًا فَيَشْتَرِيَهُ فَيُعْتِقَهُ.
হাদীস নং:১১
৬- পিতামাতার প্রতিদান।
১১। সাঈদ ইবন আবু বুরদা বলেন, আমি আমার পিতাকে বলিতে শুনিয়াছি যে, হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) একদা জনৈক ইয়েমনী যুবককে স্বীয় মাতাকে পৃষ্ঠে নিয়া তাওয়াফরত অবস্থায় দেখিতে পাইলেন। সে তখন নিম্নরূপ কবিতা আবৃত্তি করিতেছিলঃ ***
“আমি তাঁহার অনুগত উষ্ট্রের মত। যদি তাহার রেকাব (পা-দানী) দ্বারা আমি আঘাতপ্রাপ্ত হই, তবুও নিরুদ্বেগে তাহা সহ্য করিয়া যাই।”
তারপর সে বলিল ঃ আমি কি আমার প্রতিদান দিতে পারিয়াছি বলিয়া আপনি মনে করেন ? তিনি বলিলেন ঃ না, তাহার একটা দীর্ঘশ্বাসের প্রতিদানও তাে হয় নাই! অতঃপর ইবন উমর (রাযিঃ) তাওয়াফ করিলেন এবং মাকামে-ইবরাহীমে পৌছিয়া দুই রাক'আত নামায পড়িলেন এবং বলিলেনঃ হে আবু মুসার পুত্র! প্রত্যেক দুই রাক'আত নামায পূর্ববর্তী পাপের জন্য কাফফারা স্বরূপ।
“আমি তাঁহার অনুগত উষ্ট্রের মত। যদি তাহার রেকাব (পা-দানী) দ্বারা আমি আঘাতপ্রাপ্ত হই, তবুও নিরুদ্বেগে তাহা সহ্য করিয়া যাই।”
তারপর সে বলিল ঃ আমি কি আমার প্রতিদান দিতে পারিয়াছি বলিয়া আপনি মনে করেন ? তিনি বলিলেন ঃ না, তাহার একটা দীর্ঘশ্বাসের প্রতিদানও তাে হয় নাই! অতঃপর ইবন উমর (রাযিঃ) তাওয়াফ করিলেন এবং মাকামে-ইবরাহীমে পৌছিয়া দুই রাক'আত নামায পড়িলেন এবং বলিলেনঃ হে আবু মুসার পুত্র! প্রত্যেক দুই রাক'আত নামায পূর্ববর্তী পাপের জন্য কাফফারা স্বরূপ।
بَابُ جَزَاءِ الْوَالِدَيْنِ
حَدَّثَنَا آدَمُ، قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، أَنَّهُ شَهِدَ ابْنَ عُمَرَ وَرَجُلٌ يَمَانِيٌّ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ، حَمَلَ أُمَّهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ، يَقُولُ:
إِنِّي لَهَا بَعِيرُهَا الْمُذَلَّلُ إِنْ أُذْعِرَتْ رِكَابُهَا لَمْ أُذْعَرِ
ثُمَّ قَالَ: يَا ابْنَ عُمَرَ أَتُرَانِي جَزَيْتُهَا؟ قَالَ: لاَ، وَلاَ بِزَفْرَةٍ وَاحِدَةٍ، ثُمَّ طَافَ ابْنُ عُمَرَ، فَأَتَى الْمَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: يَا ابْنَ أَبِي مُوسَى، إِنَّ كُلَّ رَكْعَتَيْنِ تُكَفِّرَانِ مَا أَمَامَهُمَا.
إِنِّي لَهَا بَعِيرُهَا الْمُذَلَّلُ إِنْ أُذْعِرَتْ رِكَابُهَا لَمْ أُذْعَرِ
ثُمَّ قَالَ: يَا ابْنَ عُمَرَ أَتُرَانِي جَزَيْتُهَا؟ قَالَ: لاَ، وَلاَ بِزَفْرَةٍ وَاحِدَةٍ، ثُمَّ طَافَ ابْنُ عُمَرَ، فَأَتَى الْمَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: يَا ابْنَ أَبِي مُوسَى، إِنَّ كُلَّ رَكْعَتَيْنِ تُكَفِّرَانِ مَا أَمَامَهُمَا.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২
৬- পিতামাতার প্রতিদান।
১২। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, একদা মারওয়ান তাহাকে তাহার স্থলাভিষিক্ত করিয়াছিল এবং তিনি তখন যুল-হুলায়ফা নামক স্থানে অবস্থান করিতেন। তিনি একটি ঘরে বাস করিতেন এবং তাহার মাতা ভিন্ন আর একটি ঘরে বাস করিতেন। যখন তিনি ঘর হইতে বাহির হইতেন, তখন তাঁহার মাতার দরজার দিকে দাঁড়াইয়া তাহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিতেন ঃ “আসসালামু আলাইকে ইয়া উম্মাতাহু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু”-আপনার প্রতি শান্তি, রহমত ওয়া বরকত বর্ষিত হউক হে আম্মাজান! প্রত্যুত্তরে তাহার মাতা বলিতেনঃ ওয়া আলাইকা ইয়া বুনাইয়্যা ওয়া রাহমাতুল্লিাহি ওয়া বারাকাতুহু-তােমার উপরও শান্তি, রহমত ওয়া বরকত বর্ষিত হইক হে বৎস!
অতঃপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আবার বলিতেন *** “আল্লাহ্ আপনার প্রতি দয়া করুন যে ভাবে আপনি আমার শৈশবকালে আমার প্রতিপালন করিয়া ছিলেন।” প্রতুত্তরে আবার মা বলিতেন । *** “আল্লাহ তােমার প্রতি দয়া করুন-যেরূপ বার্ধেক্যে আমার প্রতি তুমি সদ্ব্যবহার করিয়াছ।” অতঃপর গৃহে প্রত্যাবর্তন করিয়াও তিনি অনুরূপ সালাম-সম্ভাষণ করিতেন।
অতঃপর আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আবার বলিতেন *** “আল্লাহ্ আপনার প্রতি দয়া করুন যে ভাবে আপনি আমার শৈশবকালে আমার প্রতিপালন করিয়া ছিলেন।” প্রতুত্তরে আবার মা বলিতেন । *** “আল্লাহ তােমার প্রতি দয়া করুন-যেরূপ বার্ধেক্যে আমার প্রতি তুমি সদ্ব্যবহার করিয়াছ।” অতঃপর গৃহে প্রত্যাবর্তন করিয়াও তিনি অনুরূপ সালাম-সম্ভাষণ করিতেন।
بَابُ جَزَاءِ الْوَالِدَيْنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مُرَّةَ مَوْلَى عَقِيلٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يَسْتَخْلِفُهُ مَرْوَانُ، وَكَانَ يَكُونُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، فَكَانَتْ أُمُّهُ فِي بَيْتٍ وَهُوَ فِي آخَرَ. قَالَ: فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ وَقَفَ عَلَى بَابِهَا فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكِ يَا أُمَّتَاهُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، فَتَقُولُ: وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ يَا بُنَيَّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، فَيَقُولُ: رَحِمَكِ اللَّهُ كَمَا رَبَّيْتِنِي صَغِيرًا، فَتَقُولُ: رَحِمَكَ اللَّهُ كَمَا بَرَرْتَنِي كَبِيرًا، ثُمَّ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْخُلَ صَنَعَ مِثْلَهُ.