আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৮- বিবিধ প্রসঙ্গ। - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৯০৫
ঘরে ছবি রাখা এবং পশুর গলায় ঘণ্টা বাঁধা মাকরূহ।
৯০৫। উম্মে হাবীবা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে কাফেলায় ঘণ্টাধ্বনি আছে রহমাতের ফিরিশতাগণ তার সাথী হন না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের মতে এই নির্দেশ যুদ্ধকালীন সফরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেননা তাতে ঘণ্টাধ্বনির সাহায্যে শত্রুবাহিনী মুসলিম বাহিনীর আগমন (ও অবস্থান) টের পেয়ে যেতে পারে।
بَابُ: التَّصَاوِيرِ وَالْجَرَسِ وَمَا يُكْرَهُ مِنْهَا
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الْجَرَّاحِ مَوْلَى أُمِّ حَبِيبَةَ، عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْعِيرُ الَّتِي فِيهَا جَرَسٌ لا تَصْحَبُهَا الْمَلائِكَةُ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَإِنَّمَا رُوِيَ ذَلِكَ فِي الْحَرْبِ، لأَنَّهُ يُنْذَرُ بِهِ الْعَدُوُّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯০৬
ঘরে ছবি রাখা এবং পশুর গলায় ঘণ্টা বাঁধা মাকরূহ।
৯০৬। আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি অসুস্থ আবু তালহা আল-আনসারী (রাযিঃ)-কে দেখতে গেলেন। তিনি সেখানে পৌঁছে তাঁর কাছে সাহল ইবনে হুনাইফ (রাযিঃ)-কে উপস্থিত পেলেন। আবু তালহা (রাযিঃ) একটি লোক ডাকলেন এবং নিজ বিছানার নীচের গদি টেনে বের করে নিতে বলেন। সাহল ইবনে হুনাইফ (রাযিঃ) বলেন, তা টানছেন কেন? তিনি বলেন, কারণ এতে ছবি আঁকা আছে। আর এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ যা বলেছেন তা তোমার জানা আছে। সাহল (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কি এও বলেননি যে, কাপড়ের উপর ছবি অংকিত থাকলে তাতে কোন দোষ নেই? আবু তালহা (রাযিঃ) বলেন, কিন্তু আমার মতে এ থেকেও বেঁচে থাকা উত্তম।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। যদি বিছানার চাদর, সতরঞ্জি, কার্পেট, বালিশ ইত্যাদির উপর ছবি অংকিত থাকে তবে তাতে কোন দোষ নেই । কিন্তু দরজা-জানালার পর্দা এবং যেসব কাপড় ঝুলানো অবস্থায় থাকে তাতে ছবি অংকিত থাকা মাকরূহ। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণের এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَهَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَبِي طَلْحَةَ الأَنْصَارِيِّ يَعُودُهُ، فَوَجَدَ عِنْدَهُ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ، فَدَعَا أَبُو طَلْحَةَ إِنْسَانًا يَنْزِعُ نَمَطًا تَحْتَهُ، فَقَالَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ: لِمَ تَنْزِعُهُ؟ قَالَ: لأَنَّ فِيهِ تَصَاوِيرُ، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ فِيهَا مَا قَدْ عَلِمْتَ، قَالَ سَهْلٌ: أَوَ لَمْ يَقُلْ إِلا مَا كَانَ رَقْمًا فِي ثَوْبٍ؟ قَالَ: بَلَى، وَلَكِنَّهُ أَطْيَبُ لِنَفْسِي، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، مَا كَانَ فِيهِ مِنْ تَصَاوِيرَ مِنْ بِسَاطٍ يُبْسَطُ أَوْ فِرَاشٍ يُفْرَشُ أَوْ وِسَادَةٍ فَلا بَأْسَ بِذَلِكَ، إِنَّمَا يُكْرَهُ مِنْ ذَلِكَ فِي السِّتْرِ، وَمَا يُنْصَبُ نَصْبًا.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান