আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১৮- বিবিধ প্রসঙ্গ। - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৯০০
অন্যের কাছে কিছু প্রার্থনা করা এবং দান-খয়রাত গ্রহণ থেকে বেঁচে থাকা।
৯০০। আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আনসারদের মধ্য থেকে কতক লোক রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে কিছু প্রার্থনা করলো। তিনি তাদের তা দিলেন। তারা পুনরায় তাঁর কাছে প্রার্থনা করলো। তিনিও আবারও তাদের দিলেন। তারা পুনরায় তাঁর নিকট প্রার্থনা করলো। তিনি এবারও তাদের দিলেন। এভাবে দিতে দিতে তাঁর কাছে যা ছিলো সবই শেষ হয়ে গেলো। অতঃপর তিনি বলেনঃ আমার কাছে যা কিছু মাল ছিলো আমি তোমাদের না দিয়ে তা আমার কাছে জমা করে রাখিনি। যে ব্যক্তি যাঞ্চা করা থেকে বাঁচতে চায়, আল্লাহ তাকে তা থেকে বাঁচিয়ে রাখেন। আর যে ব্যক্তি স্বনির্ভর হতে চায় আল্লাহ তাকে স্বনির্ভর করেন। আর যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করতে চায় আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধারণ করার শক্তি দান করেন। আল্লাহর দেয়া জিনিসসমূহের মধ্যে ধৈর্যের চেয়ে উত্তম এবং প্রশস্ত কোন জিনিস নেই ।
بَابُ: الاسْتِعْفَافِ عَنِ الْمَسْأَلَةِ، وَالصَّدَقَةِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ نَاسًا مِنَ الأَنْصَارِ، سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْطَاهُمْ، ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ، ثُمَّ سَأَلُوهُ فَأَعْطَاهُمْ، حَتَّى أَنْفَذَ مَا عِنْدَهُ، فَقَالَ: «مَا يَكُنْ عِنْدِي مِنْ خَيْرٍ فَلَنْ أَدَّخِرَهُ عَنْكُمْ، مَنْ يَسْتَعِفَّ يُعِفَّهُ اللَّهُ، وَمَنْ يَسْتَغْنِ يُغْنِهِ اللَّهُ، وَمَنْ يَتَصَبَّرْ يُصَبِّرْهُ اللَّهُ، وَمَا أُعْطِيَ أَحَدٌ عَطَاءً هُوَ خَيْرٌ وَأَوْسَعُ مِنَ الصَّبْرِ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৯০১
অন্যের কাছে কিছু প্রার্থনা করা এবং দান-খয়রাত গ্রহণ থেকে বেঁচে থাকা।
৯০১। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু বাকর (রাহঃ) থেকে তার পিতার (আবু বাকর ইবনে আব্দুর রহমান) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ আব্দুল আশহাল গোত্রের এক ব্যক্তিকে যাকাত বিভাগের কর্মচারী নিয়োগ করেন। সে কর্মস্থল থেকে ফিরে এসে তাঁর কাছে যাকাতের কিছু উট প্রার্থনা করে। রাবী (আবু বাকর) বলেন, এতে রাসূলুল্লাহ ﷺ খুবই অসন্তুষ্ট হন, এমনকি তাঁর চেহারায় অসন্তুষ্টির ভাব ফুটে উঠে। আর তাঁর চেহারায় অসন্তুষ্টির চিহ্ন এই ছিলো যে, তাঁর চক্ষুদ্বয় লাল হয়ে যেতো। অতঃপর তিনি বলেনঃ “এই ব্যক্তি আমার কাছে এমন জিনিস চাচ্ছে যা আমার জন্যও সংগত নয় এবং তার জন্যও সংগত নয়। আমি যদি তাকে এটা না দেই তবে তা আমার কাছে খারাপ লাগবে। আর আমি যদি তাকে তা দেই তবে তাকে এমন জিনিস দিবো, যা আমার জন্যও জায়েয নয় এবং তার জন্যও জায়েয নয়।” তখন সে বললো, এ ধরনের কোন জিনিস আমি আর কখনো আপনার কাছে প্রার্থনা করবো না।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, যাকাতের মাল থেকে ধনী লোকদের কিছু দেয়া জায়েয নয়। আমাদের মতে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে একথা এজন্য বলেছেন যে, সে ধনবান ছিলো। সে যদি গরীব হতো, তবে তিনি অবশ্যই তাকে কিছু দিতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, যাকাতের মাল থেকে ধনী লোকদের কিছু দেয়া জায়েয নয়। আমাদের মতে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে একথা এজন্য বলেছেন যে, সে ধনবান ছিলো। সে যদি গরীব হতো, তবে তিনি অবশ্যই তাকে কিছু দিতেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ أَبَاهُ أَخْبَرَهُ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَ رَجُلا مِنْ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ عَلَى الصَّدَقَةِ، فَلَمَّا قَدِمَ سَأَلَهُ أَبْعِرَةً مِنَ الصَّدَقَةِ، قَالَ: فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى عُرِفَ الْغَضَبُ فِي وَجْهِهِ، وَكَانَ مِمَّا يُعْرَفُ بِهِ الْغَضَبُ فِي وَجْهِهِ أَنْ يَحْمَرَّ عَيْنَاهُ، ثُمَّ قَالَ: «الرَّجُلُ يَسْأَلُنِي مَا لا يَصْلُحُ لِي، وَلا لَهُ، فَإِنْ مَنَعْتُهُ كَرِهْتُ الْمَنْعَ، وَإِنْ أَعْطَيْتُهُ أَعْطَيْتُهُ مَا لا يَصْلُحُ لِي، وَلا لَهُ» ، فَقَالَ الرَّجُلُ: لا أَسْأَلُكَ مِنْهَا شَيْئًا أَبَدًا.
قَالَ مُحَمَّدٌ: لا يَنْبَغِي أَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ غَنِيًّا، وَإِنَّمَا نَرَى أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَلِكَ، لأَنَّ الرَّجُلَ كَانَ غَنِيًّا، وَلَوْ كَانَ فَقِيرًا لأَعْطَاهُ مِنْهَا
قَالَ مُحَمَّدٌ: لا يَنْبَغِي أَنْ يُعْطَى مِنَ الصَّدَقَةِ غَنِيًّا، وَإِنَّمَا نَرَى أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ذَلِكَ، لأَنَّ الرَّجُلَ كَانَ غَنِيًّا، وَلَوْ كَانَ فَقِيرًا لأَعْطَاهُ مِنْهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান