আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৭- জিহাদের বিবিধ বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮৬৭
ইমামের আনুগত্য প্রত্যাহার করার ব্যাপারে তিরস্কার এবং জামাআতবদ্ধ থাকার ফযীলাত।
৮৬৭। আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) বলেন, আমি আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি (আবু সাঈদ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের মধ্যে এমন একটি সম্প্রদায়ের আবির্ভাব হবে, যাদের নামাযের তুলনায় তোমাদের নামায এবং যাদের আমলের তুলনায় তোমাদের আমল তোমাদের কাছে তুচ্ছ মনে হবে। তারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালীর নীচে প্রবেশ করবে না। তারা দীন ইসলাম থেকে এতো দ্রুত বিচ্যুত হবে যেভাবে ধনুক থেকে বাজির তীর দ্রুত ছুটে যায়। তুমি (তীর নিক্ষেপকারী) তীরের ফলার দিকে তাকাবে, কিন্তু কিছুই দেখবে না, অতঃপর পালকহীন তীরের দিকে তাকাবে কিন্তু কিছুই দেখবে না, অতঃপর তীরের পালকের দিকে তাকাবে কিন্তু কিছুই দেখবে না এবং শেষে নিম্নভাগে কিছু পাওয়ার জন্য সন্দেহ পোষণ করবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীস অনুযায়ী আমল করি। ইমামের আনুগত্য প্রত্যাহার করে নেয়া বা বিদ্রোহ করার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই। সংঘবদ্ধভাবে জীবনযাপন করা অত্যাবশ্যক।
بَابُ إِثْمِ الْخَوَارِجِ وَمَا فِي لُزُومِ الْجَمَاعَةِ مِنَ الْفَضْلِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَخْرُجُ فِيكُمْ قَوْمٌ تَحْقِرُونَ صَلاتَكُمْ مَعَ صَلاتِهِمْ، وَأَعْمَالَكُمْ مَعَ أَعْمَالِهِمْ، يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الدِّينِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنَ الرَّمِيَّةِ، تَنْظُرُ فِي النَّصْلِ فَلا تَرَى شَيْئًا، تَنْظُرُ فِي الْقِدْحِ فَلا تَرَى شَيْئًا، تَنْظُرُ فِي الرِّيشِ فَلا تَرَى شَيْئًا، وَتَتَمَارَى فِي الْفُوقِ» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا خَيْرَ فِي الْخُرُوجِ، وَلا يَنْبَغِي إِلا لُزُومُ الْجَمَاعَةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৬৮
ইমামের আনুগত্য প্রত্যাহার করার ব্যাপারে তিরস্কার এবং জামাআতবদ্ধ থাকার ফযীলাত।
৮৬৮ । ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের (মুসলমানদের) বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে সে আমাদের কেউ নয় ।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করলে এবং অস্ত্র সজ্জিত হয়ে আসলে তাকে অন্য কোন ব্যক্তি হত্যা করলে তার কিছুই হবে না (কিসাস বা মৃত্যুদণ্ড হবে না)। কেননা সে অস্ত্র সজ্জিত হয়ে এসে নিজের রক্তপাতকে বৈধ করে দিয়েছে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاحَ فَلَيْسَ مِنَّا» .
قَالَ مُحَمَّدٌ: مَنْ حَمَلَ السِّلاحَ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَاعْتَرَضَهُمْ بِهِ لِقَتْلِهِمْ، فَمَنْ قَتَلَهُ فَلا شَيْءَ عَلَيْهِ، لأَنَّهُ أَحَلَّ دَمَهُ بِاعْتِرَاضِ النَّاسِ بِسَيْفِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮৬৯
ইমামের আনুগত্য প্রত্যাহার করার ব্যাপারে তিরস্কার এবং জামাআতবদ্ধ থাকার ফযীলাত।
৮৬৯ । ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, আমি কি তোমাদের এমন জিনিস সম্পর্কে অবহিত করবো না বা বলে দিবো না, যা (নফল) নামায এবং দান-খয়রাতের চেয়ে উত্তম? লোকেরা বললো, হ্যাঁ, বলুন। তিনি বলেন, দুই ব্যক্তির মাঝে সন্ধি স্থাপন করে দেয়া। আর তোমরা ক্রোধ সংবরণ করো। কেননা তা ধ্বংসকারী।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، يَقُولُ: أَلا أُخْبِرُكُمْ، أَوْ أُحَدِّثُكُمْ، أَوْ أُحَدِّثُكُمْ بِخَيْرٍ مِنْ كَثِيرٍ مِنَ الصَّلاةِ وَالصَّدَقَةِ؟ قَالُوا: بَلَى، قَالَ: إِصْلاحُ ذَاتِ الْبَيْنِ، وَإِيَّاكُمْ وَالْبِغْضَةَ، فَإِنَّمَا هِيَ الْحَالِقَةُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান