আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১৫- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮৪৮
মামলা-মোকদ্দমায় শপথ করানোর বর্ণনা।
৮৪৮। দাউদ ইবনুল হুসাইন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবু গাতাফান ইবনে তরীফ আল-মুররী (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) ও ইবনে মুতী একটি ঘরের মালিকানা নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হন। তারা বিষয়টি নিয়ে মারওয়ান ইবনুল হাকামের কাছে উপস্থিত হন। তিনি যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-কে মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে শপথ করতে বলেন। যায়েদ (রাযিঃ) তাকে বলেন, আমি নিজ স্থানে দাঁড়িয়ে শপথ করবো। মারওয়ান তাকে বলেন, না, আল্লাহর শপথ! যেখানে (মিম্বর) দাঁড়িয়ে হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য করা হয়। যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) নিজ স্থানে দাঁড়িয়ে শপথ করে বলেন যে, ঘরটি তার নিজের কিন্তু তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ মিম্বরের কাছে শপথ করতে অস্বীকৃতি জানান। এতে মারওয়ান আশ্চর্যন্বিত হন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-র মতের উপর আমল করি। যে কোন স্থানে দাঁড়িয়ে শপথ করা জায়েয। যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) যদি এটাকে বাধ্যতামূলক মনে করতেন, তবে যে হক তার যিম্মায় ওয়াজিব ছিল, তা পূর্ণ করতে তিনি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করতেন না। কিন্তু যে জিনিস তার যিম্মায় ওয়াজিব নয় তা আদায় করা তিনি অপছন্দ করেন। এজন্য শপথ করানোর ব্যাপারে যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) অগ্রাধিকার পাওয়ার অধিকারী যে, তার কথা ও কাজের উপর আমল করতে হবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-র মতের উপর আমল করি। যে কোন স্থানে দাঁড়িয়ে শপথ করা জায়েয। যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) যদি এটাকে বাধ্যতামূলক মনে করতেন, তবে যে হক তার যিম্মায় ওয়াজিব ছিল, তা পূর্ণ করতে তিনি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করতেন না। কিন্তু যে জিনিস তার যিম্মায় ওয়াজিব নয় তা আদায় করা তিনি অপছন্দ করেন। এজন্য শপথ করানোর ব্যাপারে যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) অগ্রাধিকার পাওয়ার অধিকারী যে, তার কথা ও কাজের উপর আমল করতে হবে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا دَاوُدُ بْنُ الْحُصَيْنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا غَطَفَانَ بْنَ طَرِيفٍ الْمُرِّيَّ، يَقُولُ: اخْتَصَمَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَابْنُ مُطِيعٍ فِي دَارٍ إِلَى مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، فَقَضَى عَلَى زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ بِالْيَمِينِ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَقَالَ لَهُ زَيْدٌ: أَحْلِفُ لَهُ مَكَانِي، فَقَالَ لَهُ مَرْوَانُ: لا وَاللَّهِ إِلا عِنْدَ مَقَاطِعِ الْحُقُوقِ، قَالَ: فَجَعَلَ زَيْدٌ يَحْلِفُ أَنَّ حَقَّهُ لَحَقٌّ، وَأَبَى أَنْ يَحْلِفَ عِنْدَ الْمِنْبَرِ، فَجَعَلَ مَرْوَانُ يَعْجَبُ مِنْ ذَلِكَ
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِقَوْلِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ نَأْخُذُ، وَحَيْثُمَا حَلَفَ الرَّجُلُ فَهُوَ جَائِزٌ، وَلَوْ رَأَى زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ أَنَّ ذَلِكَ يَلْزَمُهُ مَا أَبَى أَنْ يُعْطِيَ الْحَقَّ الَّذِي عَلَيْهِ، وَلَكِنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُعْطِيَ مَا لَيْسَ عَلَيْهِ، فَهُوَ أَحَقُّ أَنْ يُؤْخَذَ بِقَوْلِهِ، وَفِعْلِهِ مِمَّنِ اسْتَحْلَفَهُ
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِقَوْلِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ نَأْخُذُ، وَحَيْثُمَا حَلَفَ الرَّجُلُ فَهُوَ جَائِزٌ، وَلَوْ رَأَى زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ أَنَّ ذَلِكَ يَلْزَمُهُ مَا أَبَى أَنْ يُعْطِيَ الْحَقَّ الَّذِي عَلَيْهِ، وَلَكِنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُعْطِيَ مَا لَيْسَ عَلَيْهِ، فَهُوَ أَحَقُّ أَنْ يُؤْخَذَ بِقَوْلِهِ، وَفِعْلِهِ مِمَّنِ اسْتَحْلَفَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান