আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১৫- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮৩১
খেজুর বাগান এবং ভূমিতে ভাগচাষ ও কৃষিকাজ।
৮৩১। হানযালা আল-আনসারী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাফে ইবনে খাদীজ (রাযিঃ)-র কাছে ভাগচাষে কৃষিকাজ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বলেন, তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হানযালা বলেন, আমি তাকে আরও জিজ্ঞেস করলাম, সোনা-রূপার বিনিময়ে জমি চাষাবাদ করতে দেয়া কি জায়েয? রাফে (রাযিঃ) বলেন, সোনা-রূপার বিনিময়ে চাষাবাদ করতে দেয়ায় কোন দোষ নেই।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। সোনা-রূপা ও গমের বিনিময়ে জমি ভাড়া দেয়া (নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য নগদ বিক্রি করা) জায়েয। তবে শর্ত হচ্ছে ওজন, পরিমাপ ও শস্যের শ্রেণী বা প্রজাতি সুনির্দিষ্ট হতে হবে। আর এই শর্ত আরোপ করা যাবে না যে, জমীনে যা উৎপন্ন হবে তা থেকে এই নির্দিষ্ট পরিমাণ দিতে হবে। অতএব যদি এই শর্ত আরোপ করা হয় যে, জমীনে উৎপন্ন ফসলের এই নির্দিষ্ট পরিমাণ জমির মালিককে দিতে হবে, তবে এর মধ্যে কোন কল্যাণ নেই। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণের এই মত। সাঈদ ইবনে জুবায়েরের নিকট নির্দিষ্ট পরিমাণ গমের বিনিময়ে জমি ভাড়া দেয়া (নগদ বিক্রি) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তার অনুমতি দেন এবং বলেন, ঘর-বাড়ীর ন্যায় জমীও ভাড়া দেওয়া যেতে পারে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। সোনা-রূপা ও গমের বিনিময়ে জমি ভাড়া দেয়া (নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য নগদ বিক্রি করা) জায়েয। তবে শর্ত হচ্ছে ওজন, পরিমাপ ও শস্যের শ্রেণী বা প্রজাতি সুনির্দিষ্ট হতে হবে। আর এই শর্ত আরোপ করা যাবে না যে, জমীনে যা উৎপন্ন হবে তা থেকে এই নির্দিষ্ট পরিমাণ দিতে হবে। অতএব যদি এই শর্ত আরোপ করা হয় যে, জমীনে উৎপন্ন ফসলের এই নির্দিষ্ট পরিমাণ জমির মালিককে দিতে হবে, তবে এর মধ্যে কোন কল্যাণ নেই। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণের এই মত। সাঈদ ইবনে জুবায়েরের নিকট নির্দিষ্ট পরিমাণ গমের বিনিময়ে জমি ভাড়া দেয়া (নগদ বিক্রি) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তার অনুমতি দেন এবং বলেন, ঘর-বাড়ীর ন্যায় জমীও ভাড়া দেওয়া যেতে পারে।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا رَبِيعَةُ بْنُ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ حَنْظَلَةَ الأَنْصَارِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَأَلَ رَافِعَ بْنَ خَدِيجٍ عَنْ كِرَاءِ الْمَزَارِعِ فَقَالَ: «قَدْ نُهِيَ عَنْهُ» ، قَالَ حَنْظَلَةُ: فَقُلْتُ لِرَافِعٍ: بِالذَّهَبِ، وَالْوَرِقِ؟ قَالَ رَافِعٌ: لا بَأْسَ بِكِرَائِهَا بِالذَّهَبِ وَالْوَرِقِ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِكِرَائِهَا بِالذَّهَبِ، وَالْوَرِقِ بِالْحِنْطَةِ كَيْلا مَعْلُومًا، وَضَرْبًا مَعْلُومًا، مَا لَمْ يُشْتَرَطْ ذَلِكَ مِمَّا يَخْرُجُ مِنْهَا، فَإِنِ اشْتُرِطَ مِمَّا يَخْرُجُ مِنْهَا كَيْلا مَعْلُومًا، فَلا خَيْرَ فِيهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا، وَقَدْ سُئِلَ عَنْ كِرَائِهَا سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ بِالْحِنْطَةِ كَيْلا مَعْلُومًا، فَرَخَّصَ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: هَلْ ذَلِكَ إِلا مِثْلُ الْبَيْتِ يُكْرَى
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِكِرَائِهَا بِالذَّهَبِ، وَالْوَرِقِ بِالْحِنْطَةِ كَيْلا مَعْلُومًا، وَضَرْبًا مَعْلُومًا، مَا لَمْ يُشْتَرَطْ ذَلِكَ مِمَّا يَخْرُجُ مِنْهَا، فَإِنِ اشْتُرِطَ مِمَّا يَخْرُجُ مِنْهَا كَيْلا مَعْلُومًا، فَلا خَيْرَ فِيهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا، وَقَدْ سُئِلَ عَنْ كِرَائِهَا سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ بِالْحِنْطَةِ كَيْلا مَعْلُومًا، فَرَخَّصَ فِي ذَلِكَ، فَقَالَ: هَلْ ذَلِكَ إِلا مِثْلُ الْبَيْتِ يُكْرَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৩২
খেজুর বাগান এবং ভূমিতে ভাগচাষ ও কৃষিকাজ।
৮৩২। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ খায়বার এলাকা বিজয়ের পর সেখানকার ইহুদীদের বলেনঃ “আল্লাহ তোমাদের যেখানে স্থান দিয়েছেন আমিও তোমাদের সেখানে বসবাস করতে দিলাম এই শর্তে যে, এখানে উৎপাদিত ফলে তোমাদের ও আমাদের অংশীদারিত্ব থাকবে।" সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)-কে (খায়বার) পাঠাতেন। তিনি অনুমানে ফলের পরিমাণ নির্ধারণ করতেন এবং বলতেন, যদি তোমরা চাও তবে তোমরা এই ফল নিতে পারো অথবা আমাদেরও দিতে পারো (আমরা তোমাদেরকে অনুমানে নির্ধারিত পরিমাণের অর্ধেক ফল দিবো)। ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, ইহুদীরা ফল নিতো (এবং নির্ধারিত পরিমাণের অর্ধেক ফল মুসলমানদের দিতো)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ فَتَحَ خَيْبَرَ، قَالَ لِلْيَهُودِ: «أُقِرُّكُمْ مَا أَقَرَّكُمُ اللَّهُ عَلَى أَنَّ الثَّمَرَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ» ، قَالَ: «وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْعَثُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ، فَيَخْرُصُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ» .
ثُمَّ يَقُولُ: إِنْ شِئْتُمْ فَلَكُمْ، وَإِنْ شِئْتُمْ فَلِي، قَالَ: فَكَانُوا يَأْخُذُونَهُ
ثُمَّ يَقُولُ: إِنْ شِئْتُمْ فَلَكُمْ، وَإِنْ شِئْتُمْ فَلِي، قَالَ: فَكَانُوا يَأْخُذُونَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮৩৩
খেজুর বাগান এবং ভূমিতে ভাগচাষ ও কৃষিকাজ।
৮৩৩। সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)-কে (খায়বার এলাকায়) পাঠাতেন। তিনি নিজের এবং ইহুদীদের মাঝে অনুমানে ফলের পরিমাণ নির্ধারণ করে দিতেন। একদা তারা নিজেদের মহিলাদের অলংকারপত্র একত্র করে (আব্দুল্লাহ্কে) বললো, এটা আপনার জন্য, আমাদের উপর নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কমিয়ে দিন এবং বণ্টনে বিলম্ব করুন। তিনি বলেন, হে ইহূদী সম্প্রদায়, আল্লাহর শপথ! আমাদের দৃষ্টিতে তোমরা আল্লাহর সবচেয়ে অভিশপ্ত সৃষ্টি। এরপরও তোমাদের পেশকৃত এই ঘুষ আমাকে তোমাদের উপর জুলুম করতে উত্তেজিত করে না। কেননা এটা হারাম এবং আমরা তা খাই না। ইহুদীরা বললো, আসমান ও জমীন এইজন্যই কায়েম রয়েছে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীসের উপর আমল করি। খেজুর বাগান এবং কৃষিযোগ্য খালি জমি উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক, তিনের একাংশ, চারের একাংশ চুক্তিতে ভাগচাষে দেয়ায় কোন দোষ নেই। অবশ্য ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এটাকে মাকরূহ মনে করতেন এবং বলতেন যে, এটা সেই মুখাবারা (বর্গাচাষ), যা রাসূলুল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীসের উপর আমল করি। খেজুর বাগান এবং কৃষিযোগ্য খালি জমি উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক, তিনের একাংশ, চারের একাংশ চুক্তিতে ভাগচাষে দেয়ায় কোন দোষ নেই। অবশ্য ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এটাকে মাকরূহ মনে করতেন এবং বলতেন যে, এটা সেই মুখাবারা (বর্গাচাষ), যা রাসূলুল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَبْعَثُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ فَيَخْرُصُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْيَهُودِ» ، قَالَ: فَجَمَعُوا حُلِيًّا مِنْ حُلِيِّ نِسَائِهِمْ، فَقَالُوا: هَذَا لَكَ، وَخَفِّفْ عَنَّا، وَتَجَاوَزْ فِي الْقِسْمَةِ، فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الْيَهُودِ، وَاللَّهِ إِنَّكُمْ لَمِنْ أَبْغَضِ خَلْقِ اللَّهِ إِلَيَّ، وَمَا ذَاكَ بِحَامِلِي أَنْ أَحِيفَ عَلَيْكُمْ، أَمَّا الَّذِي عَرَضْتُمْ مِنَ الرَّشْوَةِ، فَإِنَّهَا سُحْتٌ وَإِنَّا لا نَأْكُلُهَا، قَالُوا: بِهَذَا قَامَتِ السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِمُعَامَلَةِ النَّخْلِ عَلَى الشَّطْرِ وَالثُّلُثِ وَالرُّبْعِ، وَبِمُزَارَعَةِ الأَرْضِ الْبَيْضَاءِ عَلَى الشَّطْرِ وَالثُّلُثِ وَالرُّبْعِ، وَكَانَ أَبُو حَنِيفَةَ يَكْرَهُ ذَلِكَ، وَيَذْكُرُ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ الْمُخَابَرَةُ الَّتِي نَهَى عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا بَأْسَ بِمُعَامَلَةِ النَّخْلِ عَلَى الشَّطْرِ وَالثُّلُثِ وَالرُّبْعِ، وَبِمُزَارَعَةِ الأَرْضِ الْبَيْضَاءِ عَلَى الشَّطْرِ وَالثُّلُثِ وَالرُّبْعِ، وَكَانَ أَبُو حَنِيفَةَ يَكْرَهُ ذَلِكَ، وَيَذْكُرُ أَنَّ ذَلِكَ هُوَ الْمُخَابَرَةُ الَّتِي نَهَى عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান