আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

১৫- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৮২১
ওজন ও পরিমাপের মাধ্যমে বিনিময়কৃত জিনিসের মধ্যে সূদ।
৮২১। আবুয যিনাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছেন, সূদ কেবল সোনা-রূপা অথবা খাদ্য ও পানীয় বস্তুর মধ্যে হয়ে থাকে, যা ওজন অথবা পরিমাপ করে ক্রয়-বিক্রয় হয়।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, ওজন ও পরিমাপ করে ক্রয়-বিক্রয় করা জিনিস যদি একই জাতীয় বা একই শ্রেণীভুক্ত হয় তবে তাও (ওজন-পরিমাপে কমবেশী করে ক্রয়-বিক্রয় করা) মাকরূহ। নগদ লেনদেন হলে এবং ওজন পরিমাপে সমতা থাকলে তা মাকরূহ হবে না। এসব জিনিসের হুকুমও খাদ্যবস্তুর অনুরূপ। ইবরাহীম নাখঈ, ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণও এই মত পোষণ করেন।
بَابُ: الرِّبَا فِيمَا يُكَالُ، أَوْ يُوزَنُ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزِّنَادِ، أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، يَقُولُ: لا رِبَا إِلا فِي ذَهَبٍ أَوْ فِضَّةٍ أَوْ مَا يُكَالُ أَوْ يُوزَنُ مِمَّا يُوكَلُ أَوْ يُشْرَبُ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: إِذَا كَانَ مَا يُكَالُ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ، أَوْ كَانَ مَا يُوزَنُ مِنْ صِنْفٍ وَاحِدٍ، فَهُوَ مَكْرُوهٌ أَيْضًا، إِلا مِثْلا بِمِثْلٍ، يَدًا بِيَدٍ، بِمَنْزِلَةِ الَّذِي يُؤْكَلُ وَيُشْرَبُ، وَهُوَ قَوْلُ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، وَأَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮২২
ওজন ও পরিমাপের মাধ্যমে বিনিময়কৃত জিনিসের মধ্যে সূদ।
৮২২। আতা ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ “খেজুরের বিনিময়ে খেজুর সমান ওজনে ক্রয়-বিক্রয় করো।" বলা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! খায়বার এলাকায় আপনার নিয়োগকৃত কর্মকর্তা, আনসার আদী গোত্রের লোক (সাওয়াদ ইবনে গাযিয়া) দুই সা খেজুরের বিনিময়ে এক সা (সাড়ে তিন সের) খেজুর গ্রহণ করে থাকেন। তিনি বলেনঃ “তাকে আমার কাছে ডেকে আনো।” অতএব তাকে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে ডেকে আনা হলো। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেনঃ “দুই সা খেজুরের পরিবর্তে এক সা' খেজুর গ্রহণ করো না।” তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! এখানকার লোকজন নিকৃষ্ট শ্রেণীর খেজুরের বিনিময়ে উৎকৃষ্ট খেজুর দেয় না। বরং দুই সা নিকৃষ্ট মানের খেজুরের বিনিময়ে এক সা উৎকৃষ্ট মানের খেজুর দিয়ে থাকে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “নিকৃষ্ট মানের খেজুর দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করো । অতঃপর দিরহামের বিনিময়ে উৎকৃষ্ট মানের খেজুর কিনে নাও।”
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّمْرُ بِالتَّمْرِ مِثْلا بِمِثْلٍ» ، فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ عَامِلَكَ عَلَى خَيْبَرَ، وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَدِيٍّ مِنَ الأَنْصَارِ، يَأْخُذُ الصَّاعَ بِالصَّاعَيْنِ، قَالَ: ادْعُوهُ لِي، فَدُعِيَ لَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لا تَأْخُذِ الصَّاعَ بِالصَّاعَيْنِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لا يُعْطُونِي الْجَنِيبَ بِالْجَمْعِ إِلا صَاعًا بِصَاعَيْنِ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِعِ الْجَمْعَ بِالدَّرَاهِمِ، وَاشْتَرِ بِالدَّرَاهِمِ جَنِيبًا»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮২৩
ওজন ও পরিমাপের মাধ্যমে বিনিময়কৃত জিনিসের মধ্যে সূদ।
৮২৩। আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) ও আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তিকে (সাওয়াদ) খায়বার এলাকায় প্রশাসক নিয়োগ করেন। তিনি সেখান থেকে উৎকৃষ্ট মানের খেজুর নিয়ে তাঁর কাছে ফিরে এলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ “খায়বারের সব খেজুরই কি এরূপ উৎকৃষ্ট মানের?” তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! না; বরং নিকৃষ্ট মানের দুই সা খেজুরের বিনিময়ে এক সা এই (উৎকৃষ্ট) খেজুর অথবা তিন সা নিকৃষ্ট খেজুরের বিনিময়ে দুই সা এই খেজুর গ্রহণ করে থাকি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “এরূপ করো না। বরং তোমার খেজুর দিরহামের বিনিময়ে (নগদ মূল্যে) বিক্রি করো, অতঃপর এই দিরহাম দিয়ে উৎকৃষ্ট মানের খেজুর কিনে নাও।” তিনি আরো বলেনঃ “বাটখারায় ওজন করা জিনিসের ক্ষেত্রেও এই বিধান।”**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই হাদীসের উপর আমল করি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের ফিকহবিদ সাধারণেরও এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَجِيدِ بْنُ سُهَيْلٍ، وَالزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعْمَلَ رَجُلا عَلَى خَيْبَرَ، فَجَاءَ بِتَمْرٍ جَنِيبٍ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَكُلُّ تَمْرِ خَيْبَرَ هَكَذَا؟» قَالَ: لا وَاللَّهِ، يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَلَكِنَّ الصَّاعَ مِنْ هَذَا بِالصَّاعَيْنِ، وَالصَّاعَيْنِ بِالثَّلاثَةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَلا تَفْعَلْ، بِعْ تَمْرَكَ بِالدَّرَاهِمِ، ثُمَّ اشْتَرِ بِالدَّرَاهِمِ جَنيِبًا» .
وَقَالَ: فِي الْمِيزَانِ مِثْلُ ذَلِكَ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا كُلِّهِ نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৮২৪
ওজন ও পরিমাপের মাধ্যমে বিনিময়কৃত জিনিসের মধ্যে সূদ।
৮২৪। ইমাম মালেক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের কাছে অপর এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো যে, সে 'আল-জার' নামক স্থানে এক দীনার ও অর্ধ দিরহামের খাদ্যশস্য ক্রয় করেছে। সে কি বিক্রেতাকে অর্ধ দিরহামের পরিবর্তে (নিজের মালিকানাধীন অন্য প্রকারের) খাদ্যশস্য দিতে পারে? সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, না, সে তাকে এক দীনার ও এক দিরহাম দিবে এবং বিক্রেতা তাকে আরও অর্ধ দিরহাম পরিমাণ খাদ্যশস্য প্রদান করবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের কাছে সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাবের নির্দেশিত পদ্ধতি পছন্দনীয়। তবে তিনি যে পদ্ধতি নিষিদ্ধ করেছেন তাও একটি শর্তে জায়েয হতে পারে। ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে প্রথমবার অর্ধ দিরহামের বিনিময়ে যে পরিমাণ খাদ্যশস্য লাভ করেছে, বিক্রেতাকেও সে ঐ পরিমাণ খাদ্যশস্য প্রদান করবে। যদি সে (অর্ধ দিরহাম খাদ্যশস্যের মূল্য বাবদ) বিক্রেতাকে ঐ পরিমাণের কম খাদ্যশস্য প্রদান করে তবে তা জায়েয হবে না। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের অধিকাংশ ফিকহবিদের এই মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ رَجُلٍ، أَنَّهُ سَأَلَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ، عَنْ رَجُلٍ يَشْتَرِي طَعَامًا مِنَ الْجَارِ بِدِينَارٍ وَنِصْفِ دِرْهَمٍ، أَيُعْطِيهِ دِينَارًا وَنِصْفَ دِرْهَمٍ طَعَامًا؟ قَالَ: لا، وَلَكِنْ يُعْطِيهِ دِينَارًا وَدِرْهَمًا، وَيَرُدُّ عَلَيْهِ الْبَائِعُ نِصْفَ دِرْهَمٍ طَعَامًا.
قَالَ مُحَمَّدٌ: هَذَا الْوَجْهُ أَحَبُّ إِلَيْنَا، وَالْوَجْهُ الآخَرُ يَجُوزُ أَيْضًا إِذَا لَمْ يُعْطِهِ مِنَ الطَّعَامِ الَّذِي اشْتَرَى أَقَلَّ مِمَّا يُصِيبُ نِصْفُ الدِّرْهَمِ مِنْهُ فِي الْبَيْعِ الأَوَّلِ، فَإِنْ أَعْطَاهُ مِنْهُ أَقَلَّ مِمَّا يُصِيبُ نِصْفُ الدِّرْهَمِ مِنْهُ فِي الْبَيْعِ الأَوَّلِ، لَمْ يَجُزْ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান