আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১৩- উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭২৬
ফুফুর প্রাপ্য অংশ।
৭২৬। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলতেন, আশ্চর্যের বিষয়! ভ্রাতুষ্পুত্র (ও পুত্রী) ফুফুর পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারী হয়, কিন্তু ফুফু তার উত্তরাধিকারী (ওয়ারিস) হয় না (মুওয়াত্তা ইমাম মালেক)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের ধারণা, হযরত উমার (রাযিঃ) এই যে বলেছেন, ভ্রাতুষ্পুত্র ফুফুর ওয়ারিস হয়, কিন্তু ফুফু তার ওয়ারিস হয় না — হয়তো এইজন্য বলেছেন যে, ভ্রাতুষ্পুত্র অংশ পাওয়ার অধিকারী এবং ফুফু অংশ পাওয়ার অধিকারী নয় (সে যাবিল ফুরূযও নয়, আসাবাও নয়)। আমরা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ), আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-র সূত্রে বর্ণনা করে থাকি, তারা বলেছেন, ফুফু ও খালার ক্ষেত্রে যদি কোন যাবিল ফুরূষ বা আসাবা বর্তমান না থাকে, তবে খালা মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ এবং ফুফু দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। মদীনার রাবীগণ যে হাদীস বর্ণনা করেন, তা বিরুদ্ধবাদীগণ প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না। হাদীসটি এইঃ
أن ثابت بن الدحداح مات، ولا وارث له، " فأعطى رسول الله صلى الله عليه وسلم أبا لبابة بن عبد المنذر، وكان ابن أخته ميراثه
“ছাবিত ইবনুদ দাহ্দাহ (রাযিঃ) মারা গেলেন, কিন্তু তার কোন ওয়ারিস ছিল না। রাসূলুল্লাহ ﷺ তার ভাগ্নে আবু লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনযির (রাযিঃ)-কে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির ওয়ারিস বানান।"
ইবনে শিহাব (রাহঃ) নিকটাত্মীয়তার ভিত্তিতে ফুফু, খালা ও সমস্ত যাবিল-আরহামকে ওয়ারিস বানাতেন। তিনি ছিলেন মদীনাবাসীদের মধ্যে সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারী রাবী এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ফিকহবিদ।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমাদের ধারণা, হযরত উমার (রাযিঃ) এই যে বলেছেন, ভ্রাতুষ্পুত্র ফুফুর ওয়ারিস হয়, কিন্তু ফুফু তার ওয়ারিস হয় না — হয়তো এইজন্য বলেছেন যে, ভ্রাতুষ্পুত্র অংশ পাওয়ার অধিকারী এবং ফুফু অংশ পাওয়ার অধিকারী নয় (সে যাবিল ফুরূযও নয়, আসাবাও নয়)। আমরা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ), আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) ও আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)-র সূত্রে বর্ণনা করে থাকি, তারা বলেছেন, ফুফু ও খালার ক্ষেত্রে যদি কোন যাবিল ফুরূষ বা আসাবা বর্তমান না থাকে, তবে খালা মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশ এবং ফুফু দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। মদীনার রাবীগণ যে হাদীস বর্ণনা করেন, তা বিরুদ্ধবাদীগণ প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না। হাদীসটি এইঃ
أن ثابت بن الدحداح مات، ولا وارث له، " فأعطى رسول الله صلى الله عليه وسلم أبا لبابة بن عبد المنذر، وكان ابن أخته ميراثه
“ছাবিত ইবনুদ দাহ্দাহ (রাযিঃ) মারা গেলেন, কিন্তু তার কোন ওয়ারিস ছিল না। রাসূলুল্লাহ ﷺ তার ভাগ্নে আবু লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনযির (রাযিঃ)-কে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির ওয়ারিস বানান।"
ইবনে শিহাব (রাহঃ) নিকটাত্মীয়তার ভিত্তিতে ফুফু, খালা ও সমস্ত যাবিল-আরহামকে ওয়ারিস বানাতেন। তিনি ছিলেন মদীনাবাসীদের মধ্যে সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারী রাবী এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ফিকহবিদ।**
بَابُ: مِيرَاثِ الْعَمَّةِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، أَنَّهُ كَانَ يَسْمَعُ أَبَاهُ كَثِيرًا يَقُولُ: كَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَقُولُ: عَجَبًا لِلْعَمَّةِ، تُورَثُ، وَلا تَرِثُ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: إِنَّمَا يَعْنِي عُمَرُ هَذَا فِيمَا نَرَى أَنَّهَا تُورَثُ، لأَنَّ ابْنَ الأَخِ ذُو سَهْمٍ، وَلا تَرِثُ لأَنَّهَا لَيْسَتْ بِذَاتِ سَهْمٍ، وَنَحْنُ نَرْوِي عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُمْ قَالُوا فِي الْعَمَّةِ وَالْخَالَةِ إِذَا لَمْ يَكُنْ ذُو سَهْمٍ، وَلا عَصَبَةٍ: فَلِلْخَالَةِ الثُّلُثُ، وَلِلْعَمَّةِ الثُّلُثَانِ.
وَحَدِيثٌ يَرْوِيهِ أَهْلُ الْمَدِينَةِ لا يَسْتَطِيعُونَ رَدَّهُ: أَنَّ ثَابِتَ بْنَ الدَّحْدَاحِ مَاتَ، وَلا وَارِثَ لَهُ، " فَأَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا لُبَابَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُنْذِرِ، وَكَانَ ابْنُ أُخْتِهِ مِيرَاثَهُ. وَكَانَ ابْنُ شِهَابٍ يُوَرِّثُ الْعَمَّةَ، وَالْخَالَةَ، وَذَوِي الْقُرُبَاتِ بِقُرْبَتِهِمْ، وَكَانَ مِنْ أَفْقَهِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَأَعْلَمِهِمْ بِالرِّوَايَةِ
قَالَ مُحَمَّدٌ: إِنَّمَا يَعْنِي عُمَرُ هَذَا فِيمَا نَرَى أَنَّهَا تُورَثُ، لأَنَّ ابْنَ الأَخِ ذُو سَهْمٍ، وَلا تَرِثُ لأَنَّهَا لَيْسَتْ بِذَاتِ سَهْمٍ، وَنَحْنُ نَرْوِي عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُمْ قَالُوا فِي الْعَمَّةِ وَالْخَالَةِ إِذَا لَمْ يَكُنْ ذُو سَهْمٍ، وَلا عَصَبَةٍ: فَلِلْخَالَةِ الثُّلُثُ، وَلِلْعَمَّةِ الثُّلُثَانِ.
وَحَدِيثٌ يَرْوِيهِ أَهْلُ الْمَدِينَةِ لا يَسْتَطِيعُونَ رَدَّهُ: أَنَّ ثَابِتَ بْنَ الدَّحْدَاحِ مَاتَ، وَلا وَارِثَ لَهُ، " فَأَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا لُبَابَةَ بْنَ عَبْدِ الْمُنْذِرِ، وَكَانَ ابْنُ أُخْتِهِ مِيرَاثَهُ. وَكَانَ ابْنُ شِهَابٍ يُوَرِّثُ الْعَمَّةَ، وَالْخَالَةَ، وَذَوِي الْقُرُبَاتِ بِقُرْبَتِهِمْ، وَكَانَ مِنْ أَفْقَهِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَأَعْلَمِهِمْ بِالرِّوَايَةِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭২৭
ফুফুর প্রাপ্য অংশ।
৭২৭। আব্দুর রহমান ইবনে হানযালা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। কুরাইশের মুক্তদাস বয়ঃবৃদ্ধ ইবনে মিরসী (রাহঃ) বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র কাছে বসা ছিলাম। তিনি হরের নামায পড়ার পর বলেন, হে ইয়ারফা! সেই পত্রটি নিয়ে এসো। পত্রটি তিনি ফুফুর উত্তরাধিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়ে লিখেছিলেন। তিনি তা দেখবেন এবং আল্লাহর কাছে ইস্তেখারা করবেন যে, তার জন্য কোন অংশ আছে কিনা? ইয়ারফা পত্রটি নিয়ে তার কাছে এলো। অতঃপর তিনি একটি পানির পাত্র বা পিয়ালা চাইলেন। পত্রটি তিনি পাত্রের পানির মধ্যে ধুয়ে ফেলেন, অতঃপর বলেন, তোমার জন্য আল্লাহর অনুমোদন থাকলে তিনি তোমাকে বহাল রাখতেন, তোমার জন্য আল্লাহর অনুমোদন থাকলে তিনি তোমাকে বহাল রাখতেন (পত্রের লেখা মুছে যেতে দিতেন না)।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَنْظَلَةَ بْنِ عَجْلانَ الزُّرَقِيِّ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ، عَنْ مَوْلًى لِقُرَيْشٍ كَانَ قَدِيمًا يُقَالُ لَهُ ابْنُ مِرْسٍ، قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَلَمَّا صَلَّى صَلاةَ الظُّهْرِ قَالَ: يَا يَرْفَأُ، هَلُمَّ ذَلِكَ الْكِتَابَ لِكِتَابٍ كَانَ كَتَبَهُ فِي شَأْنِ الْعَمَّةِ يُسْأَلُ عَنْهُ، وَيَسْتَخْبِرُ اللَّهَ، هَلْ لَهَا مِنْ شَيْءٍ؟ فَأَتَى بِهِ يَرْفَأُ، ثُمَّ دَعَا بِتَوْرٍ فِيهِ مَاءٌ أَوْ قَدَحٍ، فَمَحَا ذَلِكَ الْكِتَابَ فِيهِ، ثُمَّ قَالَ: لَوْ رَضِيَكِ اللَّهُ أَقَرَّكِ، لَوْ رَضِيَكِ اللَّهُ أَقَرَّكِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান