আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১৩- উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭২৪
দাদা-দাদীর অংশ।
৭২৪ । কাবীসা ইবনে যুওয়াইব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) দাদার জন্য এতোটা অংশ নির্ধারণ করেছেন যতোটা আজকাল দেয়া হয়ে থাকে।২
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, দাদার বেলায় আমরা এই আছার (হাদীস) অনুযায়ী আমল করি। যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-রও এই মত। ফিকহবিদদেরও এটাই সাধারণ মত। কিন্তু ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) দাদার ক্ষেত্রে আবু বা সিদ্দীক (রাযিঃ) এবং আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-র মতের উপর আমল করেন। তারা দাদার বর্তমানে ভাইকে ওয়ারিস করতেন না।৩
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, দাদার বেলায় আমরা এই আছার (হাদীস) অনুযায়ী আমল করি। যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ)-রও এই মত। ফিকহবিদদেরও এটাই সাধারণ মত। কিন্তু ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) দাদার ক্ষেত্রে আবু বা সিদ্দীক (রাযিঃ) এবং আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-র মতের উপর আমল করেন। তারা দাদার বর্তমানে ভাইকে ওয়ারিস করতেন না।৩
كِتَابُ الْفَرَائِضِ১
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَرَضَ لِلْجَدِّ الَّذِي يَفْرِضُ لَهُ النَّاسُ الْيَوْمَ.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ فِي الْجَدِّ، وَهُوَ قَوْلُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، وَبِهِ يَقُولُ الْعَامَّةُ، وَأَمَّا أَبُو حَنِيفَةَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَأْخُذُ فِي الْجَدِّ بِقَوْلِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، فَلا يُوَرِّثُ الإِخْوَةَ مَعَهُ شَيْئًا
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ فِي الْجَدِّ، وَهُوَ قَوْلُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، وَبِهِ يَقُولُ الْعَامَّةُ، وَأَمَّا أَبُو حَنِيفَةَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَأْخُذُ فِي الْجَدِّ بِقَوْلِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، فَلا يُوَرِّثُ الإِخْوَةَ مَعَهُ شَيْئًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭২৫
দাদা-দাদীর অংশ।
৭২৫। কাবীসা ইবনে যুওয়াইব (রাহঃ) বলেন, এক মৃতের নানী আবু বাকর সিদ্দীক (রাযিঃ)-র কাছে নিজের ওয়ারিসী স্বত্ত্ব দাবি করার জন্য আসলো। আবু বাকর (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কিতাবে তোমার জন্য কোন অংশ নির্ধারণ করা হয়নি। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সুন্নতে তোমার জন্য কিছু নির্ধারণ করা হয়েছে কিনা তা আমাদের জানা নেই। অতএব তুমি চলে যাও, আমি এ সম্পর্কে লোকদের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখি। রাবী বলেন, তিনি এ সম্পর্কে লোকদের জিজ্ঞেস করলে, মুগীরা ইবনে শোবা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি নানীকে এক-ষষ্ঠাংশ দান করেছেন। আবু বাকর (রাযিঃ) বলেন, আপনার সাথে আপনি ছাড়া আর কেউ ছিল কি? তখন মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে তার অনুরূপ কথা বলেন। অতএব আবু বাকর সিদ্দীক (রাযিঃ) তাকে এক-ষষ্ঠাংশ দেয়ার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ)-র কাছে এক দাদী এসে তার মীরাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। উমার (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহ্ কিতাবে তোমার জন্য কোন অংশ নির্ধারিত নেই। আর সেই যে ফয়সালা করা হয়েছিল (রাসূলুল্লাহ ﷺ ও আবু বাকর (রাযিঃ)-র যুগে) তা তুমি ছাড়া অন্য কারো (অর্থাৎ নানী) ক্ষেত্রে করা হয়েছে। আমি ফারাইদে এক-ষষ্ঠাংশের অধিক বৃদ্ধি করতে পারি না। যদি তোমরা দু'জন (দাদী-নানী) একত্র হও তবে এক-ষষ্ঠাংশ তোমাদের উভয়ের মাঝে সমানভাবে বণ্টিত হবে। আর তোমাদের দু'জনের মধ্যে কেউ যদি একা থাকে, তবে সে একাই তা পাবে (আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজা, মালেক, আহমাদ)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। দুই দাদী অর্থাৎ দাদী ও নানী উভয় বর্তমান থাকলে এক-ষষ্ঠাংশ তাদের উভয়ের মাঝে সমান অংশে বণ্টিত হবে। যদি তাদের কোন একজন বর্তমান থাকে তবে সে একাই এক-ষষ্ঠাংশ পাবে। কিন্তু তাদের বর্তমানে পরদাদী (পিতার দাদী) এবং পরনানী (মায়ের নানী) কোন অংশ পাবে না। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের অধিকাংশ ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। দুই দাদী অর্থাৎ দাদী ও নানী উভয় বর্তমান থাকলে এক-ষষ্ঠাংশ তাদের উভয়ের মাঝে সমান অংশে বণ্টিত হবে। যদি তাদের কোন একজন বর্তমান থাকে তবে সে একাই এক-ষষ্ঠাংশ পাবে। কিন্তু তাদের বর্তমানে পরদাদী (পিতার দাদী) এবং পরনানী (মায়ের নানী) কোন অংশ পাবে না। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের অধিকাংশ ফিকহবিদের এটাই সাধারণ মত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ خَرَشَةَ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ، أَنَّهُ قَالَ: جَاءَتِ الْجَدَّةُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ تَسْأَلُهُ مِيرَاثَهَا، فَقَالَ: مَا لَكِ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ، وَمَا عَلِمْنَا لَكِ فِي سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا، فَارْجِعِي حَتَّى أَسْأَلَ النَّاسَ، قَالَ: فَسَأَلَ النَّاسَ، فَقَالَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ: حَضَرْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهَا السُّدُسَ، فَقَالَ: هَلْ مَعَكِ غَيْرُكِ؟ فَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ: فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، فَأَنْفَذَهُ لَهَا أَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ جَاءَتِ الْجَدَّةُ الآخُرَى إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ تَسْأَلُهُ مِيرَاثَهَا، فَقَالَ: مَا لَكِ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ، وَمَا كَانَ الْقَضَاءُ الَّذِي قُضِيَ بِهِ إِلا لِغَيْرِكِ، وَمَا أَنَا بِزَائِدٍ فِي الْفَرَائِضِ مِنْ شَيْءٍ، وَلَكِنْ هُوَ ذَلِكَ السُّدُسُ، فَإِنِ اجْتَمَعْتُمَا فِيهِ فَهُوَ بَيْنَكُمَا، وَأَيَّتُكُمَا خَلَتْ بِهِ فَهُوَ لَهَا.
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، إِذَا اجْتَمَعَتِ الْجَدَّتَانِ: أُمُّ الأُمِّ، وَأُمُّ الأَبِ، فَالسُّدُسُ بَيْنَهُمَا، وَإِنْ خَلَتْ بِهِ إِحْدَاهُمَا فَهُوَ لَهَا، وَلا تَرِثُ مَعَهَا جَدَّةٌ فَوْقَهَا.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ
قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، إِذَا اجْتَمَعَتِ الْجَدَّتَانِ: أُمُّ الأُمِّ، وَأُمُّ الأَبِ، فَالسُّدُسُ بَيْنَهُمَا، وَإِنْ خَلَتْ بِهِ إِحْدَاهُمَا فَهُوَ لَهَا، وَلا تَرِثُ مَعَهَا جَدَّةٌ فَوْقَهَا.
وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান