আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১১- শরীআতে চুরির দন্ড বিধি - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৯২
ক্রীতদাস পালিয়ে যাওয়ার পর চুরির অপরাধ করলে।
৬৯২। নাফে (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ)-র এক পলায়মান ক্রীতদাস চুরি করলো। তিনি তাকে সাঈদ ইবনুল আস (রাযিঃ)-র কাছে হাত কাটার জন্য পাঠালেন। কিন্তু সাঈদ (রাযিঃ) তার হাত কাটতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, গোলাম যদি পলায়মান অবস্থায় চুরি করে, তবে তার হাত কাটা যাবে না। ইবনে উমার (রাযিঃ) তাকে বলেন, তুমি কি আল্লাহর কিতাবে এমন কোন নির্দেশ পেয়েছো যে, পলায়মান গোলাম চুরি করলে তার হাত কাটা যাবে না? অতএব ইবনে উমার (রাযিঃ) তার হাত কাটার নির্দেশ দিলেন এবং তদনুযায়ী তার হাত কাটা হলো।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, গোলাম পলায়মান অবস্থায় চুরি করুক বা অন্য কোন অবস্থায়— উভয় ক্ষেত্রেই তার হাত কাটা যাবে। কিন্তু রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারী ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো পক্ষে চোরের হাত কাটা বৈধ নয়। কেননা শরীআত নির্ধারিত দণ্ড (হদ্দ) কার্যকর করার অধিকার এবং ক্ষমতা রাষ্ট্রপ্রধান বা তার অধস্তন কর্তৃপক্ষের উপর অর্পণ করা হয়েছে। (বর্তমান পরিভাষায় আমরা বলতে পারি, কেবল বিচার বিভাগই শরীআতী দণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারে)। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, গোলাম পলায়মান অবস্থায় চুরি করুক বা অন্য কোন অবস্থায়— উভয় ক্ষেত্রেই তার হাত কাটা যাবে। কিন্তু রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারী ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো পক্ষে চোরের হাত কাটা বৈধ নয়। কেননা শরীআত নির্ধারিত দণ্ড (হদ্দ) কার্যকর করার অধিকার এবং ক্ষমতা রাষ্ট্রপ্রধান বা তার অধস্তন কর্তৃপক্ষের উপর অর্পণ করা হয়েছে। (বর্তমান পরিভাষায় আমরা বলতে পারি, কেবল বিচার বিভাগই শরীআতী দণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারে)। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।
بَابُ: الْعَبْدِ يَأْبَقُ ثُمَّ يَسْرِقُ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، أَنَّ عَبْدًا لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ سَرَقَ وَهُوَ آبِقٌ، فَبَعَثَ بِهِ ابْنُ عُمَرَ إِلَى سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ لِيَقْطَعَ يَدَهُ، فَأَبَى سَعِيدٌ أَنْ يَقْطَعَ يَدَهُ، قَالَ: «لا تُقْطَعُ يدُ الآبِقِ إِذَا سَرَقَ» ، فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: أَفِي كِتَابِ اللَّهِ وَجَدْتَ هَذَا: إِنَّ الْعَبْدَ الآبِقَ لا تُقْطَعُ يَدُهُ؟ فَأَمَرَ بِهِ ابْنُ عُمَرَ، فَقُطِعَتْ يَدُهُ ".
قَالَ مُحَمَّدٌ: تُقْطَعُ يَدُ الآبِقِ، وَغَيْرِ الآبِقِ إِذَا سَرَقَ، وَلَكِنْ لا يَنْبَغِي أَنْ يَقْطَعَ السَّارِقَ أَحَدٌ إِلا الإِمَامُ الَّذِي يَحْكُمُ، لأَنَّهُ حَدٌّ لا يَقُومُ بِهِ إِلا الإِمَامُ، أَوْ مَنْ وَلَّاهُ الإِمَامُ ذَلِكَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ
قَالَ مُحَمَّدٌ: تُقْطَعُ يَدُ الآبِقِ، وَغَيْرِ الآبِقِ إِذَا سَرَقَ، وَلَكِنْ لا يَنْبَغِي أَنْ يَقْطَعَ السَّارِقَ أَحَدٌ إِلا الإِمَامُ الَّذِي يَحْكُمُ، لأَنَّهُ حَدٌّ لا يَقُومُ بِهِ إِلا الإِمَامُ، أَوْ مَنْ وَلَّاهُ الإِمَامُ ذَلِكَ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান