আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১০- নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৮১
কাসামাহ (সম্মিলিত শপথ)।
৬৮১। সুলায়মান ইবনে ইয়াসার ও ইরাক ইবনে মালেক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। সাদ ইবনে লাইছ গোত্রের এক ব্যক্তি নিজের ঘোড়া হাঁকালে তা জুহাইনা গোত্রের এক ব্যক্তির হাতের আঙ্গুল থেতলিয়ে দেয়। ক্ষতস্থান থেকে রক্ত প্রবাহিত হয়ে সে মারা গেলো। হযরত উমার (রাযিঃ) বিবাদীদের বলেন, তোমাদের পঞ্চাশ ব্যক্তি শপথ করে বলতে পারবে কি যে, সে এই কারণে মারা যায়নি? তারা তার মৃত্যুর কারণ প্রত্যাখ্যান করলো এবং শপথ করতে অস্বীকৃতি জানালো । অতঃপর তিনি বাদী পক্ষকে শপথ করতে বলেন। কিন্তু তারাও শপথ করতে অস্বীকৃতি জানালো। অতঃপর তিনি সাদ গোত্রের লোকদের পূর্ণ দিয়াতের অর্ধেক প্রদানের নির্দেশ দেন।
بَابُ: الْقَسَامَةِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، وَعِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ الْغِفَارِيِّ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ، " أَنَّ رَجُلا مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ لَيْثٍ أَجْرَى فَرَسًا، فَوَطِئَ عَلَى إِصْبَعِ رَجُلٍ مِنْ بَنِي جُهَيْنَةَ، فَنَزَفَ مِنْهَا الدَّمُ، فَمَاتَ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِلَّذِينَ ادُّعِيَ عَلَيْهِمْ: أَتَحْلِفُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا مَا مَاتَ مِنْهَا؟ فَأَبَوْا، وَتَحَرَّجُوا مِنَ الأَيْمَانِ، فَقَالَ لِلآخَرِينَ: احْلِفُوا أَنْتُمْ، فَأَبَوْا، فَقَضَى بِشَطْرِ الدِّيَةِ عَلَى السَّعْدِيِّينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৮২
কাসামাহ (সম্মিলিত শপথ)।
৬৮২। সাহল ইবনে আবু হাছমা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তার গোত্রের বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিগণ তাকে অবহিত করেছেন যে, আব্দুল্লাহ ইবনে সাহল (রাযিঃ) ও মুহাইয়্যাসা (রাযিঃ) দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে খায়বার এলাকায় চলে যান। মুহাইয়্যাসা (রাযিঃ)-র কাছে এসে খবর দেয়া হলো যে, আব্দুল্লাহ ইবনে সাহল (রাযিঃ)-কে হত্যা করে কূপের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছে। মুহাইয়্যাসা (রাযিঃ) ইহুদীদের কাছে এসে বলেন, তোমরা তাকে হত্যা করেছো। তারা বললো, আল্লাহর শপথ! আমরা তাকে হত্যা করিনি। অতঃপর তিনি নিজ গোত্রে ফিরে এসে তাদেরকে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন। অতঃপর তিনি, তার বড়ো ভাই হুয়াইয়্যাসা ও আব্দুর রহমান ইবনে সাহল (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে এলেন। মুহাইয়্যাসা (রাযিঃ) কথা বলতে যাচ্ছিলেন, কারণ তিনিই খায়বার গিয়েছিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বলেন, “বড়ো, বড়ো” । অর্থাৎ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে কথা বলতে দাও। অতএব প্রথমে হুয়াইয়্যাসা এবং পরে মুহাইয়্যাসা (রাযিঃ) কথা বললেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ “হয় তারা তোমার ভাইয়ের রক্তপণ দিবে অথবা যুদ্ধের ঘোষণা দিবে।” অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ এ ব্যাপারে খায়বারের ইহুদীদের চিঠি লিখেন । জবাবে তারা তাকে লিখে পাঠায়, আল্লাহর শপথ! আমরা তাকে হত্যা করিনি । চিঠি পাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ ﷺ হুয়াইয়্যাসা ও আব্দুর রহমানকে বলেনঃ “তোমরা শপথ করো এবং তোমাদের সাথীর রক্তপণের অধিকারী হও।” তারা বলেন, না, আমরা শপথ করবো না। তিনি বললেনঃ “তাহলে ইহুদীরা শপথ করবে।” তারা তিনজনই বলেন, তা হতে পারে না, তারা তো মুসলমান নয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ নিজের পক্ষ থেকে তার দিয়াত (রক্তপণ) পরিশোধ করলেন এবং তাদের কাছে এক শত উষ্ট্রী পাঠিয়ে দিলেন। তা তাদের বাড়িতে পৌঁছে গেলো। সাহল ইবনে আবু হাছমা (রাযিঃ) বলেন, এর মধ্যে একটি লাল উট আমাকে লাথি মারে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের বললেনঃ “তোমরা কি শপথ করবে তাহলে রক্তপণের মালিক হয়ে যাবে?” এ কথার লক্ষ্য হচ্ছে দিয়াতের মালিক হওয়া, কিসাসের অধিকারী হওয়া নয়। হাদীসের শুরুতে তিনি যে বলেছেনঃ ইহুদীরা হয় দিয়াত দিবে অথবা যুদ্ধ করবে” একথা উপরোক্ত বক্তব্যের সমর্থন করে। হাদীসের শেষাংশে “তোমরা হলফ তাহ তোমাদের সাথীর রক্তের দাবিদার হতে পারবে" — তাঁর এ যাও উপরোক্ত বক্তব্যের সমর্থক। কেননা কখনো কিসাসের মাধ্যমে, আবার কখনো দিয়াতের মাধ্যমে রক্তের দাবিদার হওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ ﷺ একথা বলেননি, শপথ করো এবং হত্যাকারীর রক্তের অধিকারী হয়ে যাও। তিনি যদি তাই বলতেন, তবে এর অর্থ হতো কিসাস। বরং তিনি বলেছেন, নিজেদের সাথীর রক্তের অধিকারী হয়ে যাবে অর্থাৎ দিয়াতের মাধ্যমে নিজেদের সাথীর রক্তের মালিক হয়ে যাবে। হাদীসের প্রথমাংশে উল্লেখিত তাঁর বক্তব্য একথাই সমর্থন করে অর্থাৎ “হয় তারা দিয়াত দিবে, অন্যথায় যুদ্ধের ঘোষণা দিবে।” হযরত উমার (রাযিঃ) বলেছেন, কাসামাহ দিয়াতকে বাধ্যতামূলক করে, কিন্তু রক্তপণ বাতিল করে না।** একথা অসংখ্য হাদীসে উল্লেখ আছে। আমরা এসব হাদীসের উপর আমল করি। ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের অধিকাংশ ফিকহবিদের এই অভিমত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ তাদের বললেনঃ “তোমরা কি শপথ করবে তাহলে রক্তপণের মালিক হয়ে যাবে?” এ কথার লক্ষ্য হচ্ছে দিয়াতের মালিক হওয়া, কিসাসের অধিকারী হওয়া নয়। হাদীসের শুরুতে তিনি যে বলেছেনঃ ইহুদীরা হয় দিয়াত দিবে অথবা যুদ্ধ করবে” একথা উপরোক্ত বক্তব্যের সমর্থন করে। হাদীসের শেষাংশে “তোমরা হলফ তাহ তোমাদের সাথীর রক্তের দাবিদার হতে পারবে" — তাঁর এ যাও উপরোক্ত বক্তব্যের সমর্থক। কেননা কখনো কিসাসের মাধ্যমে, আবার কখনো দিয়াতের মাধ্যমে রক্তের দাবিদার হওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ ﷺ একথা বলেননি, শপথ করো এবং হত্যাকারীর রক্তের অধিকারী হয়ে যাও। তিনি যদি তাই বলতেন, তবে এর অর্থ হতো কিসাস। বরং তিনি বলেছেন, নিজেদের সাথীর রক্তের অধিকারী হয়ে যাবে অর্থাৎ দিয়াতের মাধ্যমে নিজেদের সাথীর রক্তের মালিক হয়ে যাবে। হাদীসের প্রথমাংশে উল্লেখিত তাঁর বক্তব্য একথাই সমর্থন করে অর্থাৎ “হয় তারা দিয়াত দিবে, অন্যথায় যুদ্ধের ঘোষণা দিবে।” হযরত উমার (রাযিঃ) বলেছেন, কাসামাহ দিয়াতকে বাধ্যতামূলক করে, কিন্তু রক্তপণ বাতিল করে না।** একথা অসংখ্য হাদীসে উল্লেখ আছে। আমরা এসব হাদীসের উপর আমল করি। ইমাম আবু হানীফা এবং আমাদের অধিকাংশ ফিকহবিদের এই অভিমত।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا أَبُو لَيْلَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ رِجَالٌ مِنْ كُبَرَاءِ قَوْمِهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ، وَمُحَيِّصَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ مِنْ جَهْدٍ أَصَابَهُمَا، فَأُتِيَ مُحَيِّصَةُ، فَأُخْبِرَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَهْلٍ قَدْ قُتِلَ، وَطُرِحَ فِي فَقِيرٍ، أَوْ عَيْنٍ، فَأَتَى يَهُودَ، فَقَالَ: أَنْتُمْ قَتَلْتُمُوهُ؟ فَقَالُوا: وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ، فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُمْ، ثُمَّ أَقْبَلَ هُوَ وَحُوَيِّصَةُ، وَهُوَ أَخُوهُ أَكْبَرُ مِنْهُ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ، فَذَهَبَ لِيَتَكَلَّمَ، وَهُوَ الَّذِي كَانَ بِخَيْبَرَ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَبِّرْ كَبِّرْ» ، يُرِيدُ السِّنَّ، فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ، ثُمَّ تَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ، وَإِمَّا أَنْ يُؤْذَنُوا بِحَرْبٍ» ، فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ، فَكَتَبُوا لَهُ: إِنَّا وَاللَّهِ مَا قَتَلْنَاهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُوَيِّصَةَ، وَمُحَيِّصَةَ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ: «تَحْلِفُونَ وَتَستَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ» ، قَالُوا: لا، قَالَ: «فَتَحْلِفُ لَكُمْ يَهُودُ» ، قَالُوا: لا، لَيْسُوا بِمُسْلِمِينَ.
«فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ بِمِائَةِ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتْ عَلَيْهِمُ الدَّارَ» .
قَالَ سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ: لَقَدْ رَكَضَتْنِي مِنْهَا نَاقَةٌ حَمْرَاءُ، قَالَ مُحَمَّدٌ: إِنَّمَا قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ» ، يَعْنِي بِالدِّيَةِ لَيْسَ بِالْقَوَدِ، وَإِنَّمَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَنَّهُ إِنَّمَا أَرَادَ الدِّيَةَ دُونَ الْقَوَدِ، قَوْلُهُ فِي أَوَّلِ الْحَدِيثِ: «إِمَّا أَنْ تَدُوا صَاحِبَكُمْ، وَإِمَّا أَنْ تُؤْذَنُوا بِحَرْبٍ» .
فَهَذَا يَدُلُّ عَلَى آخِرِ الْحَدِيثِ، وَهُوَ قَوْلُهُ: «تَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ» ، لأَنَّ الدَّمَ قَدْ يُستَحَقُّ بِالدِّيَةِ كَمَا يُسْتَحَقُّ بِالْقَوَدِ، لأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَقُلْ لَهُمْ: " تَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ مَنِ ادَّعَيْتُمْ، فَيَكُونَ هَذَا عَلَى الْقَوَدِ، وَإِنَّمَا قَالَ لَهُمْ: «تَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ» ، فَإِنَّمَا عَنَى بِهِ تَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ بِالدِّيَةِ، لأَنَّ أَوَّلَ الْحَدِيثِ يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ، وَهُوَ قَوْلُهُ: «إِمَّا أَنْ تَدُوا صَاحِبَكُمْ، وَإِمَّا أَنْ تُؤْذَنُوا بِحَرْبٍ» ، وَقَدْ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: الْقَسَامَةُ تُوجِبُ الْعَقْلَ، وَلا تُشِيطُ الدَّمَ فِي أَحَادِيثَ كَثِيرَةٍ، فَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
«فَوَدَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ بِمِائَةِ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتْ عَلَيْهِمُ الدَّارَ» .
قَالَ سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ: لَقَدْ رَكَضَتْنِي مِنْهَا نَاقَةٌ حَمْرَاءُ، قَالَ مُحَمَّدٌ: إِنَّمَا قَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ» ، يَعْنِي بِالدِّيَةِ لَيْسَ بِالْقَوَدِ، وَإِنَّمَا يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ أَنَّهُ إِنَّمَا أَرَادَ الدِّيَةَ دُونَ الْقَوَدِ، قَوْلُهُ فِي أَوَّلِ الْحَدِيثِ: «إِمَّا أَنْ تَدُوا صَاحِبَكُمْ، وَإِمَّا أَنْ تُؤْذَنُوا بِحَرْبٍ» .
فَهَذَا يَدُلُّ عَلَى آخِرِ الْحَدِيثِ، وَهُوَ قَوْلُهُ: «تَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ» ، لأَنَّ الدَّمَ قَدْ يُستَحَقُّ بِالدِّيَةِ كَمَا يُسْتَحَقُّ بِالْقَوَدِ، لأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَقُلْ لَهُمْ: " تَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ مَنِ ادَّعَيْتُمْ، فَيَكُونَ هَذَا عَلَى الْقَوَدِ، وَإِنَّمَا قَالَ لَهُمْ: «تَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ» ، فَإِنَّمَا عَنَى بِهِ تَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ بِالدِّيَةِ، لأَنَّ أَوَّلَ الْحَدِيثِ يَدُلُّ عَلَى ذَلِكَ، وَهُوَ قَوْلُهُ: «إِمَّا أَنْ تَدُوا صَاحِبَكُمْ، وَإِمَّا أَنْ تُؤْذَنُوا بِحَرْبٍ» ، وَقَدْ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: الْقَسَامَةُ تُوجِبُ الْعَقْلَ، وَلا تُشِيطُ الدَّمَ فِي أَحَادِيثَ كَثِيرَةٍ، فَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
