আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
১০- নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৮০
ভুলবশত হত্যাকারীর অভিভাবক না পাওয়া গেলে তার দিয়াত।
৬৮০ । সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। এক হাজী সাহেব একটি গোলাম আযাদ করেন।** একদা সে আবেদ গোত্রের এক ব্যক্তির পুত্রের সাথে খেলছিল। সে আবেদ গোত্রের ছেলেটিকে হত্যা করে বসলো। নিহতের পিতা অর্থাৎ আবেদী হযরত উমার (রাযিঃ)-র কাছে এসে তার দিয়াত দাবি করলো। কিন্তু উমার (রাযিঃ) তার দিয়াতের দাবি প্রত্যাখ্যান করলেন এবং বলেন, তার কোন মালিক নেই। তখন নিহতের পিতা তাঁকে বললো, যদি আমার ছেলে তাকে হত্যা করতো, তবে আপনি কি রায় দিতেন? তিনি বলেন, তাহলে তোমাদেরকে তার দিয়াত আদায় করতে হতো। আবেদ গোত্রের লোকটি বললো, সে তো এক কেউটে সাপ–ছেড়ে দিলে কামড় দিবে এবং মেরে ফেললে প্রতিশোধ নেয়া হবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। আমরা এটা মনে করি না যে, হযরত উমার (রাযিঃ) হত্যাকারীর উপর থেকে দিয়াত (রক্তপণ) প্রত্যাহার করেছেন। আমরা এও মনে করি না যে, তিনি রক্তপণ বাতিল করেছেন। বরং তার একজন মালিক আছে, কিন্তু সে অজ্ঞাত । মালিক জ্ঞাত থাকলে উমার (রাযিঃ) তার কাছ থেকে রক্তপণ আদায় করতেন। কিন্তু হযরত উমার (রাযিঃ) যদি জানতে পারতেন যে, তার কোন মালিক বা অভিভাবক নাই, তবে তিনি হত্যাকারীর মাল থেকে (যদি সে সম্পদশালী হতো) অথবা সরকারী কোষাগার থেকে (যদি সে গরীব হতো) রক্তপণ প্রদানের ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু তিনি জানতেন যে, তার একজন মালিক আছে, সে আপাতত অজ্ঞাত। কেননা জনৈক হাজী সাহেব তাকে আযাদ করেছিলেন, কিন্তু তখন পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অতএব হযরত উমার (রাযিঃ) তার মালিক জ্ঞাত হওয়া পর্যন্ত দিয়াত মুলতবি রেখেছেন। তিনি প্রথমেই যদি জানতে পারতেন যে, তার কোন মালিক বা রক্তপণ বহনকারী নেই, তবে হত্যাকারীর মাল থেকে অথবা সরকারী কোষাগার থেকে রক্তপণ দেয়ার ব্যবস্থা করতেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। আমরা এটা মনে করি না যে, হযরত উমার (রাযিঃ) হত্যাকারীর উপর থেকে দিয়াত (রক্তপণ) প্রত্যাহার করেছেন। আমরা এও মনে করি না যে, তিনি রক্তপণ বাতিল করেছেন। বরং তার একজন মালিক আছে, কিন্তু সে অজ্ঞাত । মালিক জ্ঞাত থাকলে উমার (রাযিঃ) তার কাছ থেকে রক্তপণ আদায় করতেন। কিন্তু হযরত উমার (রাযিঃ) যদি জানতে পারতেন যে, তার কোন মালিক বা অভিভাবক নাই, তবে তিনি হত্যাকারীর মাল থেকে (যদি সে সম্পদশালী হতো) অথবা সরকারী কোষাগার থেকে (যদি সে গরীব হতো) রক্তপণ প্রদানের ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু তিনি জানতেন যে, তার একজন মালিক আছে, সে আপাতত অজ্ঞাত। কেননা জনৈক হাজী সাহেব তাকে আযাদ করেছিলেন, কিন্তু তখন পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অতএব হযরত উমার (রাযিঃ) তার মালিক জ্ঞাত হওয়া পর্যন্ত দিয়াত মুলতবি রেখেছেন। তিনি প্রথমেই যদি জানতে পারতেন যে, তার কোন মালিক বা রক্তপণ বহনকারী নেই, তবে হত্যাকারীর মাল থেকে অথবা সরকারী কোষাগার থেকে রক্তপণ দেয়ার ব্যবস্থা করতেন।
بَابُ: مَنْ قَتَلَ خَطَأً، وَلَمْ تُعْرَفْ لَهُ عَاقِلَةٌ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزِّنَادِ، أَنَّ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ أَخْبَرَهُ، " أَنَّ سَائِبَةَ كَانَ أَعْتَقَهُ بَعْضُ الْحُجَّاجِ، فَكَانَ يَلْعَبُ مَعَ ابْنِ رَجُلٍ مِنْ بَنِي عَابِدٍ، فَقَتَلَ السَّائِبَةُ ابْنَ الْعَابِدِيِّ، فَجَاءَ الْعَابِدِيُّ أَبُو الْمَقْتُولِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فَطَلَبَ دِيَةَ ابْنِهِ، فَأَبَى عُمَرُ أَنْ يَدِيَهُ، وَقَالَ: لَيْسَ لَهُ مَوْلًى، فَقَالَ الْعَابِدِيُّ لَهُ: أَرَأَيْتَ لَوْ أَنَّ ابْنِي قَتَلَهُ؟ قَالَ: إِذَنْ تُخْرِجُوا دِيَتَهُ، قَالَ الْعَابِدِيُّ: هُوَ إِذَنْ كَالأَرْقَمِ، إِنْ يُتْرَكْ يَلْقَمْ، وإِنْ يُقْتَلْ يَنْقَمْ "، قَالَ مُحَمَدٌّ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، لا نَرَى أَنَّ عُمَرَ أَبْطَلَ دِيَتَهُ عَنِ الْقَاتِلِ، وَلا نَرَاهُ أَبْطَلَ ذَلِكَ لأَنَّ لَهُ عَاقِلَةً، وَلَكِنَّ عُمَرَ لَمْ يَعْرِفْهَا، فَيَجْعَلَ الدِّيَةَ عَلَى الْعَاقِلَةِ، وَلَوْ أَنَّ عُمَرَ لَمْ يَرَ لَهُ مَوْلًى، وَلا أَنَّ لَهُ عَاقِلَةً لَجَعَلَ دِيَةَ مَنْ قُتِلَ فِي مَالِهِ، أَوْ عَلَى بَيْتِ الْمَالِ، وَلَكِنَّهُ رَأَى لَهُ عَاقِلَةً، وَلَمْ يَعْرِفْهُمْ لأَنَّ بَعْضَ الْحُجَّاجِ أَعْتَقَهُ، وَلَمْ يُعْرَفِ الْمُعْتِقُ، وَلا عَاقِلَتُهُ، فَأَبْطَلَ ذَلِكَ عُمَرُ حَتَّى يُعْرَفَ، وَلَوْ كَانَ لا يَرَى لَهُ عَاقِلَةً لَجَعَلَ ذَلِكَ عَلَيْهِ فِي مَالِهِ، أَوْ عَلَى الْمُسْلِمِينَ فِي بَيْتِ مَالِهِمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান