আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৯- কুরবানী,জবাই ও শিকারের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৬৬০
আকীকা সম্পর্কে।
৬৬০। দমরাহ গোত্রের এক ব্যক্তি থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী ﷺ -এর কাছে আকীকা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বলেনঃ "আমি কষ্টকে অপছন্দ করি।” (রাবী বলেন), তিনি যেন এই নামটিকেই অপছন্দ করলেন। তিনি বলেনঃ “যার সন্তান জন্ম নিয়েছে সে পছন্দ করলে তার সন্তানের পক্ষ থেকে কোরবানী (আকীকা) করুক।”
بَابُ: الْعَقِيقَةِ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي ضَمْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنِ الْعَقِيقَةِ؟ قَالَ: «لا أُحِبُّ الْعُقُوقَ» ، فَكَأَنَّهُ إِنَّمَا كَرِهَ الاسْمَ، وَقَالَ: «مَنْ وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَأَحَبُّ، أَنْ يَنْسُكَ عَنْ وَلَدِهِ فَلْيَفْعَلْ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬১
আকীকা সম্পর্কে।
৬৬১। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তার পরিবারের কোন সদস্য তাকে আকীকা করার কথা বললে তিনি তা করতেন। তিনি তার সন্তানদের পক্ষ থেকে—তা পুত্র হোক অথবা কন্যা, একটি করে বকরী আকীকা করতেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ «لَمْ يَكُنْ يَسْأَلُهُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِهِ عَقِيقَةً إِلا أَعْطَاهُ إِيَّاهُ، وَكَانَ يَعِقُّ عَنْ وَلَدِهِ بِشَاةٌ شَاةٍ عَنِ الذَّكَرِ وَالأُنْثَى»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬২
আকীকা সম্পর্কে।
৬৬২। মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) তার পুত্র হাসান (রাযিঃ), হুসাইন (রাযিঃ) এবং কন্যা যয়নব (রাযিঃ) ও উম্মে কুলছুম (রাযিঃ)-র মাথার চুল বাটখারায় ওজন করেছিলেন এবং চুলের ওজনের সম-পরিমাণ রূপা দান-খয়রাত করেছিলেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ: «وَزَنَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَعْرَ حَسَنٍ، وَحُسَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَزَيْنَبَ، وَأُمِّ كُلْثُومٍ، فَتَصَدَّقَتْ بِوَزْنِ ذَلِكَ فِضَّةً»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬৩
আকীকা সম্পর্কে।
৬৬৩। মুহাম্মাদ (ইমাম বাকের) ইবনে আলী (যয়নুল আবেদীন) ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) তার পুত্র হাসান (রাযিঃ) ও হুসাইন (রাযিঃ)-র মাথার চুল বাটখারায় ওজন করেন এবং ওজনের সম-পরিমাণ রূপা দান-খয়রাত করেন।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আকীকা সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি যে, জাহিলী যুগে এর প্রচলন ছিলো এবং ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়েও আকীকা করা হতো। অতঃপর কোরবানীর প্রচলন যে কোন ধরনের যবেহ রহিত করে দেয়, রমযানের রোযা তার পূর্বেকার সমস্ত রোযাকে রহিত করে দেয়, নাপাকীর গোসল তার পূর্বে প্রচলিত সমস্ত প্রকারের গোসল রহিত করে দেয় এবং যাকাত তার পূর্বেকার প্রচলিত সমস্ত ধরনের দান-খয়রাত রহিত করে দেয়। আমরা এভাবেই জানতে পেরেছি।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنِي رَبِيعَةُ بْنُ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، أَنَّهُ قَالَ: «وَزَنَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَعْرَ حَسَنٍ، وَحُسَيْنٍ، فَتَصَدَّقَتْ بِوَزْنِهِ فِضَّةً» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: أَمَّا الْعَقِيقَةُ فَبَلَغَنَا أَنَّهَا كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَقَدْ فُعِلَتْ فِي أَوَّلِ الإِسْلامِ ثُمَّ نَسَخَ الأَضْحَى كُلَّ ذَبْحٍ كَانَ قَبْلَهُ، وَنَسَخَ صَوْمُ شَهْرِ رَمَضَانَ كُلَّ صَوْمٍ كَانَ قَبْلَهُ، وَنَسَخَ غُسْلُ الْجَنَابَةِ كُلَّ غُسْلٍ كَانَ قَبْلَهُ، وَنَسَخَتِ الزَّكَاةُ كُلَّ صَدَقَةٍ كَانَتْ قَبْلَهَا، كَذَلِكَ بَلَغَنَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান