আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ
موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني
৮- তালাক ও আনুষঙ্গিক অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৭৮
গর্ভবতী স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হলে বা স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দাত।
৫৭৮। যুহরী (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমার (রাযিঃ)-কে এমন এক (গর্ভবতী মহিলার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যার স্বামী মারা গেছে। তিনি বলেন, সে বাচ্চা প্রসব করার সাথে সাথে হালাল হয়ে যাবে (ইদ্দাত শেষ হয়ে যাবে)। তার কাছে বসা এক আনসার ব্যক্তি বললো, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, সে যদি এমন অবস্থায় বাচ্চা প্রসব করে যে, তার স্বামীর লাশ খাটিয়ার উপর দাফনের অপেক্ষায় আছে, তবুও সে হালাল হয়ে যাবে (তার ইদ্দাত শেষ হয়ে যাবে)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-সহ আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-সহ আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
بَابُ: الْمَرْأَةِ تُطَلَّقُ أَوْ يَمُوتُ عَنْهَا زَوْجُهَا وَهِيَ حَامِلٌ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا الزُّهْرِيُّ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ سُئلَ عَنِ امْرَأَةٍ يُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا؟ قَالَ: «إِذَا وَضَعَتْ فَقَدْ حَلَّتْ» ، قَالَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ كَانَ عِنْدَهُ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: «لَوْ وَضَعَتْ مَا فِي بَطْنِهَا وَهُوَ عَلَى سَرِيرِهِ لَمْ يُدْفَنْ بَعْدُ حَلَّتْ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৭৯
গর্ভবতী স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হলে বা স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দাত।
৫৭৯। ইবনে উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন স্ত্রীলোক তার পেটের বাচ্চা প্রসব করার সাথে সাথে হালাল হয়ে যায় (ইদ্দাত শেষ হয়ে যায় এবং নতুন স্বামী গ্রহণ করতে পারে)।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। স্বামী তালাক দিক অথবা মারা যাক, উভয় অবস্থায় বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথে স্ত্রীর ইদ্দাত শেষ হয়ে যায়। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এই মত গ্রহণ করেছি। স্বামী তালাক দিক অথবা মারা যাক, উভয় অবস্থায় বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার সাথে সাথে স্ত্রীর ইদ্দাত শেষ হয়ে যায়। ইমাম আবু হানীফারও এই মত।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «إِذَا وَضَعَتْ مَا فِي بَطْنِهَا حَلَّتْ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ فِي الطَّلاقِ وَالْمَوْتِ جَمِيعًا، تَنْقَضِي عِدَّتُهَا بِالْوِلادَةِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮০
গর্ভবতী স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হলে বা স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দাত।
৫৮০। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রাহঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি যখন তার স্ত্রীর সাথে ঈলা করে এবং চার মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই ঈলা ভঙ্গ করে, সে তার স্ত্রীই থাকবে, তালাক হবে না । কিন্তু ঈলা ভঙ্গ করার পূর্বেই যদি চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে যায়, তবে স্ত্রী এক তালাক হয়ে যাবে এবং সে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার অধিক হকদার, যতোক্ষণ তার ইদ্দাত শেষ না হবে। সাঈদ (রাহঃ) বলেন, মারওয়ান এই ফতোয়াই দিতেন।
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، قَالَ: إِذَا آلَى الرَّجُلُ مِنِ امْرَأَتِهِ، ثُمَّ فَاءَ قَبْلَ أَنْ تَمْضِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ، فَهِيَ امْرَأَتُهُ لَمْ يَذْهَبْ مِنْ طَلاقِهَا شَيْءٌ، فَإِنْ مَضَتِ الأَرْبَعَةُ الأَشْهُرُ قَبْلَ أَنْ يَفِيءَ، فَهِيَ تَطْلِيقَةٌ وَهُوَ أَمْلَكُ بِالرَّجْعَةِ مَا لَمْ تَنْقَضِ عِدَّتُهَا "، قَالَ: وَكَانَ مَرْوَانُ يَقْضِي بِذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৮১
গর্ভবতী স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হলে বা স্বামী মারা গেলে তার ইদ্দাত।
৫৮১। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেন, যে ব্যক্তিই নিজ স্ত্রীর সাথে ঈলা (সঙ্গম না করার শপথ) করে এবং এ অবস্থায় চার মাস অতীত হয়ে যায়, তাকে বিচারকের সামনে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার জন্য অথবা রুজু করার জন্য বাধ্য করতে হবে। চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তালাক হবে না, যতোক্ষণ তাকে বিচারকের সামনে উপস্থিত না করা হবে।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ), উছমান ইবনে আফ্ফান (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এবং যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে, তারা বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে ঈলা করার পর ঈলা ভঙ্গের পূর্বে চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তার স্ত্রী এক বায়েন তালাক হয়ে যায়। সে বিবাহের প্রস্তাবকদের মধ্যে গণ্য হয় (অর্থাৎ প্রস্তাব পাঠানোর মাধ্যমে তাকে নতুনভাবে বিবাহ করতে হবে)। চার মাস পার হয়ে যাবার পর তারা স্বামীর উপর চাপ প্রয়োগের কোন প্রয়োজনীয়তা মনে করেন না। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
لِلَّذِينَ يُؤْلُونَ مِنْ نِسَائِهِمْ تَرَبُّصُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ فَإِنْ فَاءُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
“যেসব লোক নিজেদের স্ত্রীদের সাথে ঈলা (সম্পর্ক না রাখার প্রতিজ্ঞা) করে, তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ আছে। যদি তারা এথেকে প্রত্যাবর্তন করে তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়। আর যদি তারা তালাক দেয়ারই সিদ্ধান্ত করে থাকে, তবে জেনে রাখা দরকার যে, আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু জানেন” (সূরা বাকারাঃ ২২৬ ২২৭)।
(ইবনে আব্বাসের ব্যাখ্যা), الفيء অর্থ 'চার মাসের মধ্যে সঙ্গম করা' আর عزيمة الطلاق অর্থ 'চার মাস পার হয়ে যাওয়া'। চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পর স্ত্রী এক বায়েন তালাক হয়ে যায়। এরপর আর স্বামীর উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) অন্যদের তুলনায় কুরআনের ব্যাখ্যা সম্পর্কে অধিক অবহিত ছিলেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ), উছমান ইবনে আফ্ফান (রাযিঃ), আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এবং যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে, তারা বলেছেন, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর সাথে ঈলা করার পর ঈলা ভঙ্গের পূর্বে চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তার স্ত্রী এক বায়েন তালাক হয়ে যায়। সে বিবাহের প্রস্তাবকদের মধ্যে গণ্য হয় (অর্থাৎ প্রস্তাব পাঠানোর মাধ্যমে তাকে নতুনভাবে বিবাহ করতে হবে)। চার মাস পার হয়ে যাবার পর তারা স্বামীর উপর চাপ প্রয়োগের কোন প্রয়োজনীয়তা মনে করেন না। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ
لِلَّذِينَ يُؤْلُونَ مِنْ نِسَائِهِمْ تَرَبُّصُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ فَإِنْ فَاءُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
“যেসব লোক নিজেদের স্ত্রীদের সাথে ঈলা (সম্পর্ক না রাখার প্রতিজ্ঞা) করে, তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ আছে। যদি তারা এথেকে প্রত্যাবর্তন করে তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াময়। আর যদি তারা তালাক দেয়ারই সিদ্ধান্ত করে থাকে, তবে জেনে রাখা দরকার যে, আল্লাহ সবকিছু শুনেন, সবকিছু জানেন” (সূরা বাকারাঃ ২২৬ ২২৭)।
(ইবনে আব্বাসের ব্যাখ্যা), الفيء অর্থ 'চার মাসের মধ্যে সঙ্গম করা' আর عزيمة الطلاق অর্থ 'চার মাস পার হয়ে যাওয়া'। চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পর স্ত্রী এক বায়েন তালাক হয়ে যায়। এরপর আর স্বামীর উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) অন্যদের তুলনায় কুরআনের ব্যাখ্যা সম্পর্কে অধিক অবহিত ছিলেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।**
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «أَيُّمَا رَجُلٍ آلَى مِنِ امْرَأَتِهِ فَإِذَا مَضَتِ الأَرْبَعَةُ الأَشْهُرُ وُقِفَ حَتَّى يُطَلِّقَ، أَوْ يَفِيءَ، وَلا يَقَعُ عَلَيْهَا طَلاقٌ، وَإِنْ مَضَتِ الأَرْبَعَةُ الأَشْهُرُ حَتَّى يُوقَفَ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: بَلَغَنَا، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّهُمْ قَالُوا: إِذَا آلَى الرَّجُلُ مِنِ امْرَأَتِهِ فَمَضَتْ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ قَبْلَ أَنْ يَفِيءَ فَقَدْ بَانَتْ بِتَطْلِيقَةٍ بَائِنَةٍ، وَهُوَ خَاطِبٌ مِنَ الْخُطَّابِ وَكَانُوا لا يَرَوْنَ أَنْ يُوقَفَ بَعْدَ الأَرْبَعَةِ، وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فِي تَفْسِيرِ هَذِهِ الآيَةِ: {لِلَّذِينَ يُؤْلُونَ مِنْ نِسَائِهِمْ تَرَبُّصُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ فَإِنْ فَاءُوا فَإِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [البقرة: 226] ، {وَإِنْ عَزَمُوا الطَّلاقَ فَإِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} [البقرة: 227] ، قَالَ: الْفَيْءُ: الْجِمَاعُ فِي الأَرْبَعَةِ الأَشْهُرِ، وَعَزِيمَةُ الطَّلاقِ: انْقِضَاءُ الأَرْبَعَةِ الأَشْهُرِ، فَإِذَا مَضَتْ بَانَتْ بِتَطْلِيقَةٍ، وَلا يُوقَفُ بَعْدَهَا، وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ أَعْلَمَ بِتَفْسِيرِ الْقُرْآنِ مِنْ غَيْرِهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান